অসহায় ও ছিন্নমূলদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
গাজীপুর প্রতিনিধি : মাহে রমজানের প্রথম দিন থেকে অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে "দশের ইফতার" শিরোনামে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন। তারি ধারাবাহিকতায় রমজানের প্রথম দিন গত ১৪ এপ্রিল, ১৫ ই এপ্রিল দ্বিতীয় দিন, ১৬ এপ্রিল তৃতীয় দিন এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ দিন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্থায় করোনাকালিন সময়ে যথাযথ সাস্থ বিধি মেনে প্রায় ১০০ ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন আলহামদুলিল্লাহ, গত বছরের ধারাবাহিকতায়, রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে আমাদের "দশের ইফতার" এর পক্ষ থেকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা মোড়ে রোজাদারদের কে ইফতার করানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এই চেষ্টা রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য গত বছর রমজানে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন এর পক্ষ থেকে "দশের ইফতার" ব্যানারে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল রোজাদারদের কে রমজানের পুরো মাস ব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হয়েছিলো।
|
গাজীপুর প্রতিনিধি : মাহে রমজানের প্রথম দিন থেকে অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে "দশের ইফতার" শিরোনামে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন। তারি ধারাবাহিকতায় রমজানের প্রথম দিন গত ১৪ এপ্রিল, ১৫ ই এপ্রিল দ্বিতীয় দিন, ১৬ এপ্রিল তৃতীয় দিন এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ দিন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্থায় করোনাকালিন সময়ে যথাযথ সাস্থ বিধি মেনে প্রায় ১০০ ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন আলহামদুলিল্লাহ, গত বছরের ধারাবাহিকতায়, রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে আমাদের "দশের ইফতার" এর পক্ষ থেকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা মোড়ে রোজাদারদের কে ইফতার করানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এই চেষ্টা রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য গত বছর রমজানে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন এর পক্ষ থেকে "দশের ইফতার" ব্যানারে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল রোজাদারদের কে রমজানের পুরো মাস ব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হয়েছিলো।
|
|
|
|
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সন্তানদের উদ্যোগে বিনামুল্যে মাস্ক বিতরণ ও প্রচারাভিযান করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাসান মারুফ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুর রহিম ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এতে অংশগ্রহন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, ইকবাল হাসান, নুরুল আমিন, আব্দুল কদ্দুছ, প্রদীপ বিশ^াস, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ভাই সাংবাদিক ম. নুরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, পৌর শাখার সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান কাউসার, সাংবাদিক কমল সরকার, রইছ উদ্দিন, ফারুক আহম্মদ, শেখ মোঃ বিপ্লব, আরিফ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাজিবুল হক, রুবেল মিয়া প্রমুখ।
|
|
|
|
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : গোলাম মোস্তফা সমাজ সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে ভাল বাসেন, পাড়া বা মহল্লায় করো কিছু হলে সবার আগে ছুটে যান। যতক্ষন না এ সমস্যা সমাধান হয় ততক্ষণ পর্যন্ত জায়গা ত্যাগ করেন না তিনি।এযেন এক সাদা মনের মানুষ। তার বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানি ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ছেলে গোলাম মোস্তফা(৪২)। সংসারজীবনে ২মেয়ে ১ ছেলে, স্ত্রী ছালেহা বেগম একজন আর্দশ গৃহিনী।পেশায় তিনি একজন সাধারণ অল্প আয়ের মানুষ। কবিরাজি পেশায় কোন মতে দিন চলে তার। বিগত দুই বারের নির্বাচনে ১০ থেকে ১৫ ভোটে হেরে যাওযার পরেও ইউপি সদস্য হওয়ার স্বপ্ন বুকে লালন করে অবিরাম গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সে। তার এ প্রচেষ্টাকে কিভাবে দেখছেন তার এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে কথা হয় ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোগতা গোলাম আজম এর সঙ্গে তিনি বলেন, একজন মানুষ আর একজন মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য যে এতটা নিবিদিত হয় তার উজ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে মোস্তফা ভাই। যে কেউ কোন কাজ নিয়ে যদি আসে আর যদি সেটা তার জন্য কষ্টের হয় তা সমাধানের জন্য তিনি ছুটে আসেন তা সমাধান না হওয়ার পর্যন্ত উনি তথ্য সেবায় আছেন।অনেক সময় আমি বিরক্ত হই, কিন্তুু তার মাঝে বিরক্তির ছাপ পাওয়া যায় না। আব্দুর রহিম বলেন, যে কারও বাচ্ছার কিছু হলে সবার আগে ছুটে আসেন তিনি তার সাধ্য মত ঝার ফুঁকে ভাল হলে ভাল, না হলে নিজের পকেটে যা আছে তা উজার করে দেন।মোছাঃমনোয়ারা বেগম বলেন,ওনার জন্য আমরা ২০ জন মহিলা কলসিতে মুষ্টিটির চাল রাখছি নির্বাচনে বের করব।কারন ও গরীবের বন্ধু। দেলোয়ার হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা একটি উপকারী গাছের ন্যায়।আনিচুর রহমান ও সাধন বাবু বলেন, অনেক সময় হেরে যাওয়ার মাঝে ও আনন্দ আছে তা তাকে দেখলেই বুঝা যায়। শিক্ষা নাই দিক্কা নাই, এমনকি অর্থও নাই, তার পরও মানুষের পাশে যেভাবে দাড়ায় তা বলে বুঝাতে পারব না। এবারে তাকে আমরা পাশ করে ছারব ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রথমবার হেরেছি ১৫ ভোটে দ্বিতীয় বার হেরেছি ১০ ভোটে অনেক ভোট বাতিল হয়েছে ওই ভোট গুলো যদি বাতিল না হতো তাহলে আমি মেম্বার নির্বাচিত হতাম।হয়তো বা নিয়তি আমার সঙ্গে খেলেছেন, তা মেনে নিতে হয় এবং নিয়েছি।এবারে আমার জনপ্রিতা বিগত বছরের চেয়ে আশাকরি বেশি হয়েছে। আমি মানুষের জন্য কতটুকু সেবা করেছি এবং করি তা নিজের মুখে বলবনা তা আমার ওয়ার্ডের ভোটারগন বিবেচনা করবে।তবে আমি যে কথাটা বরাবরই বলে আসছি, আমি মেম্বার নির্বাচত হলে, একটি কার্ড আমার জন্য, আর একটি কার্ড আমার স্ত্রীর জন্য করব।আর যা থাকবে তা আমার মতো আমার ওয়ার্ডের ভোটারদের জন্য থাকবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : বাড়িতে আগুন লাগলে কিভাবে নেভানো যাবে তা জানতে সপরিবার ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডিতে নিজ বাড়িতে আগুন লাগলে প্রাথমিক করণীয়গুলো জেনে নিতে পরিবারসহ ফায়ার সার্ভিসের ওই মহড়ায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে ও ছেলের স্ত্রী, মেয়ে এবং বাসার কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই অংশ নেন মহড়ায়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা অঞ্চলের একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি দল এ মহড়া পরিচালনা করে। দুই ঘণ্টা সময়ের মহড়ায় বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বাস্তব ব্যবহার, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগলে আগুন নেভানোর পদ্ধতি, হাতেকলমে আগুন নেভানোর বিভিন্ন পদ্ধতিসহ ফায়ার সচেতনতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রত্যেকেরই ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা উচিত।
|
|
|
|
বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান : বান্দরবানে গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। এদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, বিনোদনকেন্দ্র ও সড়কে চলাচলরত পথচারী এবং পর্যটকদের অনেকেই ব্যবহার করছে না মাস্ক। মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলা ও গণজমায়েত না হতে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না। এতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে সাধারণ জনগণ। বান্দরবানের শিশুপার্ক, মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও বাজার ঘুরে দেখা যায় অনেক পথচারী এবং পর্যটকরা মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন। অনেক পর্যটক বেড়ানোর জন্য বান্দরবানে আসছেন, তবে তাদের মধ্যে অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে বান্দরবানের সুয়ালকের ন্যাচরাল পার্ক পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটক সুদয় বড়ুয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে ভালো লাগে না। তাছাড়া ঘরে থাকতে ইচ্ছে না হওয়ায় ভ্রমণ করতে এসেছি। তবে সময় হলে মাস্ক ব্যবহার করবো।রাউজান থেকে বান্দরবান বেড়াতে আসা পর্যটক মো. তৌহিদুর রহমান জানান, নরমালি আমরা মাস্ক ব্যবহার করি তবে বিনোদন কেন্দ্রে মাস্ক পড়লে বিনোদনটাই নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে বান্দরবানের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বান্দরবানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২ জন। আক্রান্ত ২ জনই বান্দরবান সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য বিভাগ আরো জানায়, এ পর্যন্ত বান্দরবানে ৬ হাজার ১৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে ৫ হাজার ৮৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে এদের মধ্যে সর্বমোট ৯২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা এবং মাস্ক ব্যবহারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো অব্যাহত রয়েছে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ ও জরিমানা আদায় করে অসচেতন ব্যক্তিদের সচেতন করার কার্যক্রম প্রশাসন প্রতিদিনই চালাচ্ছে। বান্দরবানের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. জাকির হোসাইন জানান, আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ অনুরোধ না মানলে আমরা আগামীতে আরো কঠোর হবো এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করবো। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা বলেন, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্নস্থানে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। তিনি আরো বলেন, গত বছর আমরা বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, এবার মার্চে আবার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে তাই আমাদের আবারো সবাইকে একযোগে এই ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
|
|
|
|
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : একজন মানবিক, সৎ, দক্ষ পুলিশ অফিসার ফরিদপুরের মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দুএকটি পত্রিকায় স্কুল শিক্ষকের লঞ্চিত করার অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে ওসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে মাত্র। তিনি আরও বলেন, গত ৪/৩/২০২১ ইং তারিখে শুকুমার ঘোষ,, সাং বাগাট , মধুখালী ,ফরিদপুর। থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে তার মেয়ে সেতু ঘোষ হারিয়ে গেছে । (জিডি নং ১৮৬ ) সেখানে সে আরও উল্লেখ করে কোড়কদী ইউনিয়নের সজীব বিশ্বাস তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। তদন্ত স্বার্থে ওসি মধুখালী ছেলের বাবাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে, আপনার ছেলের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ থাকলে আমাকে জানান বলে ঐ শিক্ষককে অনুরোধ করেন। এসময় সজীব বিশ্বাসের বাবা বলে আমার ছেলের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নাই। কললিস্টে দেখা যায় তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ আছে । এভাবে একজন শিক্ষক মিথ্যা কথা বলার কারণে ওসি নিজেই লজ্জা পান। সেখানে মেয়ে পক্ষের চার পাচ জন আত্মীয়-স্বজনসহ বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খান, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য দেবপ্রসাদ রায়, ও মধুখালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিল,আমি এ ধরনের কোন আচরণ তার সঙ্গে করিনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ধনীর দুলালী সেতু ঘোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার সময় অনেক নগদ অর্থ ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পালিয়ে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এই নাটক সাজিয়েছে সজীব বিশ্বাসের বাবা সুশান্ত বিশ্বাস।এলাকা সূত্রে জানা যায় সেতু ঘোষ আগেও মুসলিম সহ একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার সালিশ মীমাংসা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।একশ্রেণীর লোকের ইন্দনে একজন সৎ দক্ষ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করছে মধুখালীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ সুশীল সমাজ।
|
|
|
|
ডয়েচে ভ্যালে, জার্মানি : করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই এগিয়ে নিতে প্রথম বিওনওটক, ফাইজারের কার্যকর টিকা উদ্ভাবন করেন জার্মান গবেষক ওজলেম তুরেশি ও উগুর শাহিন দম্পতি। ফাইজারের এই টিকার জন্য গত বছর সারা বিশ্ব কূটনৈতিক লড়াইয়ে জড়িয়ে যায়। বিশেষ করে শক্তিশালি রাষ্ট্রগুলো। তুরস্কের এই মুসলিম দম্পতি জার্মানিতে অভিবাসি নাগরিক হিসেবে আছেন। ছোটবেলায় তারা তুরস্ক ছেড়ে জার্মানিতে চলে যান পরিবারের সাথে। করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম উদ্ভাবন করে মানবজাতির ইতিহাসে এই দম্পতি এখন ইতিহাস। তাঁদের হাত ধরেই প্রথম কার্যকর টিকার সন্ধান পায় বিশ্ববাসী। রক্ষা পায় বহু মানুষের জীবন। আর তারই স্বীকৃতি হিসেবে এ দুই গবেষককে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘গ্র্যান্ড ক্রস অব মেরিট’এ ভূষিত করেছে জার্মান সরকার। এটি জার্মান সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার। বার্লিনে রাষ্ট্রপ্রধানের সরকারি বাসভবন বেলভিউ প্রাসাদে সম্প্রতি এ দুই গবেষকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টর স্টাইনমায়ার। দুজনের হাতে পদক তুলে দিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁদের যুগান্তকারী এই উদ্ভাবন মানবজীবন ও জীবিকা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ আয়োজনে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে বড় অর্জনের দেখা মেলে। ওই দিন জার্মানির প্রতিষ্ঠান বিওনটেক ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রস্তুতকারক ফাইজার বিশ্বের প্রথম কার্যকর করোনা টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। এ টিকা জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কে ৪৩ হাজার ৫০০ ব্যক্তির ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ওই সময় বলা হয়, টিকাটি করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবিত এটিই বিশ্বে প্রথম অনুমোদিত করোনার টিকা। করোনার টিকা উদ্ভাবনে বিওনটেক ও ফাইজারের এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি ওজলেম তুরেশি ও উগুর শাহিন। তাঁদের পড়াশানা জার্মানিতেই। ২০০৮ সালে মধ্য জার্মানির মাইনজ শহরে রাইন নদীর তীরে গড়ে তোলেন জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিওনটেক। তাঁদের এ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে ক্যানসার চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে।
|
|
|
|
ফরিদপুর প্রতিনিধি : সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাজী মো: আবুল কাশেম মোল্যা। ৮০ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়োইল গ্রামে। শনিবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা। দিনব্যাপী ভূরিভোজে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শনিবার ১২টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন মসজিদের ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন। আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি। বড় ছেলে মো. মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় ছেলে ওহিদুজ্জামান ফিরোজ, তৃতীয় ছেলে মো. লিটন মিয়া ও চতুর্থ ছেলে কায়ুমুজ্জামান। বৃদ্ধ হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।
|
|
|
|
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : এক মধ্যবয়সী নারী শুক্লা রাণী দেব জীবনের গান হয়ত অনেকটাই এম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামে তার বাড়ি। স্বামী মারা গেছেন প্রায় তিন দশকের কাছাকাছি। একমাত্র সন্তান ও মারা গেছেন স্বামী মৃত্যুর ক’বছর পর। এরপর আর বিয়ে-শাদী হয়নি। একেত বিধবা আবার নিঃসন্তান, থাকেন ভাইদের সাথে টানাপোড়েন সংসারে, তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। বেগতিক দেখে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নামেন কিছু একটা করে খাওয়ার জন্য। যা তা করা যায় না, চাই একটু সম্মানের পেশা, এ জন্য বেছে নিলেন পত্রিকা বিক্রির কাজ। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে বাড়ি-বাড়ি, দোকানে-দোকানে পত্রিকা বিক্রি করে যা পেয়েছেন, তাতে এতদিন চললেও এখন আর পারছেন না। কারণ,“ বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ”। একদা মানুষ পত্রিকা পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে থাকলেও, তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ইন্টারনেটে সব খবর হাতের মুঠোয় পাওয়া যায় বলে- এখন আর আগের মতন কেউ পত্রিকা পড়েন না। তাই পত্রিকা পাঠের আগ্রহ বা চাহিদা আগের মত আর নাই। হাতে গুনা বিশ/ত্রিশটা পত্রিকা প্রতিদিন আনলেও অধিকাংশই অবিক্রিত থাকে।"স্যার, একটা পত্রিকা দেন,“ এই বেলা বেচা না অইলে সন্ধ্যা বেলায় ১০ টাকার পত্রিকা ১০ টাকা কেজি দরে বেচন লাগব ”। একটা পত্রিকা নেন স্যার “পত্রিকা বেচনের টাকা দিয়া অষুধ খামু”। কথাটা শুনে এ প্রতিনিধি থমকে দাঁড়াই। জানতে চাইলাম হালহকিকত, বললাম- লাভ না হইলে পত্রিকা বেচেন কেন? বললেন- "কি আর করুম আর তো কিছু জানি না, কত মাইনষের কাছে গেছি কেউ একটা বয়স্ক ভাতা তো দূর, বিধবা ভাতা ও করে দিল না”। এই ভাবে কি বাচন যায় স্যার-"আঁচলে যখন চোখ মুছলেন, আর কোন কথা বাড়াইনি। কথা বাড়ানোও যায় না! বল্লেন- একটা পত্রিকা নেন স্যার ,একটা পত্রিকা নিলাম। আর নিলাম জীবন ও সময়ের কাছে নত হতে যাওয়া এক নারীর এই সাক্ষাতকার। কোন সুহৃদ ব্যক্তি কি তার পাশে দাঁড়াবেন।
|
|
|
|
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে স্লিপের বরাদ্দ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণে নামহীন কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ইনফ্রায়েড/নন-কন্টাক্ট থার্মোমিটার ক্রয়ে অনিয়ম করা হচ্ছে। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোমলমতি শিশুদের জন্য এমন গুরুত্বপূর্ন একটি জায়গায় নামহীন কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্লিপের বরাদ্দ টাকা থেকে ১২১ টি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা, ১১ টিতে ৭০ হাজার টাকা এবং ১টিতে ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার অর্ধেক পরিমাণ টাকা এসেছে। এ টাকা থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ হিসেবে- স্থায়ী ইনফ্রায়েড/নন-কন্টাক্ট থার্মোমিটার, স্প্রে মেশিন, ব্লিচিং পাউডার, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, জগ, মগ ও বালতি সহ অন্যান্য সামগ্রি ক্রয় করা হবে। গত বছরের ১৭ মার্চ বন্ধ হওয়া স্কুলগুলো আগামী ৩০ মার্চ চালু করা হবে বলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজশাহীর ‘মার্চইডুকিট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ‘কে৯ প্রো ইন্টিলিজেন্ট সেনসর সোয়াপ ডিস্পেন্সার’ মেশিন এবং ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ সরবরাহ করছেন। প্রতিটি মেশিনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭ হাজার টাকা এবং ২ হাজার মিলি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর দাম ধরা হয়েছে ১২শ টাকা। স্যানিটাইজার বোতলের মোড়কের গায়ে হ্যান্ড এর নাম লিখা থাকলেও কোম্পানির কোন নাম লিখা নাই। ৫০০ মিলির বোতল ২৮০ টাকা মূল্য লিখা থাকলেও ২৫০ মিলি বোতলে কোন মূল্য লিখা নাই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে মেশিন এবং ২ হাজার মিলি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনা হচ্ছে। নামহীন এই কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৫০০ মিলির বোতলের দাম ২৮০ টাকা হিসেবে ২ হাজার মিলির মূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ১২০ টাকা। সেখানে শিক্ষকরা কিনছেন ১২শ টাকায়। এছাড়া অনলাইন শপিং মার্কেট ‘দারাজ’ এ ওই একই রকম মেশিনের দাম ৪ হাজার ৮শ টাকা থেকে ৬ হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নামহীন কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার কোমলমতি শিশুদের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ন। নামহীন কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মেশিন বাজার থেকে তুলনামুলক বেশি দাম দিয়ে কেনা অনেকটা অস্বচ্ছতা দেখা দিয়েছে। রাজশাহীর ‘মার্চইডুকিট’ প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ হোসেন মাসুদ বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে পরে আমার সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মোমিটার সরবরাহের চুক্তি হয়। আমরা ঢাকা থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বড় বড় ড্রাম কিনে পরে ছোট ছোট বোতলজাত করেছি। এছাড়া থার্মোমিটার মেশিনের দাম বাজার থেকে বেশি নেয়ার বিষয়ে বলেন- আমরা ব্যবসা করি, কিছুটা তো লাভ করতেই হয়। এছাড়া এক বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া হচ্ছে। উপজেলার প্রধানকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা,লালুকা বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান রশিদুল ইসলামাম ও রামশাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আরা বেগম বলেন, শুনলাম এ মাসেই বিদ্যালয় চালু করা হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্লিপের বরাদ্দ থেকে আমরা এসব মালামাল কিনছি। কয়েকটা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তবে এ কোম্পানি অনেকটা সাশ্রয় মনে হয়েছে।
|
|
|
|
কাজী আনিস, নড়াইল : নড়াইলের শাহাবাদ ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ গাইন এর স্ত্রী ফুল মতি (৮০) কে নিয়মিত নির্যাতন করে আসছিল বৃদ্ধার ছেলে ও ছেলে বউ। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ীতে কাউকে কিছু না বলে তিনি নড়াইল পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ দেন ৬মার্চ শনিবার। পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন পিপিএম এর সাহায্যে তাকে গ্রামের বাড়ীতে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।তার পর থেকেই তিনি ঐ বৃদ্ধার নিয়মিত খোঁজ খবর নিতে থাকেন। গত বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার বৃদ্ধাকে দেখতে বিষ্ণুপুর গ্রামে যান এবং বলেন মা কেমন আছেন। তার সার্বিক খোজ খবর নিয়ে বৃদ্ধাকে আশ্বস্ত করে বলেন এরকম আবার হলে আমাকে জানাবেন। এবং তার হাতে কিছু ফল দেন। ফল পেয়ে বৃদ্ধা খুশিতে পুলিশ সুপারের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। আর বলেন বাবা তুমি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকবা আল্লাহ তোমাকে ভালো রাখবে।
|
|
|
|
বাগেরহাট প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর পেলেন বাগেরহাট সড়কের পাশে ঝুপড়ি ঘরে থাকা বৃদ্ধ দম্পতি রতন কুমার বিশ্বাস (৮০) ও মনিরা বেগম (৬৫)।বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট ট্রাফিক মোড়-দাসপাড়া সড়কের মেগনিতলাস্থ এলাকার ঝুপড়ি ঘর থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি‘র ব্যবহৃত গাড়িতে করে রনসেন গুচ্ছ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা দুই কক্ষের একটি পাকা ঘরে তুলে দেওয়া হয় এই দম্পত্তিকে।বৃদ্ধ বয়সে পাকা জমিসহ পাকা ঘর, থাকার চকি, খাবার ও নতুন পোশাক পেয়ে খুশি অসহায় এই বৃদ্ধ দম্পতি। এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সহকারী সচিব এইচএম শাহিন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, সহকারী কমিশনার ভুমি মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধ রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু স্বীকৃতি পাইনি। আবেদন করেছি মন্ত্রণালয়ে কি হবে জানিনা। বাবার যত সম্পদ ছিল মানুষে জোর পূর্বক জাল দলিল করে দখল করে নিয়েছেন।এখন আমার দখলে কোন জমি নেই। দশ বছরের বেশি সময় মেগনিতলা রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ির মধ্যে থাকতাম। বিভিন্ন সময় অনেকেই অনেক কিছু দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কিছুই পাইনি।আজকে প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় একটি পাকা ঘর পেয়েছি।বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যাদের চেষ্টায় আমাদের এই ঘর প্রদান করা হল তাদের ধন্যবাদ জানাই।মরার আগ পর্যন্ত পাকা ঘরে থাকতে পারব এই ভেবেই খুব আনন্দ লাগছে মনে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মারতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই বৃদ্ধ। রতন কুমারের সহধর্মিনী অসুস্থ্য মনিরা বেগম বলেন, পৃথিবীতে কেউ নেই আমার। ১৫ বছর আগে তার (রতন কুমার বিশ্বাস) সাথে এক সাথে থাকা শুরু করি। কিছুদিন বেড়িবাঁধে থেকেছি। পরে দশ বছর ধরে খেয়ে না খেয়ে মেগনিতলার ঝুপড়িতে আছি। আজ পাকা ঘর পেলাম। জীবনে পাকা ঘরে থাকব তা কখনও ভাবতে পারিনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি। বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা রতন কুমার বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি তার সহধর্মিনীকে নিয়ে সড়কের পাশে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।আমি তার খোজ খবর নেই।তাকে রনসেন গুচ্ছ গ্রামে জমিসহ একটি ঘর দেওয়ার প্রস্তাব দেই। তিনি রাজি হন। সেই প্রক্রিয়া হিসেবে পাকা ঘর, খাট, পোশাক, হাড়ি-পাতিল, খাবারসহ তার জন্য নির্ধারিত ঘরে উঠিয়ে দিয়েছি। বয়স বেশি হওয়ায় শারীরিকভাবেও একটু অসুস্থ্য তারা দুজন। এজন্য সহজে পানির সংস্থানের জন্য তাদের ঘরের পাশে একটি ডিবটিউবওয়েলও বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আশা করি বাকি দিনগুলো এই দম্পতি শান্তিতে থাকতে পারবেন। রতন কুমার বিশ্বাসের মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ও জানানউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম। বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাটবাসীর যেকোন সমস্যা আমাদের প্রিয় নেতা সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নজরে আসলেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। রতন দম্পত্তির অসহায়ত্বের খবর শুনে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি তার নির্দেষনা অনুযায়ী রতন দম্পতির সাথে দেখা করেছি, কথা বলেছি। সবশেষ সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বসবাসের জন্য একটি ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। তাদেরকে অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। রতন কুমার বিশ্বাস ও মনিরা বেগম দুইজনের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার কালদিয়া গ্রামে। দুইজনেরই কোন জায়গা জমি নেই। কোন সন্তানও নেই। দুই জনে ধর্মের হলেও ১৫ বছর ধরে একই সাথে বসবাস করে আসছেন তারা।
|
|
|
|
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতীয় ভোটার দিবস পালণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে মধুখালী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ সকল কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয় উপজেলা পর্যায়ের সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে সরকার ঘোষিত "ক্যাটাগরি বি" পর্যায়ের এই জাতীয় দিবসটি উযযাপিত হয়। ৩য় বারের মতো উদযাপিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, "বয়স যদি আঠারো হয়, ভোটার হতে দেরি নয়"। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে এবার কোন র্যালীর কর্মসূচী না থাকলেও ভার্চুয়াল আলোচনা সভার পাশাপাশি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন অফিসসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়েছে। মধুখালীর উপজেলা নির্বাচন অফিসও তাই নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। দিবসটিকে তাৎপর্যপূর্ণ ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে মধুখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার ও জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সেবা রেজিস্টার খুলে নাগরিক সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। মধুখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসে অন্যান্যদের মতো নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য আসা রহিমা খাতুন (৫৬) এর সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। আলাপকালে তিনি সহ উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রদত্ত নাগরিক সেবার মান, ধরণ, কালক্ষেপণ না করে তাৎক্ষনিক সেবা প্রদানের কারণে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
|
|
|
|
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ : পঞ্চম ধাপে হবিগঞ্জের পৌরসভা নির্বাচনে দুই হাজার ৩৩২ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৩,৩২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান নারিকেল গাছ ১০,৯৯০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট এনামুল হক সেলিম ধানের শীষ নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ২৪২ ভোট । ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সামছুল হুদা হাতপাখা প্রতীকে ৮৭৮ ভোট। বশিরুল আলম কাউছার মোবাইল ফোন প্রতীকে ২৩৬ ভোট। গাজী পারভেজ হাসান জগ প্রতীকে ২৪৮ ভোট পেয়েছেন । এর মধ্যে ২৯০০৬ ভোট কাস্ট হয়। বাতিল হয় ৯০ ভোট। ২৪টি কেন্দ্রে ৯ টি ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পৌরসভার নির্বাচনের সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। শহরতলি ও পৌরসভার বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোতে সকাল থেকেই নারী ভোটারের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অবশ্য প্রথম দেড় ঘণ্টায় শহরের কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম চোখে পড়ে। ভোটের সার্বিক পরিবেশে সন্তুষ্ট প্রার্থীরাও। ভোটাররা বলছেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর অন্য কোনো ভোটে এমন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু পরিবেশ দেখেননি তাঁরা। কেউ কেউ এই ভোটকে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ‘আস্থা’ ফেরানোর ভোটও বলে মন্তব্য করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের উমেদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিল পুরুষ ভোটারের দীর্ঘ সারি। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উম্মেদনগর শাহজালাল সুন্নিয়া একাডেমি ২নং কেন্দ্রে নারী ভোটারের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এখানে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতির কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেন ভোটাররা। নারী ভোটারের রেকর্ড উপস্থিতির চিত্র ছিল ২ নং কেন্দ্রেও। হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটারের ঢল নামে। এখানে ভোট দিতে আসা ভোটার রশিদ মিয়া ও খাইরুন বেগম জানান, প্রায় এক যুগ পর মনে হচ্ছে সত্যিকারের ভোট দিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর এমন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশ অন্য কোনো নির্বাচনে দেখেননি। উল্লেখ্য , ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার নির্বাচন কমিশনের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ৯শ ৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬শ ২০। এখানে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ১৯৪৭ সাল থেকে সংরক্ষিত পৌরসভার দাপ্তরিক তথ্যানুযায়ী এবার নির্বাচিত হয়েছেন ৩২তম পৌর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানান, সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) শান্তিপূর্ণভাবে চলে ভোটগ্রহন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ১শত ২০ সদস্যের ৬ প্লাটুন ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-এর ৪টি টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়াও দায়িত্বে পালনন করেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম বিজয়ের খবর জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়লে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির এমপি’র বাসভবন ও জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা নৌকার শ্লোগানে মুখরিত করেন আশপাশ এলাকা । এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মো: আবু জাহির এমপি বলেন, এবিজয় প্রমাণ করে আপনারা প্রধানমন্ত্রীর নৌকাকে ভালবাসেন। এ বিজয় প্রধানমন্ত্রীর এ বিজয় আপনাদের সবার। সবাই একযোগে কাজ করলে দল শক্তিশালী হবে। আর দল শক্তিশালী হলে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী হবে। আমাদের জননেত্রীর হাত শক্তিশালী হলে দেশের উন্নয়ন হবে। আমারা জেলাবাসী এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। পরিশেষে তিনি আওয়ামীলীগের অংঙ্গসংগঠনের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ সেলিমের ছেলে শেখ নাইম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগির চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুলইসলামসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীসহ অংঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিজয়ী হওয়ার পর নেতাকর্মী সমর্থকরা আবেগ আপ্লুত হয়ে আনন্দে বিজয়ী প্রার্থীকে জড়িয়ে একে অপরে কাঁদতে দেখাগেছে। বিজয়ী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম আলম বলেছেন, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রোডম্যাপ করে পৌরসভার উন্নয়ন করা হবে। যে কোনো জয় মানুষের কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনী মাঠে অনেক প্রার্থীর মিথ্যাচারের জবাব উন্নয়নের মাধ্যমে দেব। জেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে বেসরকারি ফলাফলের শিট হাতে পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্রের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ বিজয় ন্যায় ও সত্যের। হবিগঞ্জ পৌরবাসী উন্নয়ন চায়। হবিগঞ্জবাসী অত্যন্ত সচেতন। পৌরবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে সবকিছুই করা হবে।
|
|
|
|
আহসান হাবিব, চট্টগ্রাম : মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে টাকা চাইতে কার ভালো লাগে। তাছাড়া টাকা চাইতে গিয়েও নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হই। এরপরও বেঁচে থাকার জন্য টাকা তুলতে হয়। আমরাও মানুষ। আমাদেরও বাঁচার অধিকার আছে! সরকার কেন আমাদের জন্য ভাবে না? আমাদের কাজের ব্যবস্থা করে না? আমরা কাজ করে খেতে চাই, আর দশ জনের মতো মানুষের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। প্রতিদিন মানুষের লাথি, ঝাঁটা খেতে ভালো লাগে না। তাই সরকার যেন আমাদের কাজের ব্যবস্থা করে এই বিড়ম্বনার জীবন থেকে মুক্তি দেয়, এটাই আকুতি! কথা গুলো বলছিলেন, চট্টগ্রামের দুই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মনি ও দিয়া হিজড়া। দুজনেই আক্ষেপ করে বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝতে চায় না আমরাও মানুষ। দিয়া ও মনি থাকেন চট্টগ্রামে টেরিবাজার এলাকার এক হিজড়া পল্লীতে। তারাও অন্য হিজড়াদের মতো বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টাকা তুলে জীবন চালান। কোন ভাবেই তাদের জীবনের কথা বলতে আগ্রহী নন দিয়া ও মনি। চকবাজারের এক দোকান মালিকের মধ্যস্থতায় অনেক অনুরোধের পর কথা বলার সুযোগ দেন তারা। দুজনেই আক্ষেপ করে বলেন, কি হবে আমাদের কথা লিখে? আমাদের তো সমাজের কোন মানুষ ভালো চোখে দেখে না! দিয়া কথা না বললেও মনি অভিমানের সুরে বলেন, আমরা রাস্তায় বের হলে মানুষ বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে টিটকারি মারে। বিভিন্ন রকমের অশালীন মন্তব্য করে। একটা মেয়ে যেভাবে চলাফেরা করে আমি তো তেমন স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করি, তারপরও সাধারণ মানুষ আমাদের অপমান করে। তিনি বলেন, হিজড়া হওয়ার কারণে বাসে যাতায়াতে সময় মানুষ আমার পাশে বসে না, আমি একটা ভাল বাসা ভাড়া নিতে পারি না, কোথাও কাজের সুযোগ হয় না। তারপরও আমাদের বর্তমান বাড়ির মালিক অনেক ভালো। তিনি আমাদের অন্য দশজনের মতোই ভাড়াটিয়া হিসেবে রেখেছেন। কুমিল্লার মেয়ে মনি হিজড়া হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে জানায়, আমরা সাত ভাই ছিলাম। আমি তৃতীয়। লেখাপড়া তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারি আমি অন্য ছেলেদের মতো নই। পাড়ার ছেলেরা আমার সাথে নানান দষ্টুমি করছে এবং সমাজের লোকজন বিভিন্ন রকম কথা বলা শুরু করে দেয়। তখন আমার পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। এক সময় আমার নিজের পরিবারের সাথে থাকাটাই কষ্ট হয়ে পড়ে। তবে আমার মা আমাকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল খুব করে। কিন্তু আমার বাবা আমাকে রাখতে রাজি হয়নি আমার অন্য ভাইদের কথা ভেবে, সমাজের কথা ভেবে। আমিও বাধ্য হয়ে পরিবার ছেড়ে চট্টগ্রামে এক গুরু মা’র কাছে এসে থাকি। সেই থেকে এখনো আছি। পরিবার থেকেও তাদের সাথে থাকতে না পারা কতটা কষ্টের সেটা কেউ বুঝবে না! মানুষের কাছে টাকা চাইতে ভালো লাগে কিনা জানতে চাইলে মনি ও দিয়া পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, কার ভালো লাগে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে টাকা চাইতে? টাকা চাইতে গিয়েও নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হন জানিয়ে দুজনেই বলেন, বেঁচে থাকার জন্য তারপরও টাকা তুলতে হয়। তবে দুজনেই আক্ষেপ করে বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝতে চায় না যে আমরাও মানুষ। আমাদেরও বাঁচার অধিকার আছে! সরকার কেন আমাদের জন্য ভাবে না? আমাদের কাজের ব্যবস্থা করে না? আমরা কাজ করে খেতে চাই, আর দশ জনের মতো মানুষের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। প্রতিদিন মানুষের লাথি, ঝাঁটা খেতে ভালো লাগে না। তাই সরকার যেন আমাদের কাজের ব্যবস্থা করে এই বিড়ম্বনার জীবন থেকে মুক্তি দেন এটাই আমাদের আকুতি। মনি ও দিয়ার সাথে কথা বলে বোঝা গেল, সমাজের সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও তাদের মূল কষ্টের জায়গা হলো, তাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজের এই অবাঞ্চিতদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাদের জন্য কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের প্রতি গ্রহণযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে না পারলে এই হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার সময়টা আরো দীর্ঘায়িত হবে।
|
|
|
|
মো. আ. রহিম সজল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে রিকশা চালিয়ে দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে চলেছেন প্রতিবন্ধী রোজিনা বেগম (৩২)। জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক সংগ্রামী নারী প্রতিবন্ধী তিনি। আগৈলঝারা উপজেলার বাগদা গ্রামে তার জন্ম। শিশু বয়সে টাইফয়েডে তার বাম পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। কিশোরী বয়সেই বরিশালের মুলাদী উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের দরিদ্র সুমনের সাথে বিয়ে হয়। জীবিকার তাগিদে স্বামীর সাথে ছুটে আসে ঢাকায়। ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তানের মা রোজিনা। ছয় বছর পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা যায়। মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার। একদিকে নিজে অসহায় প্রতিবন্ধী অন্যদিকে ছোটো ছোটো দুটি বাচ্চা। কীভাবে চলবে তাদের জীবন? কি করে জীবিকা নির্বাহ করবে? জীবন যুদ্ধে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। ভিক্ষাভিত্তি পেশায় জড়াননি নিজেকে। হার মানেনি দারিদ্রতার কাছে। তখন থেকে ঢাকার শহরে ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা উপার্জন করতো। তিন বছর আগে মির্জাগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে একটি পুরাতন রিকশা ক্রয় করেন। তিন বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উপজেলার সুবিদখালী কলেজ রোড একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন। ছেলে হৃদয় (১০) স্থানীয় একটি হাফিজী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। টানাটানির সংসারে মেয়ে রিতু (১৩) কে পড়াশুনা করাতে পারছেন না। প্রতিবন্ধী রোজিনা বেগম বলেন, একটি পা পঙ্গু হয়েছে তাতে কি? দুটি হাত ও একটি পা আল্লাহ তায়ালা সবল রেখেছেন। এদিয়ে পরিশ্রম করে সংসার ও ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা চালিয় মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পাই নাই। মির্জাগঞ্জ উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, সমাজে অনেক সুস্থ মহিলাকে দেখছি কাজ না করে ভিক্ষ করে বেড়ায়। সে সমস্ত মহিলাদের জন্য রোজিনা একটি দৃষ্টান্ত। নতুন সমাজসেবা অফিসার যোগদান করলে তাকে সহযোগিতার জন্য জোর সুপারিশ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, তার সম্পর্কে ভালো ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
|
|
|
|
|
|
|