ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিপ্লবের ১০০ দিন পর ইনডেমনিটির প্রয়োজন কেন: ড. মঈন Logo উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের অনাগ্রহ থাকলে খতিয়ে দেখব: মাহফুজ আলম Logo জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান ড. ইউনূসের Logo নাহিদ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা Logo অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক: আসিফ মাহমুদ Logo পলিথিনের কারখানায় অভিযানে গিয়ে ক্ষোভের মুখে কর্মকর্তাদের Logo ভান্ডারিয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষপানে দুই শিশু কন্যাসহ মায়ের আত্মহত্যা Logo জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বান্দরবানে জেলা বিএনপি’র সমাবেশ Logo লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

অবচেতন অবস্থা এমপি আজিমের সঙ্গে খুনের আপত্তিকর ছবি তোলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে বলা হয়, আলোচিত কোন অপরাধ কর্মকান্ডের পেছনে কোন নারীর সংশ্লিষ্টরা থাকে। অতি সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের বেলায়ও তাই হয়েছে।

শিলাস্তি নামের এক তরুণীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে এমপি আজিমকে ডেকে নিয়ে কুন করা হয়। তার আগে হত্যার নেপথ্যে যাকে চিহ্নিত এবং তথ্য মিলেছে সেই আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কলকাতায় উড়ে যায়।

আজিম হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলেনিস্কির সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে খুনিরা। এমন তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। তবে শিলাস্তি ওরফে সেলেনিস্কি যে অপরাধ জগতে হাত পাকিয়েছে, তা তার নামের বাহারেই বোঝা যায়।

আজিম হত্যার পরিকল্পনা কতটা ভয়ানক, তা বুঝতে কষ্ট হবার নয়। হত্যার আগে ফ্ল্যাটে ক্লোরোফর্ম (চেতনানাশক) ছড়িয়ে দিয়ে অচেতন করা হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিলাস্তি রহমান। তিনি শুক্রবার (২৪ মে) আদালতেও বলেন, আমি কিছুই জানি না। দাগি অপরাধী যেমন আচরণ করে থাকে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কলকাতায় সফল হত্যা মিশন চালানোর পর ঢাকায় ফেরেন এবং বন্ধু শাহীনের ফ্ল্যাটে পার্টিতেও অংশ নেন তিনি। কতটা ঠান্ডা মাথার খুনি হলে এমনটি সম্ভব!

তদন্ত সূত্র বলছে, এমপি আজিমকে অবচেতন করার পর তিনতলা থেকে শিলাস্তি নিচে নামিয়ে আনা হয় এবং সেই অবস্থায় আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। এরপর ওপরের তলায় চলে যান। ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ পেয়ে নিচে নেমে আসেন। খুনের বিষয়টি বুঝতে পেরে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে প্রধান কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন। আসামীদের ৮ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবচেতন অবস্থা এমপি আজিমের সঙ্গে খুনের আপত্তিকর ছবি তোলে

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

 

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে বলা হয়, আলোচিত কোন অপরাধ কর্মকান্ডের পেছনে কোন নারীর সংশ্লিষ্টরা থাকে। অতি সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের বেলায়ও তাই হয়েছে।

শিলাস্তি নামের এক তরুণীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে এমপি আজিমকে ডেকে নিয়ে কুন করা হয়। তার আগে হত্যার নেপথ্যে যাকে চিহ্নিত এবং তথ্য মিলেছে সেই আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কলকাতায় উড়ে যায়।

আজিম হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলেনিস্কির সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে খুনিরা। এমন তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। তবে শিলাস্তি ওরফে সেলেনিস্কি যে অপরাধ জগতে হাত পাকিয়েছে, তা তার নামের বাহারেই বোঝা যায়।

আজিম হত্যার পরিকল্পনা কতটা ভয়ানক, তা বুঝতে কষ্ট হবার নয়। হত্যার আগে ফ্ল্যাটে ক্লোরোফর্ম (চেতনানাশক) ছড়িয়ে দিয়ে অচেতন করা হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিলাস্তি রহমান। তিনি শুক্রবার (২৪ মে) আদালতেও বলেন, আমি কিছুই জানি না। দাগি অপরাধী যেমন আচরণ করে থাকে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কলকাতায় সফল হত্যা মিশন চালানোর পর ঢাকায় ফেরেন এবং বন্ধু শাহীনের ফ্ল্যাটে পার্টিতেও অংশ নেন তিনি। কতটা ঠান্ডা মাথার খুনি হলে এমনটি সম্ভব!

তদন্ত সূত্র বলছে, এমপি আজিমকে অবচেতন করার পর তিনতলা থেকে শিলাস্তি নিচে নামিয়ে আনা হয় এবং সেই অবস্থায় আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। এরপর ওপরের তলায় চলে যান। ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ পেয়ে নিচে নেমে আসেন। খুনের বিষয়টি বুঝতে পেরে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে প্রধান কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন। আসামীদের ৮ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা।