ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

এনআইডিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব ইসির

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনআইডি কার্ড আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞ এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেয়া হবে? বরং এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে : ইসি সচিব

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এনআইডি রাখাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ইসি সচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজ স্যারকে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণ হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, সেখানে মতামত দিয়েছি। তিনি বলেন, এনআইডি কার্ডের বিষয়ে আমাদের অভিমত হলো, এনআইডি আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেওয়া হবে? বরং এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে। আমরা এখন ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি, সার্ভিসের উপযোগিতা আছে বলেই তো দেওয়া হচ্ছে। ভোটার ও নির্বাচনী আসন বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, গ্রাম শূন্য হয়ে মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এজন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। এটা না করে জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় আসন করা উচিত। ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে সার্টিফাই করার কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি এটার দরকার নেই। নির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট না হয়ে তো ফলাফল দিচ্ছেন না। এটা গেজেট হচ্ছে, এটাই সার্টিফিকেশন। এমন কোনো ম্যাকানিজম কি আছে যে আমরা সার্টিফিকেশন দেব, কী করব? ম্যাকানিজম কী হবে, সেটা তো আবার আরেকটা দিকে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইসির দায়বদ্ধতা ও কমিশনের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়, ইসির শাস্তির ব্যবস্থা তো আছেই। শর্ত ভঙ্গ করলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বা অন্যান্য… আইন পরিবর্তনে এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত। একাডেমিক দিক থেকে বিষয়টা যদি বলি- চাকরি শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর আপনি বললেন আমি ওই নির্বাচনে শর্ত ভঙ্গ করেছি। তাহলে পাঁচ বছর পর আজ কোর্টে দৌড়াতে হবে এটার জেরে ঘানি টানার জন্য। দিস ইজ রেশনাল? এটা যৌক্তিক? আমি ইমিডিয়েট শর্ত ভঙ্গ করেছি, এটা এখনই বলেন। আর নির্বাচন হচ্ছে এমনই পদ্ধতি যেখানে একজন জিতবেন, বাকিরা হারবেন। সংস্কার কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, কয়টি বিষয়ে আপত্তি আছে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপত্তি শব্দটির প্রতি আমার আপত্তি আছে। আপত্তি না, আমরা বলেছি আমাদের মতামত। আপত্তি বিষয়টা হলো জোরালো এবং বিষয়টাই ডিফারেন্ট। ইসি ভিন্নমত পোষণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এনআইডিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব ইসির

আপডেট সময় : ০১:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

এনআইডি কার্ড আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞ এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেয়া হবে? বরং এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে : ইসি সচিব

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এনআইডি রাখাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ইসি সচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজ স্যারকে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণ হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, সেখানে মতামত দিয়েছি। তিনি বলেন, এনআইডি কার্ডের বিষয়ে আমাদের অভিমত হলো, এনআইডি আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেওয়া হবে? বরং এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে। আমরা এখন ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি, সার্ভিসের উপযোগিতা আছে বলেই তো দেওয়া হচ্ছে। ভোটার ও নির্বাচনী আসন বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, গ্রাম শূন্য হয়ে মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এজন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। এটা না করে জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় আসন করা উচিত। ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে সার্টিফাই করার কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি এটার দরকার নেই। নির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট না হয়ে তো ফলাফল দিচ্ছেন না। এটা গেজেট হচ্ছে, এটাই সার্টিফিকেশন। এমন কোনো ম্যাকানিজম কি আছে যে আমরা সার্টিফিকেশন দেব, কী করব? ম্যাকানিজম কী হবে, সেটা তো আবার আরেকটা দিকে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইসির দায়বদ্ধতা ও কমিশনের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়, ইসির শাস্তির ব্যবস্থা তো আছেই। শর্ত ভঙ্গ করলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বা অন্যান্য… আইন পরিবর্তনে এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত। একাডেমিক দিক থেকে বিষয়টা যদি বলি- চাকরি শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর আপনি বললেন আমি ওই নির্বাচনে শর্ত ভঙ্গ করেছি। তাহলে পাঁচ বছর পর আজ কোর্টে দৌড়াতে হবে এটার জেরে ঘানি টানার জন্য। দিস ইজ রেশনাল? এটা যৌক্তিক? আমি ইমিডিয়েট শর্ত ভঙ্গ করেছি, এটা এখনই বলেন। আর নির্বাচন হচ্ছে এমনই পদ্ধতি যেখানে একজন জিতবেন, বাকিরা হারবেন। সংস্কার কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, কয়টি বিষয়ে আপত্তি আছে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপত্তি শব্দটির প্রতি আমার আপত্তি আছে। আপত্তি না, আমরা বলেছি আমাদের মতামত। আপত্তি বিষয়টা হলো জোরালো এবং বিষয়টাই ডিফারেন্ট। ইসি ভিন্নমত পোষণ করেছে।