কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত বিএনপির কর্মীর মৃত্যু
- আপডেট সময় : ১১:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত সুজন সরদার কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের শিকারমঙ্গল গ্রামের মিজানুর রহমান সরদারের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা বাজারে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও স্থানীয় দলীয় লোকজনের উদ্যোগে জিয়া মঞ্চের একটি প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
সেই সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে কালকিনি উপজেলা সদর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে রওনা দেন। নেতা-কর্মীরা পথিমধ্যে কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের খালেকেরহাট নামকস্থানে পৌছালে হঠাৎ করে তাদের উপরে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় সুজন সরদার ও শামীম বেপারীসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সুজন সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর মারা যান।
কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, জিয়া মঞ্চের একটি প্রস্তুতিমূলক সভায় যাওয়ার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকস ও এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক সরদারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন মিলে আমাদের দলীয় লোকজনের ওপর হঠাৎ বোমা হামলা চালায়।
এই ঘটনায় প্রায় ৫/৭ জন নেতা-কর্মী আহত হন। গুরুতর আহত বিএনপির কর্মী সুজন সরদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সন্ধ্যার তার মৃত্যু হয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত কালকিনির এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক সরদার বলেন, আমি ঢাকায় আছি। এ হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমার ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আহত সুজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইতিমধ্যে থানা পুলিশের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিবে।