ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা Logo ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহিত হয়

সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত: সিপিডি

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ সংগৃহিত হয় বাংলাদেশের অংশ থেকে। আর ভারতের অংশে থেকে তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধু ভৌগলিক পণ্যের দাবিদার। কিন্তু বাংলাদেশে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে মধুর ভৌগলিক পণ্যের মালিকানা ভারত নিয়ে গেছে।

প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) মর্যাদা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (২৬ জুন) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) শীর্ষক সংলাপে সংস্থাটির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ভৌগলিক পণ্যের তালিকাভুক্ত করতে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট বাঘেরহাটের জেলা প্রশাসক সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেন। এরপর ৭ বছর চলে যায়।

কিন্তু এই আবেদনকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ভারত ২০২১ সালের ১২ জুলাই সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারিতে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পায়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও এই মধুকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আগে আবেদনের পরও ভারত তা নিয়ে গেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

আপডেট সময় :

 

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহিত হয়

সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত: সিপিডি

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ সংগৃহিত হয় বাংলাদেশের অংশ থেকে। আর ভারতের অংশে থেকে তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধু ভৌগলিক পণ্যের দাবিদার। কিন্তু বাংলাদেশে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে মধুর ভৌগলিক পণ্যের মালিকানা ভারত নিয়ে গেছে।

প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) মর্যাদা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (২৬ জুন) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) শীর্ষক সংলাপে সংস্থাটির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ভৌগলিক পণ্যের তালিকাভুক্ত করতে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট বাঘেরহাটের জেলা প্রশাসক সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেন। এরপর ৭ বছর চলে যায়।

কিন্তু এই আবেদনকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ভারত ২০২১ সালের ১২ জুলাই সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারিতে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পায়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও এই মধুকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আগে আবেদনের পরও ভারত তা নিয়ে গেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।