মেহেরপুরে লকডাউন মানছে না কেউ
মেহেরপুর প্রতিনিধি : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরেও মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন অযুহাতে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করছে অনেকে। মানছে না লকডাউন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেটে ও মোটরসাইকেলে চড়ে ঘোরাফেরা করছেন অনেকেই। আবার অটোরিক্সা ভ্যানে যাত্রী পরিবহনও করছে। প্রথম দিকে লকডাউন মেনে চলতে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো নয়। এতে করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনক হারে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা বাজারের পাশাপাশি খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মার্কেটের শার্টার ফেলে ভেতরে দোকান খোলা রেখে অভিনব পন্থায় কেনাবেচা শুরু হয়েছে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। শুক্রবার বামন্দী বাজারে দেখা গেছে সেই পুরনো চিত্র। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি পশু হাটও খোলা ছিল । চলেছে নিত্য দিনের মতো কেনা বেচা। ওষুধ এবং মুদি দোকান ব্যতিত এই মুহূর্তে অন্যান্য দোকান খোলা রাখতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইলেক্ট্রনিক, কসমেটিক্স, হার্ডওয়্যারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। একই অবস্থা দেখা গেছে মঙ্গলবার গাংনী বাজারে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত বাজার পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেদারসে লোকজন চলা ফেরা করছে। সকল দোকান পাট খোলা। পুলিশের টহল নজরে পড়লেও নেই উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ। এদিকে জেলা সদরের আমঝুপি বারাদিসহ বিভিন্ন বাজারে লকডাউনের কোন কিছুই লক্ষ্য করা যায়নি। সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। লোকজন গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। বেশির ভাগ দোকানি ও ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। বাজারে যেন ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলা। চায়ের দোকানে মানুষ গাঁ ঘেঁষে বসে গল্প গুজব করছেন। চায়ের দোকানে বলতে শোনা গেছে, ’আমাদের করোনা টরোনা হবে না‘ শহরাঞ্চলে সরকারের নির্দেশনা কিছুটা মানা হলেও গ্রামাঞ্চলে বলতে গেলে কেউই তা মানছেন না। সরকারিভাবেও প্রচারণা নেই। ফলে গ্রামের মানুষ বিষয়টির গুরুত্ব তেমন বুঝতে পারছেন না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা জানান, ‘দোকান খোলা না রাখলে আমাদের সংসার চালাবো কি করে। আমরা চাইতে পারিনা নিতেও পারি না। তাই দোকান খোলা ছাড়া উপায় নেই। মাস্ক পরেন নি কেন ? এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়ি।আমরা আগে কখনও মাস্ক ব্যবহার করেনি। করোনা আসাতে মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
|
মেহেরপুর প্রতিনিধি : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরেও মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন অযুহাতে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করছে অনেকে। মানছে না লকডাউন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেটে ও মোটরসাইকেলে চড়ে ঘোরাফেরা করছেন অনেকেই। আবার অটোরিক্সা ভ্যানে যাত্রী পরিবহনও করছে। প্রথম দিকে লকডাউন মেনে চলতে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো নয়। এতে করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনক হারে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা বাজারের পাশাপাশি খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মার্কেটের শার্টার ফেলে ভেতরে দোকান খোলা রেখে অভিনব পন্থায় কেনাবেচা শুরু হয়েছে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। শুক্রবার বামন্দী বাজারে দেখা গেছে সেই পুরনো চিত্র। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি পশু হাটও খোলা ছিল । চলেছে নিত্য দিনের মতো কেনা বেচা। ওষুধ এবং মুদি দোকান ব্যতিত এই মুহূর্তে অন্যান্য দোকান খোলা রাখতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইলেক্ট্রনিক, কসমেটিক্স, হার্ডওয়্যারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। একই অবস্থা দেখা গেছে মঙ্গলবার গাংনী বাজারে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত বাজার পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেদারসে লোকজন চলা ফেরা করছে। সকল দোকান পাট খোলা। পুলিশের টহল নজরে পড়লেও নেই উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ। এদিকে