ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে তালা

খায়রুল আনাম, কেশবপুর (যশোর)
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুরে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় ইউনিয়ন ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। কারণ দীর্ঘ দিন চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না আসায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গতকাল রোববার স্থানীয় জনতা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে অপসারণ দাবিতে ইউপি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে একপর্যায়ে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এলাকাবাসী জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন পরিষদে আসছেন না। এছাড়া তিনি রাস্তার ইট তুলে নিয়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে লাগিয়েছেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ দোসর। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাউশলা গ্রামের কামরুল গাজীর তিনটি মাছের ঘের দখল করে নেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ায় তার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মেনে নেওয়া যায় না। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল গাজী বলেন, অত্যাচারী চেয়ারম্যান এ এলাকায় অবস্থান করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন যার ভিডিও আমাদের হাতে পৌঁছেছে। এ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়ারম্যান তৎপর। তাকে এলাকাবাসী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে তালা

আপডেট সময় : ০৩:০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুরে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় ইউনিয়ন ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। কারণ দীর্ঘ দিন চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না আসায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গতকাল রোববার স্থানীয় জনতা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে অপসারণ দাবিতে ইউপি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে একপর্যায়ে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এলাকাবাসী জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন পরিষদে আসছেন না। এছাড়া তিনি রাস্তার ইট তুলে নিয়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে লাগিয়েছেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ দোসর। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাউশলা গ্রামের কামরুল গাজীর তিনটি মাছের ঘের দখল করে নেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ায় তার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মেনে নেওয়া যায় না। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল গাজী বলেন, অত্যাচারী চেয়ারম্যান এ এলাকায় অবস্থান করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন যার ভিডিও আমাদের হাতে