এ সময় শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত যা করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শ্বাসকষ্ট হলেই যে আপনি করোনায় আক্রান্ত, তা কিন্তু নয়! অন্যান্য অনেক কারণেই গরমে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। যাদের ফুসফুসে সামান্য হলেও সমস্যা আছে; তাদের ক্ষেত্রে এ সময় শ্বাসকষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। তার ওপর আবার করোনার প্রভাব বেড়েই চলেছে। যেহেতু করোনাভাইরাস ফুসফুসে বংশবিস্তার করে, তাই এ সময় সাবধান হতেই হবে। এজন্য ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ও নিয়মিত শরীরচর্চা করে। গরমে হাঁচি-কাশির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শ্বাসজনিত অনেক সমস্যাও। একে তো প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে, তার ওপর আবার রোদের তেজ বাড়ায় অনেকেই সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে বাড়ে শ্বাসকষ্টও। তাই গরমে শ্বাসকষ্ট বাড়লে দ্রুত যা করবেন- > শ্বাসকষ্ট হলে রোদে বের হবেন না। > শরীরচর্চা করার জন্য ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো। > ধূমপান বন্ধ করুন দ্রুত। > ফুসফুস ভালো রাখে এমন খাবার এ সময় বেশি করে খেতে হবে। > ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধ ঘরে থাকবেন না। > ঘর ঠান্ডা রাখুন। একটানা এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন না। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। > এসির চেয়ে ফ্যান ব্যবহার করা ভালো। > এ সময় অনেক ঘাম হয়, তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীর আর্দ্র থাকবে। > নিয়মিত গোসল করুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। > ফুসফুস ভালো রাখতে যোগব্যায়াম করতে পারেন নিয়মিত। > ফুসফুসের কয়েকটি ব্যায়াম আছে, যেগুলো নিয়মিত করা উচিত। > ধুলা-বালি থেকে সব সময় দূরে থাকুন। এ সময় মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। > অ্যারোসল বা যেকোনো স্প্রে থেকে দূরে থাকুন। > বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শ্বাসকষ্ট হলেই যে আপনি করোনায় আক্রান্ত, তা কিন্তু নয়! অন্যান্য অনেক কারণেই গরমে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। যাদের ফুসফুসে সামান্য হলেও সমস্যা আছে; তাদের ক্ষেত্রে এ সময় শ্বাসকষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। তার ওপর আবার করোনার প্রভাব বেড়েই চলেছে। যেহেতু করোনাভাইরাস ফুসফুসে বংশবিস্তার করে, তাই এ সময় সাবধান হতেই হবে। এজন্য ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ও নিয়মিত শরীরচর্চা করে। গরমে হাঁচি-কাশির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শ্বাসজনিত অনেক সমস্যাও। একে তো প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে, তার ওপর আবার রোদের তেজ বাড়ায় অনেকেই সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে বাড়ে শ্বাসকষ্টও। তাই গরমে শ্বাসকষ্ট বাড়লে দ্রুত যা করবেন- > শ্বাসকষ্ট হলে রোদে বের হবেন না। > শরীরচর্চা করার জন্য ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো। > ধূমপান বন্ধ করুন দ্রুত। > ফুসফুস ভালো রাখে এমন খাবার এ সময় বেশি করে খেতে হবে। > ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধ ঘরে থাকবেন না। > ঘর ঠান্ডা রাখুন। একটানা এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন না। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। > এসির চেয়ে ফ্যান ব্যবহার করা ভালো। > এ সময় অনেক ঘাম হয়, তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীর আর্দ্র থাকবে। > নিয়মিত গোসল করুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। > ফুসফুস ভালো রাখতে যোগব্যায়াম করতে পারেন নিয়মিত। > ফুসফুসের কয়েকটি ব্যায়াম আছে, যেগুলো নিয়মিত করা উচিত। > ধুলা-বালি থেকে সব সময় দূরে থাকুন। এ সময় মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। > অ্যারোসল বা যেকোনো স্প্রে থেকে দূরে থাকুন। > বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সরকার দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এসব খাবার- ১. পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। পাশাপাশি গরম পানি, চা ও কফি পান করতে পারেন। ২. সবুজ শাক-সবজিতে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, মিনারেল ও ফাইবার। এসব শাক-সবজি খাওয়া জরুরি। ৩. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল; যা সর্দি, কাশি, জ্বর দূর করতে কার্যকরী। যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ৪. রসুনে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা ঠান্ডা লাগা ও ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। ৫. নিয়মিত টক দই খেলে উপকৃত হবেন। ৬. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেতে পারেন। ৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন পুষ্টিকর বা ভেষজ খাবার খান নিয়মিত। খাবারের পাশাপাশি সতর্ক থাকুন, তবেই সুস্থ থাকবেন। কেননা সচেতনতাই পারে করোনা মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রত্যেকেই কমবেশি ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন। ঘরের বাইরে গেলে কিংবা বাসে-ট্রেনে ভ্রমণের সময় ইয়ারফোন ছাড়া কি চলে! ঘরেও তো নিয়মিত সবাই গান শোনা, সিনেমা-নাটক দেখা কিংবা কথা বলার জন্যও ইয়ারফোন ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তবে কখনো কি প্রিয় ও প্রয়োজনীয় ইয়ারফোনটির সুরক্ষার কথা ভেবেছেন? জীবাণুতে ঠাসা থাকে ইয়ারফোন বা হেডফোন। খালি চোখে পরিষ্কার দেখালেও কোটি কোটি জীবাণুর বাস প্রয়োজনীয় এ জিনিসে। সম্প্রতি, আমেরিকার হুইটার হাসপাতালের একদল চিকিৎসক এ বিষয়ে পরীক্ষা চালান। দেখা গেছে, বাথরুম বা রান্নাঘরের বেসিনের তুলনায় প্রায় ৬ গুণ বেশি জীবাণু থাকে ইয়ারফোন এবং হেডফোনে। আর সবজি কাটার জন্য ব্যবহৃত চপিংবোর্ডের চেয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০৮ গুণ বেশি জীবাণু থাকে এতে। এবার নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কীভঅবে জীবাণুগুলো ইয়ারফোনে জমা হয়? অ্যাপল কোম্পানির এক সমীক্ষায় তারা দেখিয়েছে, তেল, সাবান, শ্যাম্পু, সুগন্ধি থেকে শুরু করে খাবারের গুঁড়ো পর্যন্ত লেগে থাকে ইয়ারফোনে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে একসময় এগুলোর পচন ধরে জীবাণুর বাসায় পরিণত হয়। যেভাবে জীবাণুর বাসা ধ্বংস করবেন এজন্যই নিয়মিত ইয়ারফোন ও হেডফোন পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তা না হলে কান সংক্রমিত হতে পারে। কান পেকে যাওয়া, জ্বালা-যন্ত্রণা করা, কানের মধ্যে ঘা হওয়া, কানে না শোনা ইত্যাদি হতে পারে। ইয়ারফোন পরিষ্কারের জন্য এতে থাকা স্পঞ্জের আবরণ পানিতে ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিলেই হবে। বাকিটা হ্যান্ডস্যানিটাইজারে ভেজানো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করলেই হবে। তবে ভেজা অবস্থায় ইয়ারফোন এবং হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। পুরো শুকিয়ে গেলে, তবেই ব্যবহার করবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একেকজন ভিন্ন ভিন্ন ডায়েট চার্ট মেনে চলেন। এভাবেই অনেকে ভুল ডায়েট মেনে ওজন কমানোর বদলে আরও বাড়িয়ে ফেলেন। একসময় এর প্রভাব পড়ে শরীরে। দীর্ঘসময় ধরে শরীর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান না পেয়ে নানা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এজন্য ডায়েট করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ডায়েটের নাম শুনেছি যেমন- অ্যাটকিনস ডায়েট, ভেগান ডায়েট, কেটজেনিক ডায়েট, রও ফুড ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট, রেইনবো ডায়েট ইত্যাদি। সবগুলো ডায়েটের বিশেষ কিছু উপকারী দিক আছে। বর্তমানে ড্যাশ ডায়েটেও অনেক উপকার মিলছে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকরী ডায়েট হলো ড্যাশ। এ ডায়েটের মাধ্যমে ওজনও কমবে সঙ্গে সারবে দীর্ঘমেয়াদী নানা রোগ। মার্কিন চিকিৎসকরা বলছেন, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ড্যাশ ডায়েট। এ ছাড়াও রক্তচাপ হ্রাস, ওজন কমানোসহ ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমানো যায় এ ডায়েটের মাধ্যমে। কারণ ড্যাশ ডায়েট চলাকালীন কম চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উঅঝঐ হচ্ছে ‘ডায়েটারি অ্যাপ্রোচেস টু স্টপ হাইপারটেনশন’। অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ বন্ধের খাদ্যতালিকা। আমেরিকান ন্যাশনাল হার্ট, ফুসফুস এবং রক্ত ইনস্টিটিউটের মতে, এনআইএইচ সমর্থিত ড্যাশ ডায়েট উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত রাখে। হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব মেডিসিনের মতে, ১৯৯৬ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় ড্যাশ ডায়েটকে পরিচিত করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে ড্যাশ ডায়েট সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। যেভাবে কাজ করে ড্যাশ ডায়েট রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে খাবার কীভাবে কাজ করে? এ বিষয় পরীক্ষা করার জন্য গবেষকরা ৪৫৬ জনের উপর সমীক্ষা চালায়। এক্ষেত্রে তারা ৩টি ডায়েট তাদের ওপর বাস্তবায়ন করেন। একটি হলো, স্ট্যান্ডার্ড আমেরিকান ডায়েট। অন্যটি ফল এবং উদ্ভিজ্জ ডায়েট এবং শেষটি ফল-মূল, শাক-সবজি, বাদাম এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধযুক্ত খাবারে কম পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাদ্য। সর্বশেষ দু’টি ডায়েট নিম্ন রক্তচাপের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। এসব খাবারে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিন বেশি মাত্রায় উপস্থিত ছিল। তিনটি ডায়েটই প্রায় ৩ হাজার মিলিগ্রাম সোডিয়াম সরবরাহ করে। ওজনের কোনো পরিবর্তন না করেই এ দুটি ডায়েট উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে। এ কারণে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন; তাদের জন্য আদর্শ এক ডায়েট হলো ড্যাশ। পাশাপাশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ ডায়েট। ড্যাশ ডায়েটের খাদ্যতালিকায় যা যা আছে- >> শাক-সবজি, ফল-মূল এবং শস্যজাতীয় খাবার খাবেন। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ এমন খাবার বেশি খেতে হবে। >> ফ্যাটবিহীন বা স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ, হাঁস, মটরশুটি, বাদাম এবং উদ্ভিজ্জ তেল অন্তর্ভুক্ত করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সঠিক খাদ্যাভাস ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে সঠিক খাদ্য কোনগুলো; তা অনেকেরই অজানা। খুবই সাধারণ কিছু শাক-সবজি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হতে পারে আদর্শ খাবার। যা প্রায়শই তারা এড়িয়ে যান! ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরন আছে যেমন- টাইপ ১, টাইপ ২ এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগীর জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, ধূমপানের মতো ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো এড়ানো উচিত। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি প্রাণীজ প্রোটিন, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকটে পানীয় এমনকি মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধা-নিষেধ আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রিন জুস পান করেন; তবে ব্লাড সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। ভালো ফলাফলের জন্য সকালে খালি পেটে গ্রিন জুস খেতে হবে। জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন- শসা, গ্রিন আপেল, লেবু, বাঁধাকপি, গাজর, পালং শাক, বিটরুট, টমেটো, রসুন, ধনেপাতা, লেটুসপাতা, আদা ও লাউ কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করে পান করতে হবে প্রতিদিন এক গ্লাস। স্বাদের জন্য সামান্য হিমালয়ান পিংক সল্ট মেশাতে পারেন। গ্রিন জুসের উপকারিতা >> এ জুস ভিটামিন এ, কে, সি এবং আয়রনের দুর্দান্ত উৎস। >> এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং সব ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। >> গ্রিন জুস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, সেইসঙ্গে এনার্জি বুস্ট হবে। >> অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এ জুস পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মিলবে। >> গ্রিন জুস পান করলে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ অর্থাৎ টক্সিন বের হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে। >> এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। এ কারণে ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। >> গ্রিন জুস তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়; সেগুলোতে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত এটি পান করলে তফাৎ খুব জলদি টের পাবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের এ সময় হঠাৎ করেই রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ছোট-বড় সবারই এ সমস্যাটি হতে পারে। হঠাৎ ঠান্ডা আবার গরমে গা ঘেমে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ঘটনা দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণও হতে পারে। যদি নিয়মিত রাতে ঘুম ভেঙে যায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সমস্যাটি ঠিক কোথায় ঘটছে সে বিষয়ে জানতে হবে। রাতে ভালো ঘুম না হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে শোয়ারঘরের পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, বেশি ক্যাফেইন পান করার কারণে এ সমস্যা বাড়তে পারে। আবার দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ যেমন- থাইরয়েড, হৃদরোগ, লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে, রাতের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এ সময় শরীরে বেশ অস্বস্তিভাবও হয়। জেনে নিন রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ ও প্রতীকার- সাধারণ যেসব কারণে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে >> ঘুমের প্রথম স্তরটি হলো মৃদু ঘুম, যেখানে ঘুম পাতলা হয় এবং সহজেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এমতাবস্থায় ঘর বেশি গরম বা ঠান্ডা হলে, কোনো শব্দ হলে কিংবা অজানা উৎস থেকে আলো এলেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। রাতে নির্ভেজাল ঘুম পেতে ঘর হওয়া চাই আরামদায়ক মাত্রায় ঠান্ডা, নীরব এবং অন্ধকার। >> মানসিক অস্বস্তি থাকলে দুঃস্বপ্ন, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় ঘুম ভাঙতে পারে। অনেকেই আবার ঘুমের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। >> শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের বেশি সক্রিয় হলে তা তৈরি করবে অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’ হরমোন। ঘুমের সমস্যাসহ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, অস্বস্তি, আতঙ্ক ইত্যাদি সাধারণ কিছু ঘটনা, যা অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’য়ের ফলাফল।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতিদিনকার দূষণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের ফুসফুস। অথচ শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুসফুস। বায়ুদূষণ ও ধূমপানের কারণে ফুসফুসে বাসা বাঁধছে নানা জটিল রোগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু ভেষজ উপাদান খাওয়া প্রয়োজন, যা শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে মহামারির এই সময় সবারই উচিত ফুসফুসের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া। বায়ুদূষণ ও সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা যেমন জরুরি; তেমনি ফুসফুসে জমে যাওয়া ময়লা দূর করাও জরুরি। নিয়মিত ভেষজ উপাদান খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর রাখা যেতে পারে ফুসফুস। তাই ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, ই, ডি, সি, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজগুলো রাখতে হবে। এসব উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে কাজ করে। এর সঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা ও ফুসফুসের ব্যায়াম করলেও মিলবে উপকার। ভেষজ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো খেলে ফুসফুস থাকবে সুস্থ- >> হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন নিশ্চয়ই! সবার রান্নাঘরেই এ মসলাটি থাকে। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ। >> হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফুসফুসের কার্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ভাইরালও, যা ফুসফুসে প্রভাবিত ভাইরাল সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমলকি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। আমাদের শরীর ও মনকে চাঙা করতে এর বিশেষ গুণ রয়েছে। ওষুধি গুণসম্পন্ন ছোট ফলটি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। একটি কমলার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি আছে আমলকিতে। এ ছাড়াও আছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসমূহ। এতে থাকা পুষ্টিগুণ ওজন কমায়, পেটের বিভিন্ন সমস্যাসহ হজমশক্তি উন্নত করে। লিভারের জন্য আমলকি বিশেষ উপকারী। অনেকেই এখন ফ্যাটি লিভারসহ যকৃতের নানা ব্যাধিতে ভুগে থাকেন। তাদের জন্য আমলকি কার্যকরী এক দাওয়াই। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। যকৃতের কার্যক্ষমতা আরও উন্নত করে। ‘ফুড অ্যান্ড ফাংশন’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার তথ্যমতে, আমলকি হাইপারলিপিডেমিয়া (অত্যাধিক চর্বি) কমাতে সহায়তা করে। এটি ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলকি লিভার ফাইব্রোসিস রোধ করতে পারে। তবে আমলকি কীভাবে খাবেন? এজন্য রইল ৫টি রেসিপি- আমলকি রস: আমলকি খাওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এক পদ্ধতি এটি। সকালে খালি পেটে এ রস পান করে দিন শুরু করতে পারেন। এজন্য আমলকি কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এর সঙ্গে হালকা কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পান করুন। আমলকির চা: চা ছাড়া অনেকেরই দিন শুরু হয় না। এজন্য রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর আমলকির চা। কিছু মশলার সঙ্গে আমলকির টুকরো মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে তৈরি করুন এ চা। সঙ্গে চাইলে গ্রিন টিও যোগ করতে পারেন। আমলকির চাটনি: আমলকি টুকরো করে কেটে লবণ, মরিচ, ধনিয়া পাতা ও সামান্য চাট মশলা মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চাটনি। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। আমলকির চিপস: আমলকি পাতলা করে কেটে রোদে শুকিয়ে পরে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। এই চিপস সঙ্গে রাখলে যেকোনো সময় মুখশুদ্ধি হিসেবে খেতে পারেন। আমলকির আচার: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গে অল্প হলেও আমলকির আচার রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই চিনি দিয়ে আচার তৈরি করা যাবে না। অলিভ অয়েল ও অন্যান্য মশলা দিয়ে তৈরি করতে পারেন আমলকির আচার।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমানো যে কতটা কষ্টের, তা শুধু স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিই জানেন! বলিউড নায়িকাদের দেখে অনেকেই উৎসাহ পান ওজন কমানোর। তবে সোনাক্ষী সিনহা, আলিয়া ভাট, সোনাম কাপুর, সারা আলী খানদের ছিল অতিরিক্ত ওজন। তারপরও কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে বলিউড কুইনের তকমা পেয়েছেন। বিশেষ করে অভিনয় জগতে আসার পর থেকে ওজন নিয়ে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন সোনাক্ষী। পরিশ্রম করে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে তিনি মোহময়ী হয়ে উঠেছেন। ফিট থাকাটাই যেন তার মূল লক্ষ্য! বলিউডের এ নায়িকা কীভাবে ৩০ কেজি কমিয়ে শরীর কিভাবে ফিট রেখেছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক- ফিট দেখানোর জন্য সোনাক্ষী প্রথমে ৩০ কেজি ওজন ঝরান। একদিকে যেমন তিনি জিম শুরু করেন; অন্যদিকে তেমনই মানতেন কড়া ডায়েট। পরিমাণে কম খেয়ে বারবার খাওয়া, দৈনিক শরীরচর্চা, দিনে দু’বার জিমে যাওয়া, কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতেন। পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্য যোগব্যায়াম, কার্ডিও, জুম্বা, অ্যারোবিকস করেন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সোনাক্ষী তার শরীরচর্চার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি দড়ি লাফাচ্ছেন। আসলেই দ্রুত মেদ ঝরানোর কার্যকরী এক উপায় হলো নিয়ম করে প্রতিদিন দড়ি লাফানো। স্কিপিং করার সময় অবশ্যই দড়িটি লম্বায় ১২ ফুট কি-না দেখে নেবেন। আর প্রথম দিকে এ ধরনের ব্যায়াম দিনে ১৫ মিনিট করবেন। দু’সপ্তাহ পর থেকে ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে। প্রত্যেকবার লাফ দেওয়ার মাঝে অন্তত ৩০ সেকেন্ড বিরতি দিতে হবে। এবার জেনে নিন দড়ি লাফের উপকারিতা- >> মাত্র ১ মিনিট দড়ি লাফালে ১০ ক্যালোরি বার্ন হয়। হাতে দড়ি না দিয়েও স্কিপিং করা যায়। >> দড়ি লাফ করার কারণে অল্প সময়েই শরীর দিয়ে ঘাম বের হয়। যার ফলে ত্বকের মধ্য থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। যা মুখের ওপর টানটান ভাব আনবে ও উজ্জ্বল হবে। >> সম্প্রতি এনসিবিআইয়ের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, শারীরিক কার্যকলাপে সরব না থাকায় মানুষের মনে হতাশা বাড়ছে। জাম্পিং করলে শরীর ও মন দু’টাই ভালো থাকে। >> দড়ি লাফের ফলে আপনার মাংসপেশী টোনড হবে। >> গবেষণায় দেখা গেছে, স্কিপিং জয়েন্টে কম চাপ তৈরি করে দৌড়ানোর চেয়ে। তাই দৌড়ানোর চেয়ে স্কিপিং ভালো ব্যায়াম হিসেবে পরিচিত। >> স্কিপিং করলে হার্ট বিট বেড়ে যায়। তাই এটি আপনাকে আলাদা করে কার্ডিও ভাস্কুলার এক্সারসাইজ করতে হবে না।
|
|
|
|
লাইফ-স্টাইল ডেস্ক : শীতের রুক্ষতায় ত্বক কোমলতা হারিয়ে শুষ্ক হয় ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে মলিন হয়ে যায়। ঠিক গাছের শুকনো পাতার মতো। এ সময় ত্বকের যত্নে ফেসওয়াশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিনে ত্বকের ওপর যে ধুলা-ময়লা জমে, তা দূর করার দায়িত্ব ফেসওয়াশের। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দের ফেসওয়াশ। আসুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন ফেসওয়াশ- একটি বাটিতে আধা কাপ ওটস, আধা কাপ বেসন, ২চা চামচ বাদাম তেল, ১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ও ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া নিন। এবার সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে কাচের জারে সংরক্ষণ করুন। এক চা চামচ মিশ্রণ নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে মাখুন। এরপর এক মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন হ্রাস শুধুমাত্র ডায়েটিং কিংবা শরীরচর্চার ওপরই নির্ভর করে না। ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তারমধ্যে অন্যতম একটি হলো জীবনযাত্রার অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। বেশিরভাগ ছোট ছোট বিষয় যা আমরা প্রায়ই প্রতিদিন উপেক্ষা করি, সেগুলো ওজন কমানোর ব্যাপারে অনেক প্রভাব ফেলে। তাই হজমের ক্ষমতা বাড়াতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া দরকার। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন পাঁচটি অভ্যাসের কথা, যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। বেশি করে পানি পান করুন ডিহাইড্রেশন না-কি ক্ষুধার্ত সেই পার্থক্য বোঝাটা কঠিন।পর্যাপ্ত পানি পান না করলে আপনি ক্ষুধার্ত, বিরক্ত ও অলস বোধ করেন এমনকি মাথা ব্যথাও করতে পারে। তাই স্ন্যাকসের প্যাকেট খোলার আগে একগ্লাস পানি পান করে দেখুন যে আপনি সত্যিই ক্ষুধার্ত নাকি ডিহাইড্রেটেড। চাইলে বিভিন্ন শরবতও পান করতে পারেন পানির বদলে। দুপুরের খাবার দুপুরের খাবার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ আপনার খাবারের দিকে দেয়া উচিত। সোশ্যাল মিডিয়া কোনো স্ক্রোলিং করা যাবে না, ইমেলের জবাব দেয়া বা টুইটার ফিড পরীক্ষা করা যাবে না। আপনার খাওয়ার জন্য বিকেলে যে ১৫ মিনিট সময় নেবেন তা কোনো বিঘ্ন ছাড়াই ব্যয় করা উচিত। অত্যধিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করার এবং তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার এটিই একমাত্র উপায়। দু’টি অভ্যাস যা সাধারণত ওজন বৃদ্ধির সাথে জড়িত। আপনি যখন ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন তখন খাবার একা খাওয়াই ভালো। সময় মতো খাওয়া আপনি যখন কাজের চাপে আটকে যান তখন ক্ষুধার দিকে নজর থাকে না। বেশিরভাগেরই জানা নেই যে, এটি কিছুক্ষণ পরে ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপনি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এটি রোধ করতে সময় মতো পরিকল্পনা করে খাবার খেতে হবে তিনটি প্রধান মিলের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিয়ে কিছু হালকা খেতে পারেন। অত্যাধিক খাবার এড়িয়ে চলুন হালকা খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল করুন যে, আপনি অত্যধিক মাত্রায় খেয়ে ফেলছেন না তো? বন্ধুর প্লেট থেকে একমুঠো স্ন্যাকস বা একটি স্যান্ডউইচ কিংবা এক কামড় বার্গার আপনার কাছে খুব বড় সমস্যা মনে না হতে পারে, তবে এটি আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনার পক্ষে মোটেও ভালো নয়। এটি দিনশেষে আপনার ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে, যার ফলে আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্থ হবে। হাঁটাহাঁটি করুন আপনি খাওয়ার পরে কেবল বসে থাকার পরিবর্তে, ১৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করুন। দুপুরের খাবার পরে হাঁটা আপনার ওজন হ্রাস করার জন্য কেবল উপকারীই নয় বরং এটি মিড-ডে ফ্ল্যামও প্রতিরোধ করবে। যত বেশি হাঁটবেন, তত বেশি ক্যালোরি খরচ হবে, মেজাজ উৎফুল্ল থাকবে এবং কাজে আরও মনোযোগী হবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আস্ত ফল খাওয়া বেশি ভালো না-কি ফলের রস? এ নিয়ে রয়েছে নানা মত। শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের কোনো কাজ করার সময় দ্রুত শক্তি পেতে ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে ফলের রস নয়, আস্ত ফলই খান। যেসব ফল খোসাসহ খাওয়া যায়, সেগুলোর খোসা ফেলবেন না। ফলের রস খেলে কিছু পুষ্টিগুণ বাদ পড়ে যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশ করেছে সেই তালিকা-
ফলের রসে যা নেই যেসব ফল খোসাসহ খাওয়া যায়, সেগুলোর পুষ্টিগুণ তুলনামূলক বেশি থাকে। খোসা ছাড়িয়ে ফল খেলে এমনিতেই পুষ্টিগুণ অনেকটা কমে যায়।
ফলের খোসা আপেল, শশা, আঙুর, পেয়ারা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফলগুলো খোসাসহই খাওয়া যায়। ফলের খোসা সরাসরি সূর্যের আলো পায়। বিভিন্ন রঙের পিগমেন্ট বিভিন্ন ওয়েভলেংথের সূর্যরশ্মি শোষণ করে। এসব পিগমেন্টের মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, ফ্লাভোনয়েডস যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আঙুরের খোসা ক্যান্সার রুখতেও সাহায্য করে। ফলের রস করার সময় খোসা ফেলে দেয়া হয়। আস্ত ফল না খেয়ে রস খেলে আমাদের শরীর খোসার পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়।
ফলের শাঁস ফলের শাঁসে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবার। কমলার শাঁসে রয়েছে প্রচুর ফ্লাভোনয়েডস। সেইসঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি। এদুটোই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কমলার রস করার সময় ফ্লাভোনয়েডস বেরিয়ে যায়। তাই ফলের রস খেলে শাঁসের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
