আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
- আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। হাওড়া বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে ৫ শতাধিক পরিবার। তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ও পুকুর। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে ডুবে গেছে । স্থলবন্দর এলাকায় পানি উঠায় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহী বলেন, উপজেলার ৩৫টি গ্রামের ৫২০টি পরিবার পানিবন্ধি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়ের জন্য কয়েকটি প্রাইমারী ও হাই স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সেতু মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। এসময় দূর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া, গুড়, ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয়। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে দিনভর চলে। রাতে কিছু সময় বৃষ্টি বন্ধ থাকে। শেষ রাত থেকে আবারও শুরু হয় বৃষ্টি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ী ঢল, বৃষ্টির পানি ও হাওড়া বাঁধ ভেঙ্গে সীমান্তবর্তী উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, উমেদপুর, সেনারবাদি, সাহেবনগর, কুসুমবাড়ি, টানোয়াপাড়াসহ অন্তত ৩৫টি গ্রামে কমবেশি পানি ঢুকেছে। গাজীরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে স্থলবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্ন স্থানে পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরো নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাকসবজি জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৪৪০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানির কারণে আখাউড়া উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়ন এবং কসবা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যা দেখা দিয়েছে।
দুই উপজেলায় প্রায় ১২শ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। ১৫ মেঃ টন চাল ও ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করেছি। ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা দূর্গতদের পাশে রয়েছি।