ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

আর ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েই পরিবার নিয়ে বিদেশ—কিন্তু

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৪০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো

প্রথম দফায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ঋণ নিয়েছিলো তারা। এবারে আরও ৫০ কোটি টাকার হাতানো পরিকল্পনা ছিলো। তারপর পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যাবার পরিকল্প ছিলো জয়নাল আবেদীন তথা ইদ্রিস (৪২),

কিন্ত তার আগেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে জয়নাল আদেীনসহ ৪জন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মচারী পল্লব দাসও (৩৬) অন্যতম হোতা। অপর দুই সহযোগী রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৮) ও আলিফ হোসেন (২০)।

নাটের গুরু পল্লব দাস রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন। এই সুবাদে সার্ভারে ঢুকে নাম পরিচয় ঠিক রেখে পৃথক পৃথক নাম্বারে এনআইডি কার্ড তৈরি করে জয়নালকে সরবরাহ করতেন পল্লব। তা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেন জয়নাল।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে গোয়েন্দা বলেন, এই চক্রটি পরিকল্পিভাবে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছে।

ভুয়া দলিল ও এনআইডি ব্যবহার করে আরও ৫০ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রের পান্ডা জয়নালের। এরপর পরিবার নিয়ে বিদেশে পালায়ে যেতো।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমিটেশন পণ্যের দোকানি ছিলো জয়নাল। ব্যবসায় লস করে প্রতারণা হাত পাকায়। জয়নাল তার প্রতারণার জন্য একটি কোম্পানি খুলে আরও সাতটি কোম্পানির নামে কাগজপত্র তৈরি করে নেয়। সেসব কাগজপত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঋণ নিতো।

জয়নালের কার্যকর ১০টি এনআইডি ছিল। এসব এনআইডি দিয়ে সে বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতো। এনআইডির নাম ও ঠিকানা ঠিক থাকতো শুধুমাত্র সেটির নম্বর পরিবর্তন করা। কোনোটাতে তিনি দাড়িসহ ছবি দিতেন। আবার কোনোটাতে গোঁফ, কোনটা দাড়ি-গোঁফ ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হতো।

তিনি বলেন, জয়নাল ডিওএইচএসে ইআর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিস নিয়েছিলেন। এই একটি অফিসকে সাতটি পৃথক নামে একই ঠিকানায় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতেন।

জয়নাল বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি। ভাটারা এলাকায় একটি সাততলা বাড়ি, উত্তরা, আশকোনাসহ আট থেকে নয়টি ফ্ল্যাট ও মাদারীপুরে বাড়ি রয়েছে তার।

পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আর ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েই পরিবার নিয়ে বিদেশ—কিন্তু

আপডেট সময় :

 

পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো

প্রথম দফায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ঋণ নিয়েছিলো তারা। এবারে আরও ৫০ কোটি টাকার হাতানো পরিকল্পনা ছিলো। তারপর পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যাবার পরিকল্প ছিলো জয়নাল আবেদীন তথা ইদ্রিস (৪২),

কিন্ত তার আগেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে জয়নাল আদেীনসহ ৪জন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মচারী পল্লব দাসও (৩৬) অন্যতম হোতা। অপর দুই সহযোগী রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৮) ও আলিফ হোসেন (২০)।

নাটের গুরু পল্লব দাস রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন। এই সুবাদে সার্ভারে ঢুকে নাম পরিচয় ঠিক রেখে পৃথক পৃথক নাম্বারে এনআইডি কার্ড তৈরি করে জয়নালকে সরবরাহ করতেন পল্লব। তা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেন জয়নাল।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে গোয়েন্দা বলেন, এই চক্রটি পরিকল্পিভাবে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছে।

ভুয়া দলিল ও এনআইডি ব্যবহার করে আরও ৫০ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রের পান্ডা জয়নালের। এরপর পরিবার নিয়ে বিদেশে পালায়ে যেতো।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমিটেশন পণ্যের দোকানি ছিলো জয়নাল। ব্যবসায় লস করে প্রতারণা হাত পাকায়। জয়নাল তার প্রতারণার জন্য একটি কোম্পানি খুলে আরও সাতটি কোম্পানির নামে কাগজপত্র তৈরি করে নেয়। সেসব কাগজপত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঋণ নিতো।

জয়নালের কার্যকর ১০টি এনআইডি ছিল। এসব এনআইডি দিয়ে সে বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতো। এনআইডির নাম ও ঠিকানা ঠিক থাকতো শুধুমাত্র সেটির নম্বর পরিবর্তন করা। কোনোটাতে তিনি দাড়িসহ ছবি দিতেন। আবার কোনোটাতে গোঁফ, কোনটা দাড়ি-গোঁফ ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হতো।

তিনি বলেন, জয়নাল ডিওএইচএসে ইআর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিস নিয়েছিলেন। এই একটি অফিসকে সাতটি পৃথক নামে একই ঠিকানায় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতেন।

জয়নাল বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি। ভাটারা এলাকায় একটি সাততলা বাড়ি, উত্তরা, আশকোনাসহ আট থেকে নয়টি ফ্ল্যাট ও মাদারীপুরে বাড়ি রয়েছে তার।

পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো।