বিশেষ প্রতিনিধি : চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে তিনশাতাধিক।
চীনে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শনিবার ৩১৪জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে সরকার।
আর ৩২৩জন ভারতীয় নাগরিক রবিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ অবস্থায় চীনা নাগরিকদের আপাতত অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ।
আগামী মঙ্গলবার চারদিনের সফরে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকেরা আগামী একমাস নিজ দেশে না যেতেও পরামর্শ দিয়েছেন ড. মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন,
তারা যেন অন্তত একটি মাস চীনে না যান এবং নিয়ম মেনে চলেন।
অপর দিকে যারা চীন থেকে অন অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
তারপরও যদি তারা আসতে চান তাহলে ভিসা নিয়ে আসতে হবে। তবে, ভিসা ফরমের সঙ্গে একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে হবে। ড. মোমেন জানান, এটি সাময়িক।
আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। এতে তাদেরও কোনও আপত্তি নেই। আমরা যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছি।
আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি, তাদের প্রকল্পে চীন থেকে নতুন লোক নিয়োগ না দিতে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।
বিষয়টি হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস রুখতে সতর্ককতা জারি করেছে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
নৌপরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় বাংলাদেশের তিনটি সমুদ্র বন্দরে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
সেই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দরগুলো সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তাছাড়া চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরে দু’স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজন্ট কর্তৃক জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আসার
সাথে সাথে এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বন্দরে আসা জাহাজের মাস্টারকে পোর্ট লিমিটে আসার সাথে সাথে ঘোষণা দিতে হবে যে,
ওই জাহাজে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নাবিক নেই। এছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজগুলোতে শতভাগ নাবিকের পোর্ট হেলথ
অফিসার কর্তৃক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করলেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।
জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রুত রোগি স্থানান্তরে জন্য বন্দরে অ্যাম্বুলেন্স শিপ রাখা হয়েছে।
বন্দর ইমিগ্রেশন ডেক্সে পোর্ট হেলথ অফিসারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
কোন নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
|