শরীয়তপুরে বিএনপির তিন তারকা
উন্নয়ন, ঐক্য ও জনগণের আস্থার নতুন প্রত্যয়
- আপডেট সময় : ২০৯ বার পড়া হয়েছে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে সারাদেশে জাতি এখন ভোটের অপেক্ষায়। বলতে গেলে গোটা দেশ এখন নির্বাচনের ট্রেনে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলায়ও সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। বিএনপির নেতৃত্বে আসা তিন প্রজন্মের তিন ভিন্নধর্মী মুখ সাঈদ আহমেদ আসলাম (শরীয়তপুর-১), শফিকুর রহমান কিরণ (শরীয়তপুর-২) ও মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু (শরীয়তপুর-৩)। এই তিন নেতার মধ্যে রয়েছে অভিজ্ঞতা, ত্যাগ, সংগঠনী দক্ষতা এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সর্ম্পক জেলার রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের কর্মীদের পাশে থেকে কাজ করেছেন। তিনি রাজনীতিকে ক্ষমতার নয়, সেবার মাধ্যম হিসেবে দেখেন। দুঃসময়েও দল ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তিনি জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। তার অঙ্গীকার—জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের রাজনীতি গড়ে তোলা।
অন্যদিকে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরণ দলের অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে আবারও আলোচনায়। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও সাহসের উদাহরণ হয়ে আছেন। তৃণমূলের কর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের ঐক্যের প্রতীক। তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজসেবামূলক কর্মকা- আজও স্থানীয় উন্নয়নের বাতিঘর।
এদিকে শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্ডা-ভেদরগঞ্জ) আসনে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব, নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। আইনি হয়রানি ও প্রতিকূল সময় পেরিয়ে তিনি যেমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হয়ে উঠেছেন, তেমনি মাঠপর্যায়ে সংগঠনের পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শরীয়তপুরে বিএনপির এই নতুন সমন্বয় অভিজ্ঞতা, সংগঠনী শক্তি ও তরুণ নেতৃত্বের এক সফল মেলবন্ধন। তিন নেতার নেতৃত্বে জেলা বিএনপি এখন আরও ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাদের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে।
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা)
শরীয়তপুরের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন সাঈদ আহমেদ আসলাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্তৃক ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী থেকে জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বে উঠে আসা এই রাজনীতিক বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে দল ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করা সাঈদ আহমেদ আসলাম বিএনপির রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি পূর্বে শরীয়তপুর-৩ আসন (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্ডা-গোসাইরহাট) থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তার সাংগঠনিক দক্ষতা, ত্যাগ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে এবার শরীয়তপুর-১ আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে, শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর হাতে দলের প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে। দলের এই সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসে স্থানীয় পর্যায়ে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাঈদ আহমেদ আসলাম বলেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের সকল স্তরের মানুষ ও নেতাকর্মীদের আমি যেভাবে আগলে রেখেছিলাম, কথা দিচ্ছি এখন থেকে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের প্রতিটি মানুষ ও কর্মীকে একইভাবে আগলে রাখব। আমরা সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব, ইনশাআল্লাহ। তার এই বক্তব্যে এক ধরনের মানবিক প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট রাজনীতি তার কাছে কেবল ক্ষমতা নয়, বরং জনগণের সেবার মাধ্যম।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি বারবার হয়রানি, হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক বিরোধীতা সত্ত্বেও তিনি কখনো দমে যাননি। বরং এসব প্রতিকূল সময়েও তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, তাদের খোঁজখবর রেখেছেন, আইনি সহায়তা দিয়েছেন এবং পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের অনেক নেতাকর্মীর সন্তানদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে চিকিৎসা-সবক্ষেত্রেই তিনি যতœবান ভূমিকা পালন করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাঈদ আহমেদ আসলাম শুধু দলের নেতা নন, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক। দলের কঠিন সময়ে তার ত্যাগ এবং ধৈর্য তাকে আলাদা মর্যাদায় নিয়ে গেছে। শরীয়তপুরের রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। মাঠপর্যায়ে তার সঙ্গে কাজ করা নেতাকর্মীরা বলেন, আসলাম একজন সহজ-সরল, মানুষের কাছে যাওয়া-আসা নেতা। তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপি আগের চেয়ে সংগঠিত হয়েছে। সভা-সমাবেশ, আন্দোলন কিংবা দলীয় কর্মসূচিতে তিনি প্রথম সারিতে থাকেন।
বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা মনে করেন, দলের নীতির প্রতি আনুগত্য ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই তাকে শরীয়তপুর-১ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। এই আসনে দলের ভিত্তি মজবুত করতে এবং জনগণের আস্থা অর্জনে আসলামের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ।
আসন্ন নির্বাচনে তিনি জনগণের সমর্থন নিয়ে জয়লাভের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তার নির্বাচনী কৌশলে থাকবে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক গণসংযোগ, তরুণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, এবং স্থানীয় উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, আমি চাই জনগণ যেন বিশ্বাস করতে পারে, ধানের শীষ মানে তাদের উন্নয়ন, তাদের স্বপ্ন। আমি সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে চাই। তার নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, নদীভাঙন রোধ ও কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা। তিনি ইতোমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের উৎসাহ সৃষ্টি করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। দলের ভেতরে ঐক্য বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন আসলাম। তিনি বলেন, দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত শরীয়তপুরকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া। আমি কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নই, আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে এখন একটি ঐক্যবদ্ধ ও উদ্যমী বিএনপি দেখা যাচ্ছে, যেখানে তরুণ ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হচ্ছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নদীভাঙন রোধ, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য, এবং কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলো নিয়েই মানুষের চিন্তা। তাদের প্রত্যাশা, নতুন নেতৃত্ব আসলে এসব বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি হবে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, আসলাম সাহেবের মধ্যে আমরা একজন আন্তরিক মানুষ দেখি। তিনি রাজনীতিবিদ হয়েও মানুষের পাশে থাকেন, সাহায্য করেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি সহজভাবে কথা বলেন। সাঈদ আহমেদ আসলামের লক্ষ্য শুধু নির্বাচনে জয় নয়, বরং জেলার দীর্ঘদিনের অবহেলিত উন্নয়নযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়া। তার কথায় আমার রাজনীতি জনগণের ভালোবাসা থেকে জন্ম নেওয়া। আমি সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই সেবা ও উন্নয়নের মাধ্যমে।
শরীয়তপুর-১ আসনের নির্বাচনী লড়াইয়ে সাঈদ আহমেদ আসলাম এখন এক প্রতিশ্রুতিশীল নাম। দলের প্রতি অবিচল আনুগত্য, জনগণের সঙ্গে সংযোগ এবং উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গিই হতে পারে তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। সামনে যতই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হোক না কেন, তিনি ইতোমধ্যেই একথা স্পষ্ট করেছেন—তার রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের উন্নয়নের জন্য।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর)
শরীয়তপুর জেলার রাজনীতিতে একটি নির্ভরযোগ্য নাম শফিকুর রহমান কিরণ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি তৃণমূল থেকে উঠে এসে জেলার রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন একাগ্রতা, ত্যাগ ও সততার মাধ্যমে।
নড়িয়া ও সখিপুরের মানুষের কাছে তিনি কেবল একজন রাজনীতিক নন, বরং অভিভাবকসুলভ নেতা। তিনি শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসন (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্ডা-গোসাইরহাট) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন থেকেই তিনি শরীয়তপুরের বিএনপি রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
শফিকুর রহমান কিরণের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্রজীবনেই। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তিনি বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাঠে-ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘ ত্যাগ ও নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ধীরে ধীরে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে আসেন। আজ তিনি শুধু জেলা বিএনপির সভাপতি নন, বরং সংগঠনের ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতীক। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সংকটময় সময়গুলোতে তিনি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংগঠন ভাঙনের সময়ও তিনি নেতাকর্মীদের এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা করেছেন, কারো প্রতি বিদ্বেষ না রেখে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন বারবার। কখনও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, কখনও পুলিশের হেনস্তা—তবুও তিনি দমে যাননি। বরং প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সাহসিকতার সঙ্গে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে আমিসহ আমার অনেক নেতা-কর্মী বছরের পর বছর মিথ্যা মামলার হাজিরা দিতে কোর্টের বারান্দায় দিন কাটিয়েছি। আমার কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি, আমি নিজেও গ্রামের বাড়িতে যেতে পারিনি। তবুও আমি হাল ছাড়িনি-কারণ বিএনপির রাজনীতি আমার জীবনের অংশ। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কিরণ সবসময় তাদের সুখ-দুঃখে পাশে ছিলেন। কোনো কর্মী সমস্যায় পড়লে তিনি নিজে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন, আইনি সহায়তা দিয়েছেন, এমনকি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সাহায্য করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে সমানভাবে সক্রিয় তিনি। তার পিতা মরহুম হাবিব উল্যার স্মৃতিকে অমর রাখতে প্রতিষ্ঠা করেন হাবিব উল্যা ডিগ্রি কলেজ, যা এখন সখিপুর অঞ্চলের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত। এই কলেজ আজ স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অনেকের কর্মসংস্থানের পথও খুলে দিয়েছে।
এছাড়াও তার নিজ উদ্যোগে ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনি দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে কিরণ নগর উচ্চ বিদ্যালয় ও চরসেনসাস ইউনিয়নের বালার বাজারে শরীয়তুন হাবিব কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় মানুষ জানান, উন্নয়নমূলক এসব কর্মকান্ডে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নয়, বরং জনসেবার মানসিকতা থেকেই তিনি কাজ করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে শফিকুর রহমান কিরণ একজন বিশ্বস্ত ও যোগ্য সংগঠক হিসেবে স্বীকৃত। দল একাধিকবার তাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়েছে—যা তার নেতৃত্বগুণ, তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ ও কেন্দ্রের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, শফিকুর রহমান কিরণ শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। কঠিন সময়েও তিনি দলের পাশে থেকেছেন, আমাদের সাহস দিয়েছেন। তার মতো ত্যাগী ও সৎ রাজনীতিক আজকের দিনে বিরল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়িয়া-সখিপুরে এখন নতুন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। শফিকুর রহমান কিরণের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। গ্রামে-গঞ্জে চলছে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও সাংগঠনিক বৈঠক।
দলীয় কর্মীরা বলছেন, আমরা কিরণ ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো। তার নেতৃত্বে বিএনপি আবারও নড়িয়া-সখিপুরে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। নেতাকর্মীদের এই আস্থা কিরণের দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও নিবেদনের ফসল। জনগণের আস্থা তার মূল শক্তি নিজের রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে কিরণ বলেন, আমার রাজনীতি মানুষের সেবা করার জন্য। দল আমাকে যতবার দায়িত্ব দিয়েছে, আমি চেষ্টা করেছি জনগণের আস্থা রক্ষা করতে। নড়িয়া-সখিপুরের মানুষের কাছে আমি শুধু একজন নেতা নই, তাদের ভাই হয়ে পাশে থেকেছি-ভবিষ্যতেও থাকব। আমার শক্তি তৃণমূল।
জেলার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, শফিকুর রহমান কিরণ একজন অভিজ্ঞ, সাহসী ও ত্যাগী রাজনীতিক, যিনি সংকটেও আশার আলো দেখান। তার নেতৃত্বে নড়িয়া-সখিপুরে বিএনপি আবারও সংগঠিত হচ্ছে, যা জেলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
রাজনীতি, সমাজসেবা ও নেতৃত্বগুণএই তিন গুণে শফিকুর রহমান কিরণ এখন নড়িয়া-সখিপুরে বিএনপির নির্ভরতার প্রতীক। প্রতিকূল সময়েও তার ধৈর্য, মানবিকতা ও নিষ্ঠা তাকে জনগণের কাছে এক বিশ্বাসযোগ্য নেতায় পরিণত করেছে। আগামী নির্বাচনে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, শরীয়তপুরের মানুষ জানে শফিকুর রহমান কিরণ এমন একজন নেতা, যিনি ক্ষমতায় থাকুন বা না থাকুন, জনগণের পাশে থাকেন অবিচলভাবে।
শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত ও সম্ভাবনাময় এক নাম। রাজপথের নেতৃত্ব থেকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো তার রাজনৈতিক পথচলা যেন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিরই প্রতিচ্ছবি।
ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু ধীরে ধীরে তৃণমূলের কর্মী থেকে কেন্দ্রীয় অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বে উঠে আসেন। সংগঠনের কাজে নিষ্ঠা ও দক্ষতা দেখিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি দলের নীতি নির্ধারণ, সাংগঠনিক যোগাযোগ ও কৌশল প্রণয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে শুরু করেন।
২০১৯ সালে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। বিএনপি তখন অভিযোগ করে, এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। দীর্ঘ ছয় বছরের আইনি লড়াই শেষে ২০২৪ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অর্থপাচার মামলায় আদালত তাকে খালাস দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অভিযোগের পক্ষে তদন্ত সংস্থা পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। রায় ঘোষণার পর অপু বলেন, সত্য চিরকাল লুকিয়ে থাকে না। আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবার জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। বিএনপি এই রায়কে রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের বিজয় হিসেবে দেখেছে।
আইনি জটিলতা কাটিয়ে রাজনীতিতে ফেরার পর থেকেই মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু শরীয়তপুর-৩ আসনে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষের হামলা ও প্রতিবন্ধকতার মুখেও তিনি থেমে থাকেননি। বরং এসব বাধাকেই তিনি রাজনীতির অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তিনি বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও কৌশলগত সিদ্ধান্তে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, তার মতো তরুণ, সংগঠিত ও শিক্ষিত নেতৃত্ব বিএনপির ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেন, মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন ত্যাগ, ধৈর্য আর সাহস থাকলে রাজনীতিতে ন্যায়বিচার অর্জন সম্ভব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনে দলের সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ন্যায়, শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। জনগণ প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের পক্ষে। আগামী নির্বাচন হবে জনগণের ভোটের নির্বাচন।
রাজনীতির চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু এখন শরীয়তপুরের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে তার উত্থান, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা তাকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। শরীয়তপুর-৩ আসনে তার নেতৃত্বে বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্জাগরণ ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান। আগামী নির্বাচনে তিনি শুধু একজন প্রার্থী নন, বরং জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক দৃঢ় কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন।
