জেলা সদরের আমঝুপি বারাদিসহ বিভিন্ন বাজারে লকডাউনের কোন কিছুই লক্ষ্য করা যায়নি। সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। লোকজন গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। বেশির ভাগ দোকানি ও ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। বাজারে যেন ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলা। চায়ের দোকানে মানুষ গাঁ ঘেঁষে বসে গল্প গুজব করছেন। চায়ের দোকানে বলতে শোনা গেছে, ’আমাদের করোনা টরোনা হবে না‘ শহরাঞ্চলে সরকারের নির্দেশনা কিছুটা মানা হলেও গ্রামাঞ্চলে বলতে গেলে কেউই তা মানছেন না। সরকারিভাবেও প্রচারণা নেই। ফলে গ্রামের মানুষ বিষয়টির গুরুত্ব তেমন বুঝতে পারছেন না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা জানান, ‘দোকান খোলা না রাখলে আমাদের সংসার চালাবো কি করে। আমরা চাইতে পারিনা নিতেও পারি না। তাই দোকান খোলা ছাড়া উপায় নেই। মাস্ক পরেন নি কেন ? এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়ি।আমরা আগে কখনও মাস্ক ব্যবহার করেনি। করোনা আসাতে মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
|
|
|
|
জাকের আলী শুভ, কুষ্টিয়া ব্যুরো : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫০%ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক জমিতে ধান কাটা, মাড়াই এবং পরিষ্কার করে বস্তাবন্দী করার একটি আধুনিক যন্ত্র হচ্ছে এই কম্বাইন হারভেস্টার। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিচালন বাজেটের আওতায় উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে ৫০% ভর্তুকিতে এটি প্রদান করা হলো। শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১টি কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হয় বাগুলাট ইউনিয়নের মধুপুরের দহকুলা গ্রামের মোঃ হিসাব উদ্দিন সোনার নিকট। এর মূল্য ২৩ লাখ ৫০ হাজার। ৫০% ভর্তুকি মূল্যে এই কৃষককে ধান কাটার আধুনিক এই যন্ত্র বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস, উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার স্বপন সিংহ রায় সহ আরও অনেকে।
|
|
|
|
খুরশিদ আলম শাওন, রাণীশংকৈল : আপনি টাকা দেন, চা খরচের জন্য লাগবে, তাহলে আগামীকালই আপনাকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হবে। এমন কথায় তড়িঘড়ি করে একটি ছাগল দুই হাজার টাকাই বিক্রি করে এবং তিন হাজার টাকা সুদের উপর নিয়ে দেওয়া হয় ভুমি অফিসের এক কর্মচারীকে। এ টাকাটি দেওয়ার বয়স প্রায় এক বছর। টাকা নিয়েও ঘর না দেওয়ার অভিযোগটি উঠে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক রবি চন্দ্র। টাকা দিয়েও ঘর না পাওয়ার ভুক্তভোগী হলেন পৌর শহরের ভান্ডারা গ্রামের তকদির আলী ওরফে লেদু’র স্ত্রী ফাতেমা (৪৫)। গত রোববার ফাতেমার একজন আত্নীয় উপজেলা পরিষদের সামনের মার্কেটে রবি চন্দ্রকে বলে টাকা নিয়ে এক বছরেও ঘর দিলি না। টাকাটা দে, প্রতি উত্তরে রবি বলেন, উপজেলা ভুমি অফিসের নাজিরের কাছে যা চার হাজার টাকা দিবে, এ কথায় ফাতেমার ঐ আত্নীয় বলে তুমি টাকা নিলা ৫ হাজার আর টাকা এক বছর পর ফেরত দিবা ৪ হাজার এ নিয়ে তর্ক হচ্ছিল দুই জনের মধ্যে। সেখানে উপস্থিত এ প্রতিবেদক বিষয়টি জানতে চাইলে সটকে পড়ে ভুমি অফিসের রবি। পড়ে ফাতেমার আত্নীয়’র কাছে ফাতেমার নাম্বার নিয়ে মুঠোফোনে কথা বললে এ প্রতিবেদককে ভুক্তভোগী জানান, ছাগল বিক্রি করে ও সুদের উপর টাকা নিয়ে রবিকে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দিলেই সে আমাকে নেকমরদ এলাকার কুমরগঞ্জ গ্রামের একটি খাস জায়গায় আমাকে ঘরসহ বুঝিয়ে দিবে। টাকাটা ভালোই ভালো নিয়ে পরে আজকাল করে বিগত এক বছর সে-আমাকে হয়রানী করেছে। ফাতেমা আরো জানান, এখন শুনছি সে আমাকে টাকা ফেরত দিবে যা দিয়েছি তার থেকে এক হাজার কম। ফাতেমা আক্ষেপ করে বলেন, পৌরশহরের একটি বে-সরকারী ক্লিনিকে দুই হাজার টাকা বেতনের আয়া’র চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছি। নিজস্ব কোন জায়গা জমিও নেই। যদি সরকারীভাবে এ ঘরটি পেতাম তাহলে উপকৃত হতাম। এখন ভুমি অফিসের রবি আমাকে ঘর না দিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছে। এখন আমি কথায় এ দুঃখের কথা বলি কে আমার মত অসহায়ের পাশে দাড়াবে আমাকে একটি মাথা গোজার ঠায় করে দিবে। এদিকে ফাতেমার ঐ আত্নীয় আব্দুল করিম জানান, গত রোববার রাতে উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির শাকিব আমাকে ডেকে ৪ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। এর সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির শাকিব মুঠোফোনে জানান, এসিল্যান্ডের নির্দেশে আমি টাকা দিয়েছে। তবে টাকাটা কিসের টাকা সেটা আমি জানিনা। উপজেলা ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক রবি চন্দ্রের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে সোমবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) প্রীতম সাহা সোমবার মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমাকে উপজেলা কৃষি অফিসের ড্রাইভার জানালে আমি তাকে বলেছিলাম এই রকম হলে, ঐ ভুক্তভোগী টাকা ফেরত পাবে, সে মোতাবেক টাকা রবি’র বেতন থেকে কেটে মহিলাকে দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার : রাজনগরের কামারচাক তারাপাশা বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের নাম ফলক, মন্দিরের ভিতরে অলিলা সাইনবোর্ড ও সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পালের হস্তক্ষেপে প্রশমিত হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পাল, রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবুল হাশেম ও মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে মন্দিরে দীর্ঘ ৪ঘন্টা ব্যাপি বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্বায়ক ও পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জন ভট্রাচার্য্যকে সদস্য সচিব করে ২০ সদস্য বিশিস্ট আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং বর্তমান কমিটি নতুন কমিটি করার পূর্ব পর্যন্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে বলে সিন্ধান্ত হয়েছে। রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগে সুত্রে জানা যায়- গত ৮ এপ্রিল ৭নং কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম, শিবুল দত্ত, সঞ্জয় দত্ত, সনাতন দে (শাওন )সহ ৩০ /৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দিরের নাম ফলক ও অলিলা নামের একটি সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। হঠাৎ করে এ ঘটনার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, মন্দিরের বর্তমান কমিটিকে মানবে না নতুন কমিটি গঠন করবে। সভাপতি মন্দির কমিটির মেয়াদ আরো ৮ মাস রয়েছে বলে প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা গলায় ছুরি ধরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং মারধোর করেন। ঘটনা জনাজানি হলে এলাকায় চরম উওেজনা বিরাজ করতে থাকে। রাজনগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন- কমিটি নিয়ে এখানে একটি বিরোধ চলে আসছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বৈঠকে বসে রাজনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক ও পুজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জনকে সদস্য সচিব করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। পূর্বের কমিটি ও গত ৮ এপ্রিল করা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পাল বলেন, বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের কমিটি নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক ও পুজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জনকে সদস্য সচিব করে আহব্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছি। পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা পর্যন্ত এ কমিটি সকল দায়িত্ব পালন করবে।
|
|
|
|
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি কষ্ঠিপাথরসহ ৩ জনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১২ সদস্যরা। গত বুধবার তাড়াশ উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রাম থেকে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক (কষ্ঠিপাথর সাদৃশ্য) এ বিষ্ণুমূর্তি সহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। আটক কৃতরা হলেন, উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাদেক হোসেন (৫০), কুসুমদী এলাকার শ্রী অন্তিম সরকারের ছেলে শ্রী রাম সরকার (৩৮), পেঙ্গুগুয়ারী এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে গোলাম সাকলাইন (৪০)।
|
|
|
|
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে আউশ প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৫০০ জন কৃষকের প্রত্যেকের মাঝে বিনামুল্যে ২০কেজি ডিএপি সার, ১০কেজি এমওপি সার ও ৫কেজি করে আউশ ধানের বীজ বিতরন করা হয়।বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরেন্দ্রনাথ রায় নিরু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী ও সুবিধাভোগী কৃষকগণ।
|
|
|
|