ফাইবার রস বের করে নিলে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আপেলের মধ্যে ৩.৭৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। আট আউন্স আপেলের রস তৈরি করতে লাগে তিন-চারটি আপেল। সেই হিসেবে আপেলের রসে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকার কথা। অথচ আপেলের জুসে ফাইবার প্রায় থাকে না বললেই চলে।
ক্যালরি ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফল খেলে কিন্তু ততটা বাড়ে না।যে পরিমাণ আপেল খেলে শরীর ১২০ ক্যালরি এনার্জি পায়, সেই পরিমাণ আপেলে রয়েছে ২৪ গ্রাম চিনি। অন্যদিকে, যে পরিমাণ আপেলের জুস থেকে শরীর ১২০ ক্যালরি এনার্জি পায়, সে পরিমাণ জুসে চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ গ্রাম। অধিকাংশ ফ্রুট জুসেই ফলের রসের পরিমাণ কম থাকে। কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করা থাকে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এ সময় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ট্রেস এলিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি। ভাইরাস হলো প্রোটিন যুক্ত অণুজীব, যার কারণে মানুষ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় (নতুনভাবে) আক্রান্ত হতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত প্রতিদিন। এসব ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া করোনার মতো ভাইরাসও রোধ করা যাবে। খাদ্য ও পুষ্টি সচেতনতা করোনা ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে কোনো খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাবেন।
বিটা ক্যারোটিন
উজ্জ্বল রংয়ের ফল, সবজি যেমন গাজর, পালংশাক, আম ও ডালে রয়েছে এই ভিটামিন।
ভিটামিন এ
গাজর, পালংশাক, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, জাম্বুরা, ডিম, কলিজা, দুধজাতীয় খাবার।
ভিটামিন ই
কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিচিজাতীয় ও ভেজিটেবল অয়েল, জলপাইয়ের আচার, সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে এই ভিটামিন।
ভিটামিন সি
আমলকী, লেবু, কমলা, সবুজ মরিচ, করলায় পাবেন ভিটামিন সি।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট
গ্রিন টি, সজনে পাতার চা, লাল চা, এসব চায়ে এল-থেনিন এবং ইজিসিজি নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনেক যৌগ তৈরি করে শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া ভিটামিন বি-৬, জিংক–জাতীয় খাবার যেমন-বিচিজাতীয়, বাদাম, সামুদ্রিক খাবার ও দুধ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির কোষ বৃদ্ধি করে। তাই এ ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে। আরও রয়েছে উচ্চ মানের আমিষজাতীয় খাবার যেমন-ডিম, মুরগি, গরু ও খাসি মাংস। যা খেতে পারেন পরিমাণ মতো।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজারে প্রায় সারা বছরই মেলে পেয়ারার দেখা। ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফলটি খেতে ভালোবাসেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দেশি ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। লবণ মরিচ আর সামান্য কাসুন্দি মাখিয়ে কাঁচা পেয়ারা খাওয়ার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। এটি যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, বরং পুষ্টিগুণেও অনন্য। পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ভালো। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য পেয়ারা খুব কার্যকরী। কারণ একটি প্রমাণ আকারের পেয়ারায় মাত্র ৬৪ ক্যালোরি থাকে, আর তা হজম করতে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি। পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, তা ভালো রাখে ত্বক আর চোখের স্বাস্থ্য। সেই সঙ্গে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খুব কার্যকর।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা বিকেলের দিকে ক্ষুধা পেলে পেয়ারা খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, আছে প্রচুর ফাইবার। এই দুটি উপাদানের মিলিত ফল ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
যাদের সোডিয়াম-পটাশিয়াম স্তরে কোনো সমস্যা আছে, তারাও পেয়ারা খান নিয়মিত। যাদের ব্লাড প্রেশার একটু বেড়েই থাকে, তারা অবশ্যই পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কনস্টিপেশনের সমস্যা কমাতেও তা কার্যকর।
আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষায় পেয়ারার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। নিয়মিত পেয়ারা চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকে। অনেকে বলে থাকেন, পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের ব্যথা কমে যায়।
