ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লায় ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রামের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রেলযোগাযোগ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বেলা পৌনে দু’টা নাগাদ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরের তেজের বাজার এলাকায় জামালপুর গামী বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইণচ্যূত হয়। লাইণচ্যূত বগিগুলো ছিটকে পাশের জমিতে গিয়ে পড়ে। রেলপথের পাশে থাকা দুটো ঘরও বিধ্বস্ত হয় ট্রেনের ধাক্কায়।

বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কবলিত হবার পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা কেটে গেলেও উদ্ধার তৎপরতা চোখে পড়েনি। ঢাকা চট্টগ্রামের মধ্যে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথটিতে উদ্ধার কাজ শুরু দীর্ঘ সময় পর।

জানা গেছে, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে জামালপুর যাচ্ছিল। পথে বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রেনটির ইঞ্জিন। এসময় ইঞ্জিনের পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বগিগুলো। তাতে যাত্রীসহ ৯টি বগি রেললাইনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০০ মিটার রেলপথ মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলপথ মেরামত হলেই এ পথে ট্রেন চলাচল সজল হবে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রচন্ড উত্তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, রেললাইনের কালভার্টের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ স্লিপার ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনাকবলিত বিজয় এক্সপ্রেসের কোন যাত্রী মারা যাবার খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ৩০ অধিক যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী জানান, নিরাপদে ট্রেনের যাত্রীদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলাকালে ট্রেনটিকে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুমিল্লায় ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রামের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রেলযোগাযোগ

আপডেট সময় :

 

বেলা পৌনে দু’টা নাগাদ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরের তেজের বাজার এলাকায় জামালপুর গামী বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইণচ্যূত হয়। লাইণচ্যূত বগিগুলো ছিটকে পাশের জমিতে গিয়ে পড়ে। রেলপথের পাশে থাকা দুটো ঘরও বিধ্বস্ত হয় ট্রেনের ধাক্কায়।

বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কবলিত হবার পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা কেটে গেলেও উদ্ধার তৎপরতা চোখে পড়েনি। ঢাকা চট্টগ্রামের মধ্যে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথটিতে উদ্ধার কাজ শুরু দীর্ঘ সময় পর।

জানা গেছে, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে জামালপুর যাচ্ছিল। পথে বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রেনটির ইঞ্জিন। এসময় ইঞ্জিনের পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বগিগুলো। তাতে যাত্রীসহ ৯টি বগি রেললাইনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০০ মিটার রেলপথ মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলপথ মেরামত হলেই এ পথে ট্রেন চলাচল সজল হবে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রচন্ড উত্তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, রেললাইনের কালভার্টের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ স্লিপার ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনাকবলিত বিজয় এক্সপ্রেসের কোন যাত্রী মারা যাবার খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ৩০ অধিক যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী জানান, নিরাপদে ট্রেনের যাত্রীদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলাকালে ট্রেনটিকে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।