ফকির মিরাজ আলী শেখ, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের সাব-পোষ্ট অফিসের জায়গায় অবৈধ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজটি করা হচ্ছে, আর তা প্রতিরোধ কারতে গেলে ডাকবিভাগের লোকেদের হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার। সরজমিনে দেখা যায়, বাটিকামারী গ্রামে ডাক বিভাগের জমিতে অনেক দিন ধরে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে কিছুদিন হলো জায়গায় দখল ও ঘর তোলার সংখ্যা বেড়েছে। জানা যায়, বাটিকামারী উপ-ডাকঘরটি ১০৩ নং বাটিকামারী মৌজায় মোট ৩৭ শতাংশ জায়গায় অবস্থিত। এ জায়গার একপাশে হাবিবুর রহমান (হবি) দখলকরে ভাঙ্গরি ব্যবসা করছেন । অন্যপাশে আব্দুল কুদ্দুস খন্দকার দখল করে বহুতল ভবন সহ নতুন করে পাকা বাড়ি নির্মান করছেন। এ ব্যাপারে বাটিকামারী সাব-পোষ্ট মাষ্টার আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পোষ্ট অফিসের জায়গা এলাকার লোক বহুদিন ধরে অবৈধ দখল করে আসছে । আমরা সম্প্রতি এই জায়গায় বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করতে গেলে অবৈধ দখলদার দের বাধার মুখে পরে কাজ বন্ধ করে দেই। শুধু তাই নয় আমাদের এই জায়গার মধ্যে বহুতল ভবন সহ নতুন পাকা বাড়ি ও নির্মাণ হচ্ছে।
|
|
|
|
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক কৃষককে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে সরকারী ৫০% ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমানকে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। জানা যায়, হারভেস্ট মেশিনটির মূল্য ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সরকারী সহায়তায় ৫০% ভর্তুকি মূল্যে এ মেশিন দেওয়া হয়।
|
|
|
|
বাগেরহাট প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।এর মাঝেও প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বাইরে যেতে হচ্ছে মানুষকে। যেতে হচ্ছে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায়।যে যেভাবে পারছে তার গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করছেন। তবে ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমিক, কর্মজীবী মানুষ ও হতদরিদ্র দিনমজুররা। সোমবার (০৪ এপ্রিল)দুপুরে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে টার্মিনালের মধ্যে রাখা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় লোকজন রয়েছে। কেউ কেউ হেটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কেউ আবার ভ্যানযোগে যাচ্ছেন।কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়ায় যাচ্ছেন বিকল্প পরিবহনে। কেউ কেউ নিরবে বসে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।হাল ছেড়ে বসে রয়েছেন আবার কেউ। এদিকে লকডাউনে বাগেরহাটে শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ দোকানের সামনে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে স্থানীয়দের। কেউ খবরের কাগজ পড়ছেন, কেউ বা দিচ্ছেন আড্ডা। তবে লকডাউনের প্রথম দিনে বেশিরভাগ মানুষ-ই মাস্ক পরিহিত ছিলেন। বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনিতে বসা রাজশাহী থেকে আসা রাজমিস্ত্রি আবদুল করিম ও আনারুল বলেন, ১৫ দিন পূর্বে বাগেরহাটের সাইনবোর্ড এলাকায় আসছিলাম রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে। গতকাল (৪ মার্চ) কাজ শেষে ব্যাগ গুছিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওনা দি। ঝড়ের মধ্যে পড়ে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে বেজে যায় রাত ১১টা। এসে দেখি কোন কোনো গাড়ি নেই, বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেই। সারারাত এই যাত্রী ছাউনিতেই বসে ছিলাম। ভোর থেকেই অপেক্ষা করছি যদি কোনো ব্যবস্থা হয় বাড়ি ফেরার। এরপরেও রিক্সায়, ভ্যানে, মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ভাড়া ৩ গুন হওয়ায় যেতে পারছি না, কি করবো। শুধু এই দুই যুবক নয় গন্তব্যে পৌছাতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন কর্মহীন অনেক মানুষ। বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছেন যদি কোনো ব্যবস্থা হয় বাড়ি ফেরার। পটুয়াখালী থেকে আসা ৫জন বিদ্যুৎ শ্রমিক আটকে আছেন বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে, গন্তব্যে যশোর ও খুলনা। তাদের মধ্যে থেকে রিপন, আকাশ জানান, আমরা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পোল নাম্বারিং এর কাজ করতাম। কাল রাতে কাজ শেষে আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু রাতে ঝড়-বৃষ্টি হওয়াতে ফিরতে পারিনি। ভোরে উঠে বিভিন্ন যানবাহনে করে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডের পৌছাই। কিন্তু এখন আর কোনো পথ পাচ্ছি না যাওয়ার। কচুয়া উপজেলার নজিবুল হক বলেন, খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আমার বোন ভর্তি। সকালে বের হয়ে অনেক কষ্টে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু কোন পরিবহন নেই। কিভাবে যাব, পন্যবহনকারী ট্রাক ও পিকআপেও চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যবস্থা হচ্ছে না।আসলে বিপদ আপদে যারা যাবে তাদের জন্য বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থার দাবি জানান তারা। বাগেরহাট থেকে মোটরসাইকেলে মোরেলগঞ্জ গামী বৃদ্ধ জব্বার আলী বলেন, সাধারণত দেড়শ থেকে ২‘শ টাকায় বাগেরহাট স্টান্ড থেকে মোটরসাইকের যোগে মোরেলগঞ্জে যাই। কিন্তু আজকে লকডাউনের কারণে মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে। সাড়ে ৪‘শ টাকা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি মোরেলগঞ্জে। মিলন, আলমগীর, কুদ্দুসসহ বাগেরহাট শহরের কয়েকজন রিক্সাচালক বলেন, লকডাউনের কারনে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন কোনো আয়-রোজগার করতে পারিনি। একদিকে কিস্তির টাকা পরিশোধের চিন্তা অন্যদিকে সংসারের খরচ। এই নিয়েই আছি মহা সমস্যায়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করছি। কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে বিষয়টিকে সামনে রেখে খুব দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সকল মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
|
|
|
|
ভোলা প্রতিনিধি : বশির আহাম্মদকেই পূণরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় আলীনগর ইউনিয়নের সকল জনগণ। জানা যায়,তিনি এই এলাকার অতীতের সকল চেয়ারম্যানদের থেকে অত্যান্ত সততা এবং বেশ সুনামের সাথে এই দশটি বছর আলীনগরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের নয়ণের মণি হয়ে তাদের মনের মণি কোঠায় জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। শুদু তাই নয়,পাশাপাশি বশির চেয়ারম্যানেকে এলাকাবাসী এই বিগত দশটি বছর সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে সব সময় তার থেকে সেবা পেয়েছে তাদের বন্ধুর মত। দিন-রাত যখনই তাকে দরকার হয়েছে তখনই তাকে ছায়ার মত পাশে পেয়েছে বলেই আলীনগরের সকল জনগণের মনে এখন একটাই চাওয়া বশির চেয়ারম্যানই আমাদের আলীনগরের সবচেয়য়ে সফল এবং যোগ্য চেয়ারম্যান। আর তাই আমরা তাকে পূণরায় আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। কারণ বশির চেয়ারম্যান নিজেকে কখনো চেয়ারম্যান ভেবে নয়, বরং নিছক দায়িত্ব মনে করে নিজেকে উজার করে দিয়ে জনগণের খেদমত করে ইতোমধ্যে ভোলার অন্য সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তুলনায় বেশ সুনাম কুঁড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। জনগণ যখন বিপদে পড়ে দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে তখনই বশির চেয়ারম্যানের কাছে আসলে তিনি বিরক্ত না হয়ে,বরং খুব সুন্দর ভাবে সময় দিয়ে তাদের সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়েছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও তিনি এই বিগত দশটি বছর এলাকার প্রতিটি বিচার-আচারও খুব স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে অত্যান্ত সততা সাথে পালন করে আসছিলেন বলে ইতোমধ্যে তার বেশ সুনাম এবং পরিচিতি এই এলাকায় সকলের কাছে দিন-দিন বেড়েই চলেছে। তাই বর্তমানে আলীনগরে বশির চেয়ারম্যানের বিকল্প কেউই নেই বলে এমনটি মনে করেন খোরসেদ, হাসিম, সিরাজ, দুলাল, জাকির, নাগর, মিলন, ইউছুফ, ফিরোজ, সাহাবুদ্দিন প্রমুখসহ এলাকার ৯০% মানুষ। এদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, আমাদের আলীনগরের ইতিহাসে আমরা এমন চেয়ারম্যান আর কখনো পাইনি। তিনি এই দশ বছর চেয়ারম্যান থেকে আমাদের ইউনিয়নের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পোল, কার্লবাট, ছোট ব্রিজ, ইত্যাদি নির্মাণ করার পাশাপাশি মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, এর মত অপরাধ এলাকা থেকে অনেকটা দূর করতে পেরেছেন এবং এখনো দিন-রাত তার সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে সূত্রে জানায়। তার সেই উন্নয়ন বর্তমানে ভোলা সদর উপজেলায় সকলের মাঝে দৃশ্যমান। তাই ওনার মত মানুষকে যদি আমরা আবারো আমাদের চেয়ারম্যান হিসেবে পাই, তবে আমরা এলাকাবাসী ধন্য হবো। কারণ আমরা দেখেছি তিনি নিজেকে কখনো চেয়ারম্যান ভেবে এই দশ বছর আমাদের দায়িত্ব পালন করেন নি। বরং নিছক দায়িত্ব মনে করে আমাদের এলাকাবাসীর খেদমত করেছেন। তাই আমরা যে করেই হোক বশির চেয়ারম্যানকেই পূণরায় ভোট দিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান বানাবো ইনশাআল্লাহ।
|
|
|
|
এ এইচ ইমরান নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নির্দেশে ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে মাস্ক পরিধানসহ সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হয় জেলার বিভিন্ন এলাকায় । এ সময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভক্ত হয়ে করোনা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় জনগণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষয় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়। জেলা প্রশাসনের সাস্থ্য সচেতনতা মুলক এ কার্যক্রমে পরিচালনা করেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা বারিক, মাহমুদা মাসুম, গাজী আজিজুর রহমান, রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান, ফারজানা আক্তার, নাসরিন আক্তার, মেহেদী হাসান ফারুক ও আবদুল মতিন খান সহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল আলম ও সালেহ আহমেদ এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় জনগণকে করোনা সচেতনতার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা মানুষকে জানানো হয় এবং মেনে চলার জন্য জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নির্দেশে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটরা আহবান জানান। করোনা থেকে বাচতে হলে ঘরে বাইরে যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি জনসাধারণকে অবহিত করা হয় এবং মাক্স না থাকা ব্যক্তিদের মাস্ক উপহার দেয়া হয়।
|
|
|
|
মনির হোসেন, মোংলা : মোংলায় চার্চ অব বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সালোম কর্তৃক করোন ক্ষতিগ্রস্থ চাঁদপাই, চিলা, বুড়িরডাঙা ও মিঠাখালি ইউনিয়নের ২২০ টি অসহায় দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দাতা সংস্থা টিআর ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার চার্চ অব বাংলাদেশ চত্বরে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করা হয়। সালোম এর এরিয়া সমন্বয়কারী তাপস বাড়ৈর সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেভাঃ মানিক বাড়ৈ, সেন্ট যাকোপ কানাইনগর, মিঃ গগন হালদার, প্রোগ্রাম অফিসার বিলিয়াম বিশ্বাস, হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আলফ্রেড বাড়ৈ, মনিটরিং অফিসার সুমিত্রা মল্লিকসহ কমিউনিটি অর্গানাইজারবৃন্দ। সালোম কর্তৃক বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল গাজী আতপ চাল ১৩ কেজি, মসুর ডাল ১ কেজি, সয়াবিন তৈল ২ লিটার, চিড়া ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, চিকন দানার লবন ৫০০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম ওজনের লাইফবয় সাবান ২ পিস, ১২৫ গ্রাম ওজনের হুইল সাবান ২ পিস, থ্রি লেয়ার কাপড়ের মাস্ক ২ পিস ও ডিটারজেন্ট পাউডার ১ কেজি। উল্লেখ্য, সালোম চার্চ অব বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন সংস্থা। টিআর ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় মোংলা উপজেলার চিলা, চাঁদপাই, মিঠাখালি ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ হাজার ২১৮ পরিবারের প্রায় ১১ হাজার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষে ২০১৮ সাল থেকে সফলতার সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
|
|
|
|
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে বালু বাঝাই ট্রাক খালে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার ভোরে বাগেরহাট-মোল্লাহাট পুরাতন সড়কের মোল্লাহাট উপজেলার নতুন ঘোষগাতি এলাকায় মরা চিত্রানদীর ওপরে নির্মিত এ বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার বা সংস্কার কাজ শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ভোর ৪টার সময় বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। উঠে গিয়ে তারা দেখেন যে ব্রিজ ভেঙ্গেবালু বোঝাই একটি ট্রাক খালের মধ্যে পড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির সাংবাদিকদের বলেন, পুরাতন সড়ক দিয়ে বালু নিয়ে বড়ঘাট যাচ্ছিল ট্রাকটি। ভুলক্রমে বড়ঘাট রেখে ঘোষগাতি যাওয়ার পথেওই বেইলি ব্রিজে উঠলে অতিরিক্ত ওজনের ফলে ব্রিজটি ভেঙ্গে ট্রাকটি খালে পড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট থেকে মোল্লাহাট পুরাতন সড়কে ১০টি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। অধিকাংশ ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও কিছু চালক ট্রাকে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ট্রাক পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমাদের লোক পাঠিয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব ট্রাকটি উদ্ধার করে এবং ব্রিজটি সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
|
|
|
|
জহির রায়হান, ময়মনসিংহ : পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। প্রাকৃতিক বন পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে আরও সচেতনতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। স্ব স্ব অবস্থান থেকে বনায়ন কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে। রবিবার (২১ মার্চ) ‘বন পুনরুদ্ধার: উত্তরণ ও কল্যাণের পথ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য ধারণ করে আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ বন বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা একেএম রুহুল আমীন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বায়ুদুষনের পরিমান দিনের পর দিন এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটিকে রোধ করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোঃ লিঃ এর বিভাগীয় প্রকৌশলী জয়নাল আবদীন, সদর রেঞ্জ এর বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মিছবাহউল ইসলাম, গৌরীপুর বন রেঞ্জকর্মকর্তা লুৎফর রহমান, হিসাব রক্ষক আক্তার হোসেন, বীট কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বকুল গাছের ২১টি চারা রোপন করা হয় বিভাগীয় বনকর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে। এছাড়াও (কোভিড-১৯) ২য় পর্যায়ে গণসচেতনতা মূলক কর্মসূচীর আওতায় মাস্ক বিতরণ করা হয়।
|
|
|
|
বেনাপোল প্রতিনিধি : দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুইটি ট্রাকে সাড়ে ৪২ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার রাতে আসে এবং শুক্রবার সকালে বন্দর থেকে পেয়াজের চালান খালাশ দেয়া হয়। এর আগে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিলো ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই দুটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বাংলাদেশি আমদানিকারক যশোরের দিন ইসলাম ট্রেডার্স, কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে পণ্য ছাড়াতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ১৪০ মার্কিন ডলার। পণ্য ছাড় করাতে সরকারকে আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিতে প্রথম দিকে দেশের অন্য বন্দর দিয়ে ওই ট্রাক প্রবেশ করলেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে বাজারে যে পরিমাণে পেঁয়াজের মূল্য কমার কথা ছিলো তা কমেনি। বর্তমানে এ পথে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় আশা করছেন বাজার আগের চেয়ে দর কমবে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
সীরাত মঞ্জুর, ফটিকছড়ি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৮টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে বিগত ৫ বছরের মোট ৪৪১১ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি। পরে উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়নে বাস্তবায়িত ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাগণের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ভাইস-চেয়ারম্যান সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারি, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলাহ, ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, ভূজপুর থানার কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, আজকের এই দিনটি ফটিকছড়ির জন্য একটি ঐতিহাসিক স্বরণীয় দিন। এত বেশি উন্নয়ন প্রকল্প দেশের অনেক জেলাতেই বাস্তবায়িত হয়নি। ফটিকছড়ি বাসীকে প্রধানমন্ত্রী ভালোবাসে বলেই এত কাজ হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ উন্নয়ন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধান অতিথি বক্ত তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন রুল মডেল। এই ধারা অব্যাহত রাখতে এ সরকারেরই প্রয়োজন। সেজন্য দলকে সুসংগঠিত করে রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দলীয় আদর্শের ভেতরে থেকে রাজনীতি করতে হবে। এ সময় তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী না হয়ে সকল নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্প বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করার কথা বলেন।
|
|
|
|
|
|
|