পেয়ারার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ট্রেস কমাতে দারুণ কার্যকর। তাই অতি অবশ্যই তা নিয়ম করে খান।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাজার রোগের প্রতিষেধক থানকুনি পাতা। এ পাতায় রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। থানকুনি পাতাকে বলা হয়ে থাকে মহাঔষধি পাতা। থানকুনি পাতার রস শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ সরবরাহ করে। এছাড়া জ্বর, আমাশয়, চুলঝরা, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে নানাবিধ উপকারিতা নিয়ে আসে এই থানকুনি পাতা। এই পাতায় কি কি উপকারিতা রয়েছে :-
থানকুনি পাতার রস নিয়মিত পান করলে: যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এই পাতা সেবন করলে উপকারিতা মিলবে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। কোন ভাবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তারা চাইলে এই পাতা প্রতিদিন নিয়মিত সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে।
চুল ঝরা রােধে : প্রতিদিন দুধের সঙ্গে পাঁচ-ছয় ফোটা থানকুনির রস মিশিয়ে খেলে উপকারিতা পাবেন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার চুল পড়া কমে যাচ্ছে।
ঘন ঘন জ্বর বা আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে থানকুনির রস কাজে দেয়।
ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধিতে এই পাতা ব্যবহার করা যায়।
অনেক শিশুই আছে যাদের ছেলেবেলায় কথা জড়িয়ে যায়, সেসব শিশুর উদ্বিগ্ন মায়েদের দুশ্চিন্তা অবসানে রয়েছে থানকুনি পাতা। প্রতিদিন এক চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে শিশুকে খাওয়ালে ধীরে ধীরে কথার অস্পষ্টতা কেটে যাচ্ছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যায়। তাদের জন্যও সমাধান রয়েছে থানকুনি পাতার রসেই। আধা চা চামচ থানকুনির রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
এছাড়া মুখের ঘায়ের সমস্যায় থানকুনি পাতা খুবই উপকারিতা দেয়।
কোথায় মিলবে এই পাতা?
শহরাঞ্চলে থাকায় অনেকেই ভাবেন কোথায় পাবো এই পাতা। আপনার পাশের কাঁচা বাজারগুলোতে একটু খোঁজ করলেই মিলবে থানকুনি পাতা। আর ইচ্ছে করলেই বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দার এক কোনায় টবের ভেতরই লাগাতে পারেন থানকুনি গাছ।
এছাড়া আশপাশের ঝোপঝাড়ে একটু খোজ করলেই পেয়ে যাবেন এই উপকারি ভেষজ।
যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তাদের অনেকেই এ পাতার উপকারিতা না জানায় রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, খেতের আইলে দেখার পরেও অবহেলা করে থাকেন। অথচ আল্লাহ তায়ালা তার প্রাকৃতিক সৃষ্টির মধ্যেই রোগ মুক্তির উপাদান দিয়েছেন। থানকুনি পাতা ছোট বলেও রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ক্লান্তি যেমন কাটায় তেমনি ত্বকের মলিনভাব দূর করতেও কফি ব্যবহার করা যায়। রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বক সুস্থ রাখতে কফির নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল। ত্বক পরিষ্কার রাখতে এই প্যাক জরুরি। এটা ত্বককে ব্রেকআউট থেকে রক্ষা করে, দাগ হালকা করে ও ত্বক মসৃণ করে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়তা করে।
উপকরণ: এক টেবিল-চামচ কফির গুঁড়া। এক চা-চামচ হলুদের গুঁড়া। এক টেবিল-চামচ দই।
পদ্ধতি: সকল উপাদান মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে প্যাকটি মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বয়সের ছাপ কমাতে কফি
ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র রাখতে কফি কার্যকর। এটা বয়সের ছাপ, বলিরেখা, শুষ্কতা ও দাগছোপ কমাতে সহায়তা করে।
উপকরণ: এক টেবিল-চামচ কফি গুঁড়া। এক টেবিল-চামচ মধু।
পদ্ধতি: দুইটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। আলতো করে গোলাকারভাবে ত্বক মালিশ করুন এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মৃদু ফোমিং ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কফি
কফির গুঁড়া ত্বকের জন্য উপকারী। এটা ত্বক মসৃণ, টানটান, আর্দ্র ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এটা ত্বকের লোম, শরীরের সেলুলাইট এমনকি ত্বকের মৃত কোষ ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।
উপকরণ: তিন টেবিল-চামচ বাদামি চিনি। তিন টেবিল-চামচ কফির গুঁড়া। তিন টেবিল-চামচ নারিকেল তেল।
পদ্ধতি: সব উপকরণ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন এবং গোসলের সময় ব্যবহার করুন। শরীর ভেজা অবস্থায় এই প্যাক দিয়ে সারা শরীর স্ক্রাব করে নিন। স্ক্রাবার দিয়ে গোলাকারভাবে ত্বক মালিশ করুন। চাইলে গোসলের সময় সাবান ব্যবহারের আগে বা পরে যে কোনো সময়েই এই স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
|
|
|
|
|
|
|