ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঝিনাইদহে ৩’শ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ Logo মহান স্বাধীনতা দিবসে চান্দিনায় বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মুকসুদপুরে পুকুরে বিষ দিয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ Logo সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো ঈদ উপহার পেলেন আনসার ও ভিডিপির ভাতা ভোগী সদস্যরা  Logo মোংলায় দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ “ধলেশ্বরী” Logo বেনাপোলে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ Logo কোস্টগার্ডের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo মোংলায় কোস্টগার্ডের যুদ্ধজাহাজ “কামরুজ্জামান” ঘুরে দেখলেন দর্শনার্থীরা  Logo মাগুরায় গ্যাস ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ Logo ডামুড্যায় স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ – চিফ প্রসিকিউটর

কোর্ট রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ জনের লাশ পোড়ানো মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া কোনো একটি মামলার তদন্ত সম্পন্ন হলো।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে বিজয়ের দিন ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নিপীড়ক পুলিশ, স্থানীয় এমপি সাইফুল ইসলাম ও তার ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে আশুলিয়ায় নিহত হন অন্তত ৩১ জন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জন মারা যান। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল দেড় হাজারের বেশি মানুষ। যাদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যায় অন্তত ৭৫ জন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে লাশ পোড়ানোর একটি ভিডিও। মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ওই ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ছিল ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের। ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা একজনকে হাত ও পা ধরে ভ্যানে নিক্ষেপ করছেন। সেই ভ্যানে আরও লাশ রয়েছে। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পরে সেখানে আরও পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়। ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশে। পুলিশ ভ্যানভর্তি লাশগুলো থানার সামনে নিয়ে যায়। পরে একটি পুলিশভ্যানে লাশগুলো রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় এমপি (সাবেক) সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনি এখনো পলাতক। তবে মামলার অন্য অভিযুক্ত ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ – চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় : ১২:৫১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ জনের লাশ পোড়ানো মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া কোনো একটি মামলার তদন্ত সম্পন্ন হলো।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে বিজয়ের দিন ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নিপীড়ক পুলিশ, স্থানীয় এমপি সাইফুল ইসলাম ও তার ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে আশুলিয়ায় নিহত হন অন্তত ৩১ জন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জন মারা যান। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল দেড় হাজারের বেশি মানুষ। যাদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যায় অন্তত ৭৫ জন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে লাশ পোড়ানোর একটি ভিডিও। মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ওই ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ছিল ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের। ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা একজনকে হাত ও পা ধরে ভ্যানে নিক্ষেপ করছেন। সেই ভ্যানে আরও লাশ রয়েছে। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পরে সেখানে আরও পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়। ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশে। পুলিশ ভ্যানভর্তি লাশগুলো থানার সামনে নিয়ে যায়। পরে একটি পুলিশভ্যানে লাশগুলো রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় এমপি (সাবেক) সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনি এখনো পলাতক। তবে মামলার অন্য অভিযুক্ত ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।