ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্যয় ১৫২ কোটি টাকা

এবার সিসি ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৯১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বলে আশা যাত্রী ও চালকদের। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ক্যামেরার আওতায় এলে ভালো পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে। জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্যামেরা যেকোনো ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে এবং কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিক সতর্ক সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। বিনামূল্যে পৌঁছে দেবে নিকটবর্তী হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও ট্রমা সেন্টার। উন্নত দেশগুলোতে আগে থেকেই এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও দেশে এবারই প্রথম এ পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্যোগটির মাধ্যমে একদিকে যেমন সড়কে দুর্ঘটনা কমবে, তেমনি বাড়বে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০টি পোলের মাধ্যমে ১,৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।

ইতোমধ্যে এক হাজারও বেশি ক্যামেরা বসানোর হয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মেঘনাঘাট, দাউদকান্দি, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন ও সিটিগেট এলাকায় স্থাপন হয়েছে মনিটরিং সেন্টারও। মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে। এডিবি’র অর্থায়নে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজের প্রায় ৮০% শেষ। মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ কমাতে এসব ক্যামেরা সহায়ক হবে বলে আশা সকলের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রীর ভাষ্য, সোহেল রানা বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায়ই ছিনতাই ও নাশকতার মতো ঘটনা ঘটে। এসব ক্যামেরা লাগানোর কারণে অপরাধ কমবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে। এছাড়া চালকরাও সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাবেন বলে মনে হয়। এতে করে যাত্রী ও চালকদের জানমালের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমন হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতাও বাড়বে। খুবই ভালো উদ্যোগ এটি। কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ, পালিয়ে বেড়ানো যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করা যানবাহনের নামে বিশেষ এ ক্যামেরায় ভিডিও মামলা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। কুমিল্লা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, এসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে সুফল পাওয়া শুরু হলে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়বে। সম্ভব হবে দুর্ঘটনা ও অপরাধ দমন। প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াং প্রতিষ্ঠানের তৈরি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ এ বছরের জুনে শেষ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্যয় ১৫২ কোটি টাকা

এবার সিসি ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

আপডেট সময় : ০১:৪১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

১৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বলে আশা যাত্রী ও চালকদের। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ক্যামেরার আওতায় এলে ভালো পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে। জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্যামেরা যেকোনো ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে এবং কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিক সতর্ক সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। বিনামূল্যে পৌঁছে দেবে নিকটবর্তী হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও ট্রমা সেন্টার। উন্নত দেশগুলোতে আগে থেকেই এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও দেশে এবারই প্রথম এ পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্যোগটির মাধ্যমে একদিকে যেমন সড়কে দুর্ঘটনা কমবে, তেমনি বাড়বে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০টি পোলের মাধ্যমে ১,৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।

ইতোমধ্যে এক হাজারও বেশি ক্যামেরা বসানোর হয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মেঘনাঘাট, দাউদকান্দি, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন ও সিটিগেট এলাকায় স্থাপন হয়েছে মনিটরিং সেন্টারও। মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে। এডিবি’র অর্থায়নে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজের প্রায় ৮০% শেষ। মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ কমাতে এসব ক্যামেরা সহায়ক হবে বলে আশা সকলের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রীর ভাষ্য, সোহেল রানা বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায়ই ছিনতাই ও নাশকতার মতো ঘটনা ঘটে। এসব ক্যামেরা লাগানোর কারণে অপরাধ কমবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে। এছাড়া চালকরাও সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাবেন বলে মনে হয়। এতে করে যাত্রী ও চালকদের জানমালের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমন হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতাও বাড়বে। খুবই ভালো উদ্যোগ এটি। কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ, পালিয়ে বেড়ানো যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করা যানবাহনের নামে বিশেষ এ ক্যামেরায় ভিডিও মামলা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। কুমিল্লা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, এসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে সুফল পাওয়া শুরু হলে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়বে। সম্ভব হবে দুর্ঘটনা ও অপরাধ দমন। প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াং প্রতিষ্ঠানের তৈরি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ এ বছরের জুনে শেষ হবে।