ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

কক্সবাজারে হোটেলে আটকা ২৫ হাজার পর্যটক

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন সড়ক ডুবে থাকায় দুর্ভোগে পর্যটকেরা : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পর্যটন নগরী কক্সবাজার। টানা ২০ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের গেছে সৈকত এলাকার হোটেল-রিসোর্ট, কটেজ জোন। জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পর্যটকেরা। শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন হোটেলে। জলাবদ্ধতার কারণে কোথাও বের হতে পারছেন না। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল নিশানা উড়িয়ে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদারের মতে ৫০ বছরে শহরজুড়ে এমন জলাবদ্ধতা দেখেননি। অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়ন, পানিষ্কামনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা এবং শহরের পাহাড় নিধন বন্ধ না হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।

হোটেলমালিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। এরপর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে পুরো শহরের ৮ লাখ মানুষের জীবন অনেকটা থমকে যায়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় আবার ভারী বর্ষণ শুরু হয়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আরও কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে শহরের প্রধান সড়ক, কলাতলী সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক ডুবে গেছে। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ বি হান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের তীব্রতাও বেশি থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে হোটেলে আটকা ২৫ হাজার পর্যটক

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

পর্যটন নগরী কক্সবাজার। টানা ২০ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের গেছে সৈকত এলাকার হোটেল-রিসোর্ট, কটেজ জোন। জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পর্যটকেরা। শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন হোটেলে। জলাবদ্ধতার কারণে কোথাও বের হতে পারছেন না। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল নিশানা উড়িয়ে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদারের মতে ৫০ বছরে শহরজুড়ে এমন জলাবদ্ধতা দেখেননি। অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়ন, পানিষ্কামনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা এবং শহরের পাহাড় নিধন বন্ধ না হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।

হোটেলমালিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। এরপর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে পুরো শহরের ৮ লাখ মানুষের জীবন অনেকটা থমকে যায়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় আবার ভারী বর্ষণ শুরু হয়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আরও কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে শহরের প্রধান সড়ক, কলাতলী সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক ডুবে গেছে। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ বি হান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের তীব্রতাও বেশি থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।