ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির মূলহোতা আমান উল্লাহ চৌধুরী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ২৩১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ই-কমার্স প্রতারণার অন্যতম আলোচিত নাম ‘ই-অরেঞ্জ’-এর সিওও এবং ঢাকা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আমানুল্লাহ চৌধুরীকে অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। ৫ অগস্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক থাকা এই আসামি আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন ছাড়াও দেশজুড়ে আলোচিত ই-অরেঞ্জ প্রতারণা মামলার মূলহোতা হিসেবে পরিচিত।

সূত্রে জানা গেছে, আমানুল্লাহ চৌধুরী ই-অরেঞ্জ নামের একটি হায় হায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ১শ’ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ৫৪টি মামলা রয়েছে। প্রতারণা মামলায় একাধিকবার জেল খাটলেও বর্তমানে তিনি জামিনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, শুধু প্রতারণা নয়, তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবেও পরিচিত। ২০২৪ সালের জুলাই মাস জুড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় এই আমানুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার আওয়ামী যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অর্থ সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুধু তাই নয়, আইটিতে এক্সপার্ট আমানুল্লাহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র অন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায়ও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলো।
সূত্র জানায়, তার এ্যালিফেন্ট রোডের অফিসে তৎকালীন আইএস পিআর এর আওয়ামী সরকার ঘনিষ্ঠ একদল অফিসারের সহযোগিতায় ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ নামক একটি প্রচার সেল গঠন করা হয়, যাদের ২৪ ঘন্টার কাজ ছিলো ছাত্রজনতার আন্দোলন বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালানো।

তদন্তে উঠে এসেছে, ই-অরেঞ্জের ১,১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমান উল্লাহ তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রছায়ায় পরিকল্পিতভাবে জেলে থাকার নাটক করেন। উদ্দেশ্য ছিল, জনসচেতনতা ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করে আত্মসাৎকৃত অর্থ গোপন করা।

জানা যায়, আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। তেমনি একটি মামলায় আজ বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা জানান, আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির মূলহোতা আমান উল্লাহ চৌধুরী গ্রেফতার

আপডেট সময় :

 

ই-কমার্স প্রতারণার অন্যতম আলোচিত নাম ‘ই-অরেঞ্জ’-এর সিওও এবং ঢাকা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আমানুল্লাহ চৌধুরীকে অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। ৫ অগস্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক থাকা এই আসামি আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন ছাড়াও দেশজুড়ে আলোচিত ই-অরেঞ্জ প্রতারণা মামলার মূলহোতা হিসেবে পরিচিত।

সূত্রে জানা গেছে, আমানুল্লাহ চৌধুরী ই-অরেঞ্জ নামের একটি হায় হায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ১শ’ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ৫৪টি মামলা রয়েছে। প্রতারণা মামলায় একাধিকবার জেল খাটলেও বর্তমানে তিনি জামিনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, শুধু প্রতারণা নয়, তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবেও পরিচিত। ২০২৪ সালের জুলাই মাস জুড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় এই আমানুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার আওয়ামী যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অর্থ সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুধু তাই নয়, আইটিতে এক্সপার্ট আমানুল্লাহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র অন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায়ও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলো।
সূত্র জানায়, তার এ্যালিফেন্ট রোডের অফিসে তৎকালীন আইএস পিআর এর আওয়ামী সরকার ঘনিষ্ঠ একদল অফিসারের সহযোগিতায় ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ নামক একটি প্রচার সেল গঠন করা হয়, যাদের ২৪ ঘন্টার কাজ ছিলো ছাত্রজনতার আন্দোলন বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালানো।

তদন্তে উঠে এসেছে, ই-অরেঞ্জের ১,১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমান উল্লাহ তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রছায়ায় পরিকল্পিতভাবে জেলে থাকার নাটক করেন। উদ্দেশ্য ছিল, জনসচেতনতা ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করে আত্মসাৎকৃত অর্থ গোপন করা।

জানা যায়, আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। তেমনি একটি মামলায় আজ বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা জানান, আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।