ঈদে ঘরমুখো মানুষের সেবায় প্রস্তুত বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- আপডেট সময় : ০৬:০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে বাস সার্ভিস চালু এবং যাত্রীসেবা সংক্রান্ত পরিচালনা বৈঠক করেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম
র্যাপিড পাস চালু করলো বিআরটিসি
আমিনুল হক ভূইয়া
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির সাড়ে ৫০০ বাস যাত্রীসেবায় নিয়োজিত করা হবে। গেল বছর ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় ৫০০ বাস যাত্রীসেবায় নিয়োজিত ছিলো। এবারে আরও ৫০টি বাড়িয়ে সাড়ে ৫০০ করা হলো।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের যাত্রীসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের যাতায়ত সুবিধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।
সেই থেকে নিয়ম করে যাত্রীসেবায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অনুকরণীয় দৃষ্ট্রান্ত স্থাপন করেছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে মাথা উঁচু করে দিন দিন যাত্রীসেবা বিস্তৃত করে চলেছে বিআরটিসি। এবারের ঈদে দেশজুড়ে বিআরটিসির যাত্রীসেবায় সংস্থার কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাত্রী পরিবহনে ৫৫০টি বাস থাকবে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকায় চলবে ৫০টি বাস। দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এই বাসগুলো সার্ভিস দিবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঢাকা শহরে ৬০০ বাস রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় চলাচলের জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। দূরপাল্লার বাসগুলোও নিয়মিত চলবে। এবার ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অন রুটে ছিলো।
বিআরটিসির র্যাপিড পাস চালু
বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মতো র্যাপিড পাস চালু করলো বিআরটিসি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসে র্যাপিড পাস চালু হওয়ায় যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হবে না। নিজেরাই নিজেদের ভাড়া পরিশোধের সুযোগ পাবেন। র্যাপিড পাস চালু প্রসঙ্গে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, এই সেবা চালুর পর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ থাকবে না। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে জটিলতা নিরসন হবে। র্যাপিড পাস দিয়ে মেট্রোরেল ও বিআরটিসি বাসে চলাচল করা যাবে। পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহনে র্যাপিড পাস চালু করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগী হিসেবে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বিআরটিসি। র্যাপিড পাস ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা ঝামেলামুক্ত চলাচল নিশ্চিত হলো। তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় বিআরটিসিতে র্যাপিড পাস চালু করা হচ্ছে।