দাগনভূঞায় আয়েশা ডেইরি ফার্মের সফল উদ্যোক্তা তুহিন
শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা : ফেনী দাগনভূঞা পৌরসভা জগতপুর ৪ নং ওয়ার্ডের আয়েশা ডেইরী এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্ম ও নানাবিধ প্রানী, কৃষি এবং মৎস খামার প্রতিষ্ঠাতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মো. আবু নাছের তুহিন। দাগনভূঞা প্রবীণ পল্লী চিকিৎসক আবু বকর ছিদ্দিক এর বড় ছেলে তিনি। এছাড়া দাগনভূঞা ইউনিক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, ২০০০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে গিয়ে ছোট বেলায় লালনকৃত শখের ব্যাবসা গবাদিপশু লালন পালনসহ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাবসা করেন। পরবর্তীতে দেশে এসে ২০১৭ সালে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আয়েশা ফার্ম। যেখানে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া, দুগ্ধ উৎপাদন করার মুল লক্ষমাত্রা নিয়ে শুরু হয় খামার। প্রায় ৪শ ৬০ শতাংশ জায়গার উপর নানাবিধ প্রকল্পের মধ্যে ডেইরী ফার্ম এন্ড ফ্যাটেনিং সেন্টার যেখানে উন্নত জাতের হলিষ্টিন ফিজিয়ান, শাহীওয়াল, জারসি ও দেশী উন্নত জাতের গরু রয়েছে। প্রায় ৬০ টি দুগ্ধজাত গরু প্রতিদিন গড়ে একশ লিটার দুধ বাজারজাত করা হয়। এছাড়া উন্নতজাতের ছাগল যমুনা পাড়ি ১৫ টিসহ হাঁস, মুরগী, কবুতর রয়েছে। তিনশ শতাংশের উপর ইরি ধানের চাষাবাদে যুক্ত করেছেন মৌসুমি শাকসবজি, কলার চাষ, কচু, কুমড়া, মাছের খামার। মাষ্টার প্লান নিয়ে সাজানো হয়েছে এ বিশাল খামারটি। যা পৌরসভায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন। লোকবল রয়েছে আটজন যারা বেকারত্ব দূরীকরণে আত্নকর্মসংস্থানে নিয়োজিত এ খামারে। এমন সুন্দর উদ্যোগ জনগনের পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি সমন্বিত খামার পৌরসভায় অন্যতম একটি। ইরি ও শাকসবজি উৎপাদনে বেশ সাফল্য আসছে বলে জানান তিনি। মাত্র তিন বছরে গরুকে বাণিজ্যিকভাবে বড় করা হলে লাখ লাখ টাকা বাৎসরিক আয় করা সম্ভব বলে জানান তুহিন। ৪৬০ শতক ভূমির উপর কোন অংশ অনাবাদি নেই। সমস্ত জমিকে আবাদে আনার লক্ষমাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এ যুবক উদ্যোক্তা। এ বিষয়ে ফার্মের পরিচালক আবু নাছের তুহিন বলেন, সময় নষ্ট না করে পরিশ্রমী হলে সফলতা অর্জন সম্ভব। যে কেউ আয়েশা ডেইরি ফার্মে একবার হলেও ভিজিট করার অনুরোধ জানান। এতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা প্রানি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ বলেন, আয়েশা ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।
|
শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা : ফেনী দাগনভূঞা পৌরসভা জগতপুর ৪ নং ওয়ার্ডের আয়েশা ডেইরী এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্ম ও নানাবিধ প্রানী, কৃষি এবং মৎস খামার প্রতিষ্ঠাতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মো. আবু নাছের তুহিন। দাগনভূঞা প্রবীণ পল্লী চিকিৎসক আবু বকর ছিদ্দিক এর বড় ছেলে তিনি। এছাড়া দাগনভূঞা ইউনিক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, ২০০০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে গিয়ে ছোট বেলায় লালনকৃত শখের ব্যাবসা গবাদিপশু লালন পালনসহ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাবসা করেন। পরবর্তীতে দেশে এসে ২০১৭ সালে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আয়েশা ফার্ম। যেখানে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া, দুগ্ধ উৎপাদন করার মুল লক্ষমাত্রা নিয়ে শুরু হয় খামার। প্রায় ৪শ ৬০ শতাংশ জায়গার উপর নানাবিধ প্রকল্পের মধ্যে ডেইরী ফার্ম এন্ড ফ্যাটেনিং সেন্টার যেখানে উন্নত জাতের হলিষ্টিন ফিজিয়ান, শাহীওয়াল, জারসি ও দেশী উন্নত জাতের গরু রয়েছে। প্রায় ৬০ টি দুগ্ধজাত গরু প্রতিদিন গড়ে একশ লিটার দুধ বাজারজাত করা হয়। এছাড়া উন্নতজাতের ছাগল যমুনা পাড়ি ১৫ টিসহ হাঁস, মুরগী, কবুতর রয়েছে। তিনশ শতাংশের উপর ইরি ধানের চাষাবাদে যুক্ত করেছেন মৌসুমি শাকসবজি, কলার চাষ, কচু, কুমড়া, মাছের খামার। মাষ্টার প্লান নিয়ে সাজানো হয়েছে এ বিশাল খামারটি। যা পৌরসভায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন। লোকবল রয়েছে আটজন যারা বেকারত্ব দূরীকরণে আত্নকর্মসংস্থানে নিয়োজিত এ খামারে। এমন সুন্দর উদ্যোগ জনগনের পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি সমন্বিত খামার পৌরসভায় অন্যতম একটি। ইরি ও শাকসবজি উৎপাদনে বেশ সাফল্য আসছে বলে জানান তিনি। মাত্র তিন বছরে গরুকে বাণিজ্যিকভাবে বড় করা হলে লাখ লাখ টাকা বাৎসরিক আয় করা সম্ভব বলে জানান তুহিন। ৪৬০ শতক ভূমির উপর কোন অংশ অনাবাদি নেই। সমস্ত জমিকে আবাদে আনার লক্ষমাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এ যুবক উদ্যোক্তা। এ বিষয়ে ফার্মের পরিচালক আবু নাছের তুহিন বলেন, সময় নষ্ট না করে পরিশ্রমী হলে সফলতা অর্জন সম্ভব। যে কেউ আয়েশা ডেইরি ফার্মে একবার হলেও ভিজিট করার অনুরোধ জানান। এতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা প্রানি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ বলেন, আয়েশা ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।
|
|
|
|
দাগনভূঞা প্রতিনিধি : ফেনী দাগনভূঞা পৌরসভা জগতপুর ৪ নং ওয়ার্ডের আয়েশা ডেইরী এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্ম ও নানাবিধ প্রানী, কৃষি এবং মৎস খামার প্রতিষ্ঠাতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মো. আবু নাছের তুহিন। দাগনভূঞা প্রবীণ পল্লী চিকিৎসক আবু বকর ছিদ্দিক এর বড় ছেলে তিনি। এছাড়া দাগনভূঞা ইউনিক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, ২০০০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে গিয়ে ছোট বেলায় লালনকৃত শখের ব্যাবসা গবাদিপশু লালন পালনসহ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাবসা করেন। পরবর্তীতে দেশে এসে ২০১৭ সালে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আয়েশা ফার্ম। যেখানে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া, দুগ্ধ উৎপাদন করার মুল লক্ষমাত্রা নিয়ে শুরু হয় খামার। প্রায় ৪শ ৬০ শতাংশ জায়গার উপর নানাবিধ প্রকল্পের মধ্যে ডেইরী ফার্ম এন্ড ফ্যাটেনিং সেন্টার যেখানে উন্নত জাতের হলিষ্টিন ফিজিয়ান, শাহীওয়াল, জারসি ও দেশী উন্নত জাতের গরু রয়েছে। প্রায় ৬০ টি দুগ্ধজাত গরু প্রতিদিন গড়ে একশ লিটার দুধ বাজারজাত করা হয়। এছাড়া উন্নতজাতের ছাগল যমুনা পাড়ি ১৫ টিসহ হাঁস, মুরগী, কবুতর রয়েছে। তিনশ শতাংশের উপর ইরি ধানের চাষাবাদে যুক্ত করেছেন মৌসুমি শাকসবজি, কলার চাষ, কচু, কুমড়া, মাছের খামার। মাষ্টার প্লান নিয়ে সাজানো হয়েছে এ বিশাল খামারটি। যা পৌরসভায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন। লোকবল রয়েছে আটজন যারা বেকারত্ব দূরীকরণে আত্নকর্মসংস্থানে নিয়োজিত এ খামারে। এমন সুন্দর উদ্যোগ জনগনের পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি সমন্বিত খামার পৌরসভায় অন্যতম একটি। ইরি ও শাকসবজি উৎপাদনে বেশ সাফল্য আসছে বলে জানান তিনি। মাত্র তিন বছরে গরুকে বাণিজ্যিকভাবে বড় করা হলে লাখ লাখ টাকা বাৎসরিক আয় করা সম্ভব বলে জানান তুহিন। ৪৬০ শতক ভূমির উপর কোন অংশ অনাবাদি নেই। সমস্ত জমিকে আবাদে আনার লক্ষমাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এ যুবক উদ্যোক্তা। এ বিষয়ে ফার্মের পরিচালক আবু নাছের তুহিন বলেন, সময় নষ্ট না করে পরিশ্রমী হলে সফলতা অর্জন সম্ভব। যে কেউ আয়েশা ডেইরি ফার্মে একবার হলেও ভিজিট করার অনুরোধ জানান। এতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা প্রানি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ বলেন, আয়েশা ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।
|
|
|
|
আলমগীর হোসেন, (খাগড়াছড়ি) : বিদ্যুৎবিহীন লোকালয়ে হত-দরিদ্র জনগোষ্টি’র ঘর-বাড়ী, সরকারী অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের বদৌলতে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে উপজেলার তৃণমূলে। দেশকে ডিজিটালের আওতায় আনতে বিদ্যুৎবিহীন জনপদে চলছে সৌর বিদ্যুতে জনপদ আলোকিত করার কাজ। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত মানিকছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-মন্দির, ক্যায়ং, দরিদ্র পরিবার, জনসমাগমস্থল (অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হোম সিস্টেম ও স্ট্রীট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি তৃণমূলের (বিদ্যুৎবিহীন জনপদে) কৃষক সমাজে পরিবর্তন আনতে এবং অনাবাদী কৃষি জমিতে অনায়াসে ফসল উৎপাদনে ডিজিটালের হাওয়া ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার একাধিক স্পটে বিশাল বিলে স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। গত ২০১৯-২০অর্থ বছরে ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন’ উপজেলার বড়বিলস্থ পৃথক দুটি বিলের (৫০একর) একপাশে স্থাপন করেছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। এতে ওই বিলের সিংহভাগ কৃষক মোটর দ্বারা গভীর নলকূপ ও ছড়া বা খাল থেকে প্রতিনিয়ত পানি উত্তোলন করে অনায়াসে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মনে এখন রঙ্গিন স্বপ্ন। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত ২০১৮-২০ অর্থবছরে উপজেলা অনগ্রসর জনপদ তিনটহারী ও বড়বিল এলাকার বিশাল বিলের (প্রায় ৫০একর ধান্য জমি) একাংশে ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’ স্থাপন করেছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। এতে করে ওই জমির কৃষকরা সৌর বিদ্যুতে অনায়াসে খাল থেকে পানি তুলছে এবং বছরব্যাপি ধান, ভুট্টা, মরিচ, টমেটোসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করছে। পানি নিয়ে এখন আর তাদের চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া উপজেলা প্রত্যন্ত জনপদে কৃষকরা সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষকরা নিজ উদ্যোগে সেচ ব্যবস্থা করে কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সময়োপযোগী একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা উপকারভোগী হতে পারবে। কৃষকরা এ প্রকল্পের সুযোগ গ্রহন করে কৃষিক্ষেত্রে নিজেদেরকে পরিবর্তনের সুযোগ নিতে উৎসাহ দিচ্ছি। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযু্িক্ত ব্যবহারে কৃষি বিভাগ হতে প্রয়োনীয় পরার্মশ প্রদান করা হচ্ছে।
|
|
|
|
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন চিকাজানি, দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, হাতীভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা ও পাররামরামপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যায বালুঝড়। ৪ এপ্রিল রবিবার বিকেল ২ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বালুঝড়ের প্রচন্ড বাতাসে বোরো ধান , ভুট্রা ও কলা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে হতাশায় ভুকছে কৃষক। গরম বাতাসের তান্ডব বয়ে যাওয়ায় উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান সাদা হয়ে গেছে, কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে, অপরিপক্ষ ভুট্রা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষক হতাশায় ভূকছে । কৃষকদের হিসাব মতে, তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্ত কৃষি বিভাগ বলছেন ৪০ হেক্টর। চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের কৃষক জাহের আলী বলেন, আমি ধার দেনা করে ২ বিঘা জমিতে বি-২৮ ধানের চাষ করেছি এতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সারাদেশে ঝড়ো হাওয়ার সময় দেওয়ানগঞ্জে শুধু ধুলা আর গরম বাতাস হয়েছে। পরদিন সকালে জমিতে গিয়ে দেখি ধানের সবুজ শীষ সাদা রঙে পরিণত হয়েছে। ফসলের যে ক্ষতি হযেছে তাতে ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ডালবাড়ী এলাকার কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, সুদের ওপর টাকা নিয়ে ২ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। বালুঝড়ে ধান সাদা হয়ে ছিটা হয়েছে, লাভের টাকা দেওয়া ও ছেলে মেয়ের খরচ কি করে দিমু, এব্যাপারে কৃষি অফিস থেকেও কোন খোঁজখবর নেয় নাই আমাদের। পাররামরামপুর ইউনিয়নের বাশতলি গ্রামের আইনাল হক বলেন, যেগুলোতে দুধ এসেছিল, সেগুলোই সাদা হয়ে গেছে। নিচের অর্থাৎ শেষ দিকের লাগানো জমিগুলোই এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো ঝড় না কিছু না একটা প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়। আর এরপরই সকালে আমরা মাঠে এসে এমনটা দেখতে পাই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৯ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হেক্টর জমি। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে ৪ হেক্টর জমির ধান। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলায় গরম বাতাসের তান্ডব হয়েছে। এ তান্ডবেই জমিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নিয়মিত পানি ধরে রাখতে পারলে ক্ষতি কম হবে বলে তিনি জানান।
|
|
|
|
বেনাপোল প্রতিনিধি : শখ করে স্ট্রবেরি চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেকার যুবক আব্দুল আলীম। তিনি উপজেলার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা। শখ করে স্ট্রবেরি চাষ করছেন তিনি। মাত্র ৭ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে ৬০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। আগামী এক মাসে আরো ৪০-৫০ হাজার টাকার স্ট্রবেরি বিক্রির আশা করছেন। চাহিদা, দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি বেশি জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করবেন। আব্দুল আলীম জানান, উপজেলা কৃষি অধিদফতরে উচ্চ মূল্যের ফসলের চাষের ওপর ট্রেনিং নেয়ার পর ৭ শতক জমিতে জানুয়ারি মাসের দিকে এক হাজার স্ট্রবেরি গাছের চারা লাগান। চারা লাগানোর মাস খানেক পর গাছে ফল আসে। এক হাজার স্ট্রবেরি গাছের চারা তিনি ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। তার হিসেব মতে জমি প্রস্তুুত, কীটনাশক ও সেচসহ চাষে খরচ হয়েছে ২২-হাজার টাকা। বর্তমান এ অঞ্চলে আটটি স্ট্রবেরি প্যাকেট পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। বাড়িতে খাওয়ার পর ইতোমধ্যে ৬০ হাজার টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন তিনি। আরো মাস খানেক ফলন পাওয়ার কথা জানান তিনি। ৭ শতক জমি থেকে লাখ টাকার ওপরে স্ট্রবেরি বিক্রির আশা করছেন কৃষক আব্দুল আলীম। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন জানান, পুষ্টিসমৃদ্ধ এ স্ট্রবেরির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজারে দামও অনেক ভালো। চার মাসের এ চাষে চারার দাম ছাড়া খুব বেশি খরচ নেই, তাই স্ট্রবেরি চাষে লাভের সম্ভাবনা খুব বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, সরকার কৃষি ও কৃষককে এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে উচ্চ মূল্যের ফসল চাষের ওপর কৃষকদের ট্রেনিংও দেয়া হচ্ছে। ট্রেনিং পেয়ে কৃষকদের এ জাতীয় উচ্চ মূল্যের ফসল চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
|
|
|
|
