ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

আইন অমান্যের সংস্কৃতি কতটা চূড়ান্ত হতে পারে, প্রমাণ দিল চট্টগ্রাম নগরী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একটা সাক্ষাত অগ্নিকুন্ডে বসবাস করছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। নগরীর ৯৭ শতাংশ বহুতল ভবনই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। চিহ্নিত ভবনের কোনো ছাড়পত্রই নেই! এসব ভবনের ৯৩ শতাংশেরই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র নেই।

অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো রেস্টুরেন্টেরই তালিকা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে অগ্নিঝুঁকি থেকে রক্ষায় দ্রুত ফায়ার সেফটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সম্প্রতি বেসরকারি এক জরিপে গা শিউরে ওঠা এসব তথ্য ওঠে এসেছে। জরিপে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত মানুষের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বহুতল ভবনের সংখ্যাও।

জরিপ দলের প্রধান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেসব ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যক অগ্নিকান্ড ঘটেছে, সেটাকে জরিপের আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা তার তদারকি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে কোনো ট্র্যাজেডির পরে নড়েচড়ে বসে এই সমস্ত সংস্থাগুলো।

বেশির ভাগ বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। ভবনের কাজ শুরুর আগে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তিপত্র নেয়ার বিধান থাকলেও ৯৩ শতাংশ ভবনের অনাপত্তিপত্র নেই।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে সমস্ত বহুতল ভবনে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হবে, সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হবে।

গত বছর ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনের পর চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলো নিয়ে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছিল ফায়ার সার্ভিস। সেখানে হর্কাস মার্কেট, টেরিবাজারসহ দুই শতাধিক মার্কেটকে উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রেস্টুরেন্টের কোনো তালিকা নেই বলে জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইন অমান্যের সংস্কৃতি কতটা চূড়ান্ত হতে পারে, প্রমাণ দিল চট্টগ্রাম নগরী

আপডেট সময় :

 

একটা সাক্ষাত অগ্নিকুন্ডে বসবাস করছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। নগরীর ৯৭ শতাংশ বহুতল ভবনই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। চিহ্নিত ভবনের কোনো ছাড়পত্রই নেই! এসব ভবনের ৯৩ শতাংশেরই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র নেই।

অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো রেস্টুরেন্টেরই তালিকা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে অগ্নিঝুঁকি থেকে রক্ষায় দ্রুত ফায়ার সেফটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সম্প্রতি বেসরকারি এক জরিপে গা শিউরে ওঠা এসব তথ্য ওঠে এসেছে। জরিপে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত মানুষের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বহুতল ভবনের সংখ্যাও।

জরিপ দলের প্রধান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেসব ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যক অগ্নিকান্ড ঘটেছে, সেটাকে জরিপের আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা তার তদারকি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে কোনো ট্র্যাজেডির পরে নড়েচড়ে বসে এই সমস্ত সংস্থাগুলো।

বেশির ভাগ বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। ভবনের কাজ শুরুর আগে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তিপত্র নেয়ার বিধান থাকলেও ৯৩ শতাংশ ভবনের অনাপত্তিপত্র নেই।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে সমস্ত বহুতল ভবনে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হবে, সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হবে।

গত বছর ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনের পর চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলো নিয়ে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছিল ফায়ার সার্ভিস। সেখানে হর্কাস মার্কেট, টেরিবাজারসহ দুই শতাধিক মার্কেটকে উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রেস্টুরেন্টের কোনো তালিকা নেই বলে জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।