ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo মানিকগঞ্জে এলজিইডির ৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে ভেকু দিয়ে Logo খাগড়াছড়িতে বৈসাবী রেলি অনুষ্ঠিত Logo ভারতে পাঁচ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী Logo কিশোরগঞ্জে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায়   বাড়িঘর ভাংচুর ও মারপিট  করেছেন Logo বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪ টি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠালো ভারত Logo সুন্দরবনে জলদস্যু বাহিনীর কবল থেকে ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড 

ইউটিউব দেখে জালটাকার কারিগর জিসান

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জালনোট তৈরির অভিযোগে জিসান হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের জালনোট ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল। বৃহস্পতিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জানান, অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের লোভে উচ্চাভিলাষী জিসান ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জালনোট তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এর পর তিনি নিজেই জালনোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছিলেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছাড়েন গ্রেফতার জিসান।

জিসানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নিজের তৈরি জালটাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হন জিসান। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে জালটাকা তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করত। জালটাকা বিক্রির পন্থা বলে দিতেন চক্রের সদস্যরা। মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে জালনোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জালটাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়া হতো। এর পর কেউ আগ্রহী হয়ে কমেন্ট করলে তাদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জালনোটগুলো সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা।
পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল আরও বলেন, চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জালনোট সরবরাহ করা হতো।
জিসান প্রতি এক লাখ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের জালনোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। পরে চক্রটি মাছবাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জালনোট সরবরাহ করত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইউটিউব দেখে জালটাকার কারিগর জিসান

আপডেট সময় : ১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

জালনোট তৈরির অভিযোগে জিসান হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের জালনোট ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল। বৃহস্পতিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জানান, অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের লোভে উচ্চাভিলাষী জিসান ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জালনোট তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এর পর তিনি নিজেই জালনোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছিলেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছাড়েন গ্রেফতার জিসান।

জিসানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নিজের তৈরি জালটাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হন জিসান। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে জালটাকা তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করত। জালটাকা বিক্রির পন্থা বলে দিতেন চক্রের সদস্যরা। মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে জালনোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জালটাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়া হতো। এর পর কেউ আগ্রহী হয়ে কমেন্ট করলে তাদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জালনোটগুলো সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা।
পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল আরও বলেন, চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জালনোট সরবরাহ করা হতো।
জিসান প্রতি এক লাখ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের জালনোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। পরে চক্রটি মাছবাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জালনোট সরবরাহ করত।