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : গরমকালের তৃপ্তিদায়ক ও উপকারী ফল তরমুজ। এ বছর মির্জাগঞ্জে গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি আবাদ হয়েছে তরমুজ। তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতগুলোতে তরমুজের ব্যাপক সমারোহ। আকার বড় ও ফলন ভালো হওয়ায় ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজ বেচাকেনা জমে উঠেছে। কিন্তু গত তিনদিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে পূবের বাতাসে মির্জাগঞ্জ এলাকার ওয়াবদা বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকাগুলোতে পানি উঠে আবার নেমে ভাটায় নেমে যায়। সব মিলিয়ে সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও যা লাভ হয়েছে তাতেই খুশি কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামে বিস্তীর্ণ চর জুড়ে রয়েছে তরমুজের ক্ষেত। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। এর মধ্যেই গত তিনদিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ওই এলাকার তরমুজ ক্ষেতসহ অন্যান্য রবি শস্যে পানি উঠে আবার পানি সরে যায়। এতে অনেক তরমুজ গাছ ও তরমুজে পচন ধরে। এছাড়া উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রয়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ত। এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে এখানে। কৃষকরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। তরমুজ আবাদের মধ্য দিয়ে গত বছরের করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছেন কৃষকরা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে, বিশেষ করে প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে তরমুজ চাষে তিনগুন লাভবান হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। দক্ষিন মির্জাগঞ্জ এলাকার তরমুজ চাষি হাবিব তালুকদার বলেন, প্রায় ৩ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। দুইদিন আগে দুপুরের পর পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে আমার পুরো ক্ষেত ডুবে গেছিলো। পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মো. ইউসুফ হাওলাদার বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ক্ষেতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পুরো ক্ষেতের তরমুজ ৫-৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো। সুবিদখালী বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, গত বছর করোনাকালীন সময়ে তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারেননি। এবারে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও চড়া। তারা চাষিদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনেছেন। স্থানীয় বাজারে তা আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, এ উপজেলায় তরমুজ আবাদ হতো না বললেই চলে। তবে গত কয়েক বছর ধরে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজের আবাদ তিনগুণ হয়েছে। বর্তমানে বাজারও অনেক ভালো রয়েছে। আগামীতে অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। তবে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের বেড়িবাধের বাইরের এলাকাগুলো কয়েকদিন আগে জোয়ারের পানি উঠে আবার নেমে যায়। কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষতি হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট জুড়ে গত তিন-চার দিন ধরে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডবন্ড হয়েছে সিলেটের সূর্যমুখী বাগান গুলো। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বাগান মালিকদের। কৃষকরা মাথায় দিয়ে বসে আছেন বাগানের সম্মুখে। বৃহত্তর সিলেট জেলায় সূর্যমুখী বাগান গুলো দৃষ্টিন্দন কাড়ার মত ছিলো। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ জেলায় কয়েক হেক্টর জমিতে কৃষকরা সূর্যমুখী বাগান করেছেন। চৈত্র মাসের মাঝা-মাঝি কালবৈশাখী ঝড়ে কৃষকদের স্বপ্ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ২০২০ সালে দেশ জুড়ে করোনায় এদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ছিলেন কৃষক সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেয়ে ছিলেন ২০২১ সালে কৃষকরা কৃষি চাষের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব দিয়ে, তাহাও স্বপ্ন ভেঙে দিলো কাল বৈশাখি ঝড়। সিলেট জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- এ বছর সিলেট জুড়ে বাম্পার ফলন হয়ে ছিল সূর্যমুখী বাগানের মাধ্যমে। শুধু মাত্র সিলেট জেলায় প্রায় ১০০ জন কৃষক প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখীর হাইসান-৩৩ জাত চাষাবাদ করা হয়েছিল। গত তিন-চার দিনের ঝড়ের আঘাতের কৃষকদের প্রায় লক্ষা দিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এ দিকে সূর্যমুখী বাগান মালিকরা জানান, এ বছর আগাম বৈশাখী ঝড়ে এসেছে বিধায় ক্ষতি হয়েছে। বাগান জুড়ে চোখ জুড়ানো মনমুগ্ধ কর হলুদের সমারোহ ছিল। সবুজ গাছে থাকা এসব হলদে ফুল সূর্যের দিকে মুখ করে বাতাসে দুলতো । ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াতো মৌমাছি ও প্রজাপতি। এ ক্ষতি কিভাবে পুষাবেন কৃষকরা এ নিয়ে দুচিন্তায় আছেন। সরকারের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন কৃষকরা।
|
|
|
|
শুভশ্রী দেব, কুলাউড়া : বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও উৎসব মুখর পরিবেশে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন বাগানে নতুন বছরের চা পাতা উত্তোলন শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হওয়ায় চা গাছ গুলোতে নতুন কুঁড়ি বের হওয়া শুরু করেছে। সোমবার সকালে মেরিনা চা-বাগানের ৭ নং সেকশনে পূজা অর্চনা ও দোয়া-দুরুদ পাঠের পর আনুষ্ঠানিক ফিতা কেটে চা পাতা উত্তোলনের উদ্বোধন করেন বাগান ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান। এছাড়াও গাজীপুর, কালিটি, দিলদারপুর, ক্লিভডন চা-বাগানেও নানা উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরের চা পাতা উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এসময় বাগানের ম্যানেজারগন, অন্যান্য স্টাফগনসহ প্রায় শত শত চা শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। সারা বছর যাতে প্রচুর উন্নতমানের পাতা পাওয়া যায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকে এই কামনায় আয়োজন করা হয় দোয়া-দুরুদ, বনদেবীর পূজা, বৃক্ষ পূজাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। পরে নতুন দুটি পাতা ও একটি কুঁড়িকে স্বাগত জানিয়ে চা শ্রমিকরা নাচে গানে মেতে উঠেন। এরপর বাগান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয় এবং চা শ্রমিকদের নগদ বকশিস দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের তারাগঞ্জে নদী এখন কৃষকের সোনালি ফসলের মহোৎসব। বর্ষা মৌসুমে হাজারো মানুষের ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায় এই নদীতে। আজ সময়ের সেই খরস্রোত যৌবন হারিয়ে এখন বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে তার বুক জুড়ে পরিণত হয়েছে সবুজে ভরা। কৃষকের সেই চরে একমাত্র জীবন বাঁচার স্বপ্ন হয়ে আছে যমুনেশ্বরী। বর্ষাকালে পানি ও ফসলি জমির আর্দ্রতা ধরে রাখে একমাত্র খাঁরুভাজ, চিকলী ও যমুনেশ্বরী ছোট বড় প্রায় তিনটি নদী। প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে নদীপথ। বর্ষার মৌসুমে প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে এই নদীগুলো দিয়ে। তার কাল থাকে মাত্র ১-৩ মাস সময় পেরিয়ে গেলে হয়ে পড়ে মরুভূমি। বিগত কয়েক বছর ধরে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে সফলভাবে বোরো ধান, আলু, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করছে স্থানীয় কৃষকরা। অথচ এই নদী ছিল এক সময় তারাগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে নৌপথে বিভিন্ন জেলার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই খরস্রোতা নদী এখন শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান বলেন, নদীর পাশে জমি আছিল ‘হামার জমি নদীত ভাঙি গেইছে’, এখন চর হইছে। সেই চরত বোরো ধান আবাদ করছি। খুব ভালো ফলন হইচে। রহিমাপুর হাজিপাড়া গ্রামের কৃষক জোবায়ের রহমান বলেন, নদী হামার এখন আবাদের মূল হয়া গেইছে। নদীর চরে ধান, গম, ভুট্টা, আলুসহ সবজি চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যাওচে। এলাকাবাসী জানান, জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবের কারণে নদীটির বাস্তব চিত্র সবুজে ঘেরা ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। আর সেই চরে কৃষক-কৃষাণিরা দিনভর কাজ করে সোনার ফসল ঘরে তুলছেন। রহিমাপুর চাকলা খেয়াঘাটের প্রবীণ মাঝি আবজারুল ইসলাম বলেন, এই নদীতে এক সময় বিভিন্ন প্রান্ত হতে বড় নৌকায় চড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। আজ সেই নদী এখন মরা খাল। নদীর পানি দিয়ে এক সময় বোরো চাষাবাদ হতো। এখন সেসব শুধুই স্মৃতি। নদীকে বাঁচাতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারিভাবে নদী খননের মধ্য দিয়ে আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে নদীর সেই নাব্যতা ও ভরা যৌবন। নদীর বাস্তব চিত্র দেখে উপজেলার সচেতন প্রবীণদের ধারণা আগামী ১০ বছর পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কবির কাব্য কথাশিল্পীর গানের কথার মতই হয়তোবা মনে করবে, এই খানে এক নদী ছিল। আজ শুধুই স্মৃতিচারণ হয়ে থাকবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাস্সুম বলেন, নদীর বুক জুড়ে দুই ধারে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হেক্টর বোরো ধান, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলুসহ নানা ফসল চাষাবাদ হয়েছে।
|
|
|
|
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সর্বোচ্চ সজিনার ফলন হয়েছে পাইকগাছায়। সজিনায় বেসি দাম পাওয়ায় খুশি চাষীরা। শুরুতে সজিনার কেজি একশ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৭০/৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষগুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯ সালে ১৬ হাজার ও ২০ সালে ৯ হাজার মোট ২৫ হাজার সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়েছে। রোপনকৃত ডালে প্রায় ৩০ শতাংশ মারা গেছে। দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপণ করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে। সজিনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুণও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর অসময়ে ঝড়বৃষ্টি হয়নি, সজিনার ফুল আসার আহে শৈতপ্রবাহ হয়নি ও কুয়াশাও তেমন একটা পড়েনি। সর্বপরি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর সজিনার সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজিনার উচ্চমূল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।
|
|
|
|
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : শখের বশে উন্নত জাতের কুল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা সৌখিন এক ব্যবসায়ী আজগর হোসেন মন্টু। মন্টুর এমন সফলতা দেখে উপজেলার স্থানীয় অনেকেই এ ধরনের কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন বলে এমনটি প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের। যানা যায়, পৌরসভার বাসিন্দা মন্টুদের ইটের ভাটা সরিয়ে নেওয়ার পরে স্থানটি পরিত্যাক্ত পড়ে ছিল দির্ঘদিন। সেই পরিত্যক্ত যায়গায় মন্টু আবাদ করে লাগিয়েছিলেন প্রায় ৫০০টি বিভিন্ন উন্নত জাতের কুল গাছের চারা। চাষ শুরুর পর বছর ঘরতে না ঘুরতেই বাগানের কুল গাছে আশাতীত ফল ধরেছে। কুল বাগানে ছোট ছোট গাছে কুল ভরে গেছে। এলাকার অনেক সৌখিন কুল চাষী মন্টুর কুল বাগানে পরিদর্শন করছেন। বলসুন্দরী বা কাশ্মিরী জাতের কুল ছাড়াও সামাউল সিডলেস কুলসহ কয়েক প্রকার উন্নত জাতের কুল চাষ করেছেন। এসব কুল থেকে মিষ্টি, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। উপজেলার জাটিগ্রামের গোলাম রব্বানী মিয়া মন্টুর কুল বাগান দেখে অভিভূত। তারাও তাদের পরিত্যক্ত জমিতে এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। গোলাম রব্বানীর মতো অনেকেই এমন কুল চাষ দেখে অভিভূত হয়ে তাদের পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জমিতে কুল চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মন্টু মিয়ার কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। সৌখিন কুল চাষি আজগর আলী মন্টু জানান, ইটের ভাটা সরিয়ে নেওয়ার পরে জমি পরিত্যক্ত পড়ে ছিল অনেক কিছু চিন্তা করে পাঁচ একর কুল চাষ করেছি। এই বাগানে নিয়মিত কিছু লোক কাজ করে। অনেকে আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। আমি তাদের কুল চাষ করতে বলি। কুলের চারা বানিয়েছি। কেউ চারা বা পরামর্শ নিতে এলে আমি তাদের পরামর্শ দেই। বিশেষ করে যাহারা বেকার রয়েছে তাদেরকে আমি পরামর্শ দিয়ে থাকি এই জাতের কুল চাষ করতে। সবাইকে বলবো জমি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেই সেখানে কুলের চারা লাগান নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করুন। বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয় তারা জানান, এই কুল গাছে যে ভাবে কুল ধরেছে তাতে মন ভরে যায়। আগামীতে আমাদের বাড়ির চারিপাশে পরিত্যক্ত জমিতে এই ভাবে কুল চাষ করতে চাই। তখন আর অন্যের জমিতে নয়, নিজের জমিতেই শ্রম দিতে পারবো। অন্যদেরকেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার রিপন প্রসাদ সাহা জানান, কৃষকরা যদি কুল চাষসহ যে কোন ধরনের ফলের চাষে উদ্বুদ্ধ হন তাহলে আমাদের দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে এর পাশাপাশি কৃষক উপকৃত হবেন, বিদেশী ফলের উপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। এসব চাষের ফলে কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষি ও লাভজনক কৃষিতে রুপান্তরিত করতে পারবো। আজগর হোসেন মন্টু তাদের পরিত্যক্ত জমিতে যে ভাবে কুল বাগান করেছে সেটা অন্য চাষিদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
|
|
|
|
আবুল কাশেম রুমন, সিলেট : এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি এখন যেন এক সূর্যমুখীর মিলনমেলা। হাওরের বুক চিরে হলদে ফুলের রাজ্য যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। গাছে গাছে হলুদ সূর্যমুখী ফুল প্রকৃতিতে হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, সেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে চায় মন। বিস্তীর্ণ সূর্যমুখী ফুলের হলুদাভাব দৃশ্যটি যে কারো মনকে আকৃষ্ট করে তোলে। তাইতো হরহামেশা পর্যটকরা ভিড় করছেন হলদে রানীর রাজ্যে। সারি সারি সূর্যমুখী গাছের ডগায় বড় আকারের ফুল, যেন দিগন্তজুড়ে হলুদের সমারোহ। সকাল গড়িয়ে বিকেলে যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে, ঠিক তখনই হাকালুকির সৌন্দর্য ফুটে ওঠে সূর্যমুখীর হাসিতে। মৃদু রোদে দূর থেকে মনে হয় যেন সূর্যের মেলা বসেছে। বৃহত্তর হাকালুকি হাওরে বইছে যেন সূর্যমুখীর সুবাতাস। এ অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় করছেন হাকালুকির তীরে। এ হাওরে সূর্যমুখীর বাগান দেখতে আসা পর্যটকরা বলেন, পড়ন্ত বিকেলে সূর্যমুখীর হাসি সত্যিই অসাধারণ। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমরা হাকালুকিতে এসেছি। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরসহ বেশকিছু এলাকায় তৈলবীজ হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ এখন থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরকারি সহায়তায় অল্প ব্যয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়তে চলছে। সূর্যমুখী চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দু’জন মিলে প্রায় এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আগামীতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চাষ আরো বাড়াব। সাগরনালের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের আবু তাহের ও জাকির হোসেন বলেন, আমরা ইবার ফয়লা প্রায় দুই কিয়ার জমিনও সূর্যমুখী চাষ করছি। আশা করি ভালো ফলন অইব। আমরা সরকারের কাছ তাকি উপজেলার কৃষি অফিসর মাধ্যমে টেখা ছাড়া সার, বীজ ও ঔষধ পাইছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জুড়ী উপজেলার ৬৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত সূর্যমুখীর মধ্যে আরডিএস ২৭৫ ও হাইসান ৩৩ জাতের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে আরডিএস ২৭৫ প্রদর্শনীতে ও হাইসান ৩৩ ফলোআপ হিসেবে চাষ করা হয়েছে। জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, উপজেলায় মোট ৬৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হয় সে লক্ষ্যে সরকার কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। সূর্যমুখী ফুল ভোজ্যতেল হিসেবে গুণগতমানের দিক দিয়ে খুবই ভালো। বাজারে সূর্যমুখীর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় এবং উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছর বাম্পার ফলনের মাধ্যমে চাষিদের মুখে হাসি ফুটবে বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
|
|
|
|
বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ প্রচুর পরিমাণ বাজারে আসলেও দামে বেশি। মৌসুমি ঝড় বৃষ্টি এবং আবহাওয়া ঠান্ডা, গরম হওয়ার কারণে বিক্রি হচ্ছে কম। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। দাম বেশি হলেও অনেকে ঠাকুর-দেবতার প্রসাদে ব্যবহার করছেন তরমুজ। বীরগঞ্জ পৌরশহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে দু`পাশে এবং তাজমহল মোড়ে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। ফলের দোকানগুলোতে আপেল, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। সরজমিনে গেলে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী বাচ্চু, জয়নাল হাজারি, সেলিম ও হামিদ জানায়, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা,কুয়াকাটা বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। মোকামে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল ঠান্ডা, গরমের কারণে বিক্রি নাই বললেই চলে। ফলে এত দামের তরমুজ পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা আরোও জানায়, বর্তমানে বাজারে তরমুজের বেচা-কেনা না থাকায় ও আমদানি বেশি হওয়ার কারণে তরমুজ ক্রয় করে এনে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
|
|
|
|
গিয়াস উদ্দীন সেতু, ঝিনাইদহ : মেক্সিকো ও আমেরিকার ওষুধিগুন সম্পন্ন চিয়া চাষ হচ্ছে এখন ঝিনাইদহে। জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিতলী গ্রামে ডাঃ রাজিবুল ইসলাম নামে এক ইউনানী চিকিৎসক ২৯ শতক জমিতে এ বছর পরীক্ষামুলক ভাবে পুষ্টিগুন সম্পন্ন চিয়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের আবু বকর মাষ্টারের ছেলে। হরিণাকুন্ডু অঞ্চলের মাটিতে চিয়ার বাম্পার ফলন কৃষকদের মাঝে এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসক রাজিবের ক্ষেতে চিয়া চাষ এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অনেক কৃষক এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান রাজিব। মেক্সিকোসহ ইউরোপের দেশগুলোতে চিয়া একটি ঔষধি ফসল হিসেবে চাষ হয়। এর বৈজ্ঞনীক নাম সালভিয়া হিসপানিকা। ২০১৭ সালে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন গ্রামে চিয়া’র প্রথম চাষ শুরু করেন কৃষক নুরুল আমিন। তার দেখাদেখি সারা দেশেই কমবেশি এই চাষ শুরু হয়েছে। ডাঃ রাজিবুল অনুপ্রাণিত হয়ে চিয়া চাষ শুরু করেছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া হিসপানিকা উদ্ভিদের বীজ হচ্ছে চিয়া সিড বা বীজ। যার আদি জন্মস্থান সেন্ট্রাল আমেরিকা। সেখানকার প্রাচীন আদিবাসী অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় থাকা চিয়া সিডকে তারা সোনার থেকেও মূল্যবান মনে করতেন। তারা বিশ্বাস করতেন এটা তাদের শক্তি ও সাহস জোগাবে। সব ধরনের আবহাওয়ায় জন্মানো চিয়া সিড দেখতে সাদা ও কালো রঙের তিলের মতো ছোট সাইজের হয়ে থাকে। অনেকেই চিয়া সিডকে তোকমা বলে ভুল করে থাকে। দেখতে প্রায় একই রকম হলেও জন্মস্থান, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে রয়েছে কিছু পার্থক্য। চিয়া সাধারণত তিন মাসের ফসল। অক্টোবর মাসে বীজ রোপন করতে হয়। ৩৩ শতকের বিঘায় মাত্র তিন’শ গ্রাম বীজ লাগে। চাষ পদ্ধতিও খুব সহজ। হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি অফিসার হাফিজ হাসান বিষয়টি নিয়ে জানান, ঔষুধি গুন থাকায় চিয়া একটি লাভ জনক চাষ। হরিণাকুন্ডুর শিতলী গ্রামের রাজিবুল ও চাঁদপুরের জিল্লুর রহমান এই চাষ শুরু করছেন। কৃষকরা ব্যাপক ভাবে এই চাষে ঝুকে পড়লে অন্যান্য ফসলের উপর থেকে চাপ কমবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের আবহওয়া ও মাটি চিয়া চাষের জন্য উপযোগী। হরিণাকুন্ডু কৃষি বিভাগ চিয়া চাষে কৃষকদের সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ইউনানী মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসমাউল হুসনা জানান, সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক এবং ক্যাফিক এসিড নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট। রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয় আঁশ। তিনি জানান, এক আউন্স চিয়াা বীজে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৫ গ্রাম ফ্যাট, ১১ গ্রাম ফাইবার, ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট (যার মধ্যে ১১ গ্রাম হল ফাইবার)। দৈনিক এক আউন্স চিয়া বীজ খেলে ১৮% ক্যালশিয়ামের চাহিদা, ২৭% ফসফরাসের চাহিদা এবং ৩০% ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ হতে পারে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অনাবাদি জমিতে এবার সূর্য্যমুখির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে। সফল হয়েছে কৃষি অফিসের উদ্যোগ ও পরামর্শ। জমিতে উৎপাদিত সূর্য্যমুখির নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছেন। তেল ফসল সূর্য্যমুখির বাম্পার ফলন ঘরে তোলা হলে অবশ্যই কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন। এতে অর্থ উপার্জনে নতুন এক সম্ভাবনার নাম সূর্য্যমুখি চাষ। আর্থিক ভাবে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে জগন্নাথপুর। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। যা অতীতে ছিল না। জানাগেছে, জগন্নাথপুরে বছরে দুইবার জমি আবাদ হয়। এর মধ্যে নিচু জমিতে বোরো ও উঁচু জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়। রোপা আমন ধান কাটার পর জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে। এসব বিশাল আয়তনের অনাবাদি জমিগুলো কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার এর প্রাণপন প্রচেষ্টায় কৃষকদের উৎসাহিত করে গত বছর প্রথম বারের মতো জগন্নাথপুরে স্বল্প পরিসরে সূর্য্যমুখি আবাদ করা হয়। এতে লাভবান হওয়ায় এবার সূর্য্যমুখি আবাদে কৃষকরা ঝাপিয়ে পড়েন। কৃষি অফিস জানায়, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আমনের অনাবাদি ২০ হেক্টর জমিতে সূর্য্যমুখি আবাদ করেছেন মোট ৬০ জন কৃষক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কৃষি-উপকরণ বিতরণ করা হয়। চলছে নিয়মিত তদারকি। কৃষি অফিসের প্রচেষ্টা ও কৃষকদের পরিশ্রমে অবশেষে জমিতে সূর্য্যমুখির বাম্পার ফলন হয়েছে। যা সরকারি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ টন। এতে প্রায় ২১ লাখ টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুর্য্যমুখি ফুল ও গাছ থেকে উন্নতমানের কোলেস্টেরলমুক্ত তেল উৎপাদন হয়। এসব তেল বর্তমানে বাজারে প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সূর্য্যমুখি থেকে শিশু খাদ্য, খাওয়ার বাদাম, গবাদিপশুর খাদ্য ও জ্বালানী হয়। জমি রোপনের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। ব্যয় কম ও আয় বেশি হওয়ায় সূর্য্যমুখি আবাদে কৃষকদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। এ ব্যাপারে ১০ মার্চ বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, জগন্নাথপুরে এবার সূর্য্যমুখির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে অনাবাদি জমিগুলো কাজে লেগেছে। আগে এসব জমিতে এক ফসল হিসেবে শুধু রোপা আমন চাষ হতো। এখন থেকে দুই ফসল হবে। আমনের পর আবাদ হবে সূর্য্যমুখি। আগামী বছর ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্য্যমুখি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশে ব্যাপক ভাবে সূর্য্যমুখি আবাদ হলে বিদেশ থেকে কোলেস্টেরলমুক্ত তেল আমদানি করা লাগবে না। এতে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
|
|
|
|
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি সুপরিচিত পানি নিস্কাশনের খালবিল এখন পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারনে ধান ও মাছ চাষের উপযোগী করে পুকুর তৈরী করেছে স্থানীয় জনগন ও মাছ চাষ ব্যাবসায়ীরা। পাঙ্গাসী ইউপির গ্রামপাঙ্গসী মনোহর পুর হয়ে বয়ে আসা মাটিকোড়ার খাল, কালিয়াবিল হয়ে বয়ে আসা মাটিকোড়া রামেশ্বর গাতী নাড়ুয়ার খাল,ভেড়ার দহ হয়ে বৈকন্টুপুর বেংনাইএর মাঝ দিয়ে বয়ে আসা নাড়ুয়ার দউ ও বয়লাবিলের খাল,গ্রামপাঙ্গাসী হাট কান্দার খাল নলকা ইউপির বাগনিবিল ও জুগনি বিল এর খাল,ঘুড়কা ইউপির ঘুড়কা চর পাড়ার খাল এসব খাল বিল এক সময় সারা বছর জুড়ে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ভরপুর ছিল এবং এসব বিলে ছিল বছর জুড়ে মাছ ধরার মহাউৎসব। বেলা দুপুর গড়াতেই ছিল গবাদী পশুর গোসল ও সাধারন জনগনের খাল বিলে সাতার কাটা ও গোসলের হিড়িক। র্বতমানে এসব খাল বিল পলি পড়ে ভরাটের কারনে মাছ চাষ আর ধান চাষের উপযোগী হয়ে পড়েছে।আগের মতো কিছুই নেই কোন কোন জায়গায় খাল বিলের চিহ্নও চোখে পড়েনা মনে হয় এযেন ফসলী মাঠ।গতকাল বৃহঃবার আংগারু গ্রামের আমান আলী বলেন একসময় আমাদের এই বাগনি ও জুগনি বিলে মাছ ধরা থেকে শুরু করে পালতোলা নৌকা চলাচলের ব্যাপক সুনাম ছিল এবং অনেক দূর থেকেউ এখানে মাছ ধরতে আসতো অনেকে। নাড়ুয়া বৈকন্টুপুর গ্রামের মাঠে র্কমরত কয়েক জন কৃষক বলেন সরকারি ভাবে উদ্দোগ নিয়ে যদি এসব খাল ও বিল পুনরায় খনন করে পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা করা হয় তাহলে এ সকল খাল বিলের আগের ঐতিয্য ফিরে আসবে এবং জনগনের অনেক উপকারে আসবে।এদিকে এলাকাবাসী এসব খাল বিল পুনরায় খননের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
|
|
|
|
|
|
|