ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তর জনপদে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান

এম সাদ্দাম হোসেন পবন
  • আপডেট সময় : ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তর জনপদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে সেতুটি। গতকাল বুধবার দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে। স্বল্প খরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে। গড়ে উঠবে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা। ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারি স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০-১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
উদ্বোধন কালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারি পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির কারণে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমবে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার এবং এর ফলে উত্তর জনপদের মানুষের সময় সাশ্রয় হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। সেই সাথে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্বল্প সময়ে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং ছোট ও মাঝারি কলকারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। উদ্যোক্তাদের কর্ম-সংস্থান ও জীবিকার উন্নতিতে এই সেতু সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার- কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ মওলানা ভাসানী সেতুর ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচনসহ উদ্বোধনীতে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনায় সেতু উন্মুক্তের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
মওলানা ভাসানী তিস্তা সেতুর দক্ষিনে প্রান্তে চৌরাস্তার মোড়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেতু উদ্বোধনীর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন। সেতু উদ্বোধনী মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরি মোয়াজ্জম আহমদ, গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস ও সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এই সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর জানায়, ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ মওলানা ভাসানী তিস্তা সেতুর বাস্তবায়ন সংস্থা হিসাবে এলজিইডি নির্মাণ করেছে। সেতু নির্মাণের ব্যয় সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করেছে। জমি অধিগ্রহন,মুল সেতু , সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উন্নত লাইটিং ব্যবস্থা, সম্প্রসারণ এবং নদী শাসনসহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮৫ কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উত্তর জনপদে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান

আপডেট সময় :

উত্তর জনপদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে সেতুটি। গতকাল বুধবার দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে। স্বল্প খরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে। গড়ে উঠবে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা। ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারি স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০-১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
উদ্বোধন কালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারি পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির কারণে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমবে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার এবং এর ফলে উত্তর জনপদের মানুষের সময় সাশ্রয় হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। সেই সাথে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্বল্প সময়ে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং ছোট ও মাঝারি কলকারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। উদ্যোক্তাদের কর্ম-সংস্থান ও জীবিকার উন্নতিতে এই সেতু সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার- কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ মওলানা ভাসানী সেতুর ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচনসহ উদ্বোধনীতে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনায় সেতু উন্মুক্তের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
মওলানা ভাসানী তিস্তা সেতুর দক্ষিনে প্রান্তে চৌরাস্তার মোড়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেতু উদ্বোধনীর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন। সেতু উদ্বোধনী মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরি মোয়াজ্জম আহমদ, গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস ও সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এই সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর জানায়, ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ মওলানা ভাসানী তিস্তা সেতুর বাস্তবায়ন সংস্থা হিসাবে এলজিইডি নির্মাণ করেছে। সেতু নির্মাণের ব্যয় সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করেছে। জমি অধিগ্রহন,মুল সেতু , সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উন্নত লাইটিং ব্যবস্থা, সম্প্রসারণ এবং নদী শাসনসহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮৫ কোটি টাকা।