ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যা সিলেটে, তলিয়ে গেছে ৫ উপজেলা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ২১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেটের সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। পানিবন্দি সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ।

নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় গোয়াইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাফলং, বিছানাকান্দি , রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব ক’টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।

পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী এলাকার নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটনকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এসব রাজ্যের ভারী বৃষ্টি হলে সেই পানির ঢল সিলেটে নেমে আসে। তখন ভাটি অঞ্চলের ফসলের মাঠসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সিলেটে গত কয়েকদিন থেকে থেমে ভারী বর্ষণ হয়েছে। বিশেষ করে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বর্ষণের কারণে নদ-নদীর সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বেড়েছে।

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সীমান্তবর্তী পাঁচটি উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। এসব উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৩টি প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য চারটি উপজেলায় ২১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮ টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিটি উপজেলার দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ প্যাকেট করে শুকনা খাবার, ১৫ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যা সিলেটে, তলিয়ে গেছে ৫ উপজেলা

আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেটের সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। পানিবন্দি সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ।

নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় গোয়াইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাফলং, বিছানাকান্দি , রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব ক’টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।

পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী এলাকার নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটনকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এসব রাজ্যের ভারী বৃষ্টি হলে সেই পানির ঢল সিলেটে নেমে আসে। তখন ভাটি অঞ্চলের ফসলের মাঠসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সিলেটে গত কয়েকদিন থেকে থেমে ভারী বর্ষণ হয়েছে। বিশেষ করে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বর্ষণের কারণে নদ-নদীর সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বেড়েছে।

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সীমান্তবর্তী পাঁচটি উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। এসব উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৩টি প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য চারটি উপজেলায় ২১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮ টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিটি উপজেলার দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ প্যাকেট করে শুকনা খাবার, ১৫ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।