ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সোনাইমুড়ীতে টিআর প্রকল্পের সড়ক সংস্কারে অনিয়ম Logo সাতানী ইউনিয়ন বিএনপি’র সদ্য ঘোষিত সুপার ফাইভ কমিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা Logo জীবন জীবনের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রথম বর্ষপূর্তি Logo টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা ৪৬ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস  Logo যশোরে জমে উঠেছে নার্সদের নির্বাচন, ৬ পদে ১১ প্রার্থ Logo মানিকগঞ্জ সদরে উপকার ভোগীদের মাঝে ১৫০ কেজি করে  ভিজিডি চাউল বিতরণের  উদ্বোধন করেন  নূরে আলম সরকার Logo নালিতাবাড়ীতে হাফিজ ভাইয়ের গোস্তের দোকানে জরিমানা ও মাংস জব্দ Logo সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও অস্থির কাঁচাবাজার Logo মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড Logo ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ – আইএসপিআর

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধান নির্বাাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকেই কমিশন সচিবের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবো। যে উদ্দেশ্যে বিপ্লব হয়েছে আমরা সকলে চাই, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হোক। দেশে যথাযথ সংস্কার আসুক।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এই কমিশনের কমিশনাররা হলেন-মো. আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।

শুরু থেকেই আউয়াল কমিশন ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলেও কমিশনাররা আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন ব্যক্তি বলে অভিযোগ ওঠে নানা সময়।

কমিশনাররা নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে হয়েছেন বিতর্কিত। সবশেষ ২০২৪’র ডামি নির্বাচনের জন্যও এই কমিশনকে দায়ী মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ভোটের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় আস্থা হারায় এই কমিশন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে আউয়াল কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, বিদায়লগ্নে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন। আমি পদত্যাগের ঘোষণা দিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইসি সচিবের (শফিউল আজিম) হাতে তুলে দিলাম। সচিব আমাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে তুলে দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.), মো. আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে বেগম রাশিদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে দেশ-বিদেশে।

 

সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে আজকের এই অনুষ্ঠান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগ

আপডেট সময় : ১২:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধান নির্বাাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকেই কমিশন সচিবের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবো। যে উদ্দেশ্যে বিপ্লব হয়েছে আমরা সকলে চাই, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হোক। দেশে যথাযথ সংস্কার আসুক।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এই কমিশনের কমিশনাররা হলেন-মো. আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।

শুরু থেকেই আউয়াল কমিশন ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলেও কমিশনাররা আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন ব্যক্তি বলে অভিযোগ ওঠে নানা সময়।

কমিশনাররা নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে হয়েছেন বিতর্কিত। সবশেষ ২০২৪’র ডামি নির্বাচনের জন্যও এই কমিশনকে দায়ী মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ভোটের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় আস্থা হারায় এই কমিশন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে আউয়াল কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, বিদায়লগ্নে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন। আমি পদত্যাগের ঘোষণা দিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইসি সচিবের (শফিউল আজিম) হাতে তুলে দিলাম। সচিব আমাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে তুলে দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.), মো. আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে বেগম রাশিদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে দেশ-বিদেশে।

 

সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে আজকের এই অনুষ্ঠান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।