কাদা রাস্তায় কাঁদছে মানুষ, কথা রাখেনি কেউ
- আপডেট সময় : ৭২ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ডিসি রাস্তার সংযোগ সড়ক খোর্দ্দ রসুলপুর মোংলাবন্দর থেকে উত্তরে গ্রামান্তর প্রবেশদ্বারে একমাত্র কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থার তৈরি হয়েছে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু কাদায় পরিণত হয়। এসময় হালকা যানবাহন নিয়ে দূরের কথা হেঁটে চলতে গিয়ে অনেকে উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এভাবে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারি। রাস্তাটি পাকাকরণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি কেউ।
সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউনিয়নের মোংলবন্দর থেকে উত্তর দিকে সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকিরের বাড়ি ঘেঁসে বুজরুক রসুলপুর হামিদ মণ্ডলের ঈদগাহ্ মাঠ পর্যন্ত দেখা গেছে- রাস্তাটির নাজুক অবস্থার চিত্র।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক যুগ আগে ওই রাস্তাটি তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল জনস্বার্থে প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের ভেতর দিয়ে নতুন করে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেন। এ রাস্তা দিয়ে সমাজের মসজিদ ও ঈদগাহ্ মাঠে নামাজ আদায় করতে যান মুসল্লিরা। শুধু তায় নয়, আইডিভূক্ত ১২শ মিটার এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন রিকশাভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। এতে শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় জলাবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় হাঁটু কাদা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত কাদার হওয়ায় মানুষদের মরণ ফাঁদে উপণিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় যাতায়াতের কষ্ট। এতে চলতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ভোক্তভোগীরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলার অন্যান্যা উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও, অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মোংলাবন্দর-হামিদমণ্ডলের ঈদগাহ মাঠের রাস্তাটি। যার কারনে একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগি হয়। এ রাস্তা জুরুরিভাবে পাকাকরণ দরকার।
এ বিষয়ে বুজরুক রসুলপুর (পিরোজপুর) গ্রামের বাসিন্দা ও সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকির বলেন, যখন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয় তখন এপথে প্রার্থী ও কর্মীদের পদচারণ বেড়ে যায়। রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আর নির্বাচিত হলে সহজে দেখা মেলে না তাদের। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও আজও কথা রাখেনি কেউ।
এ বিষয়ে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, ওই রাস্তাটির ব্যাপারটি আমার মাথায় আছে। এটি পাকাকরণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হতে পারে বলে আশাবাদী।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনহাজ জানান, কাঁচা রাস্তা পাকাকরনে এখন কোন বরাদ্দ নেই। সামনে কোন প্রজেক্ট আসলে করে দিবেন তিনি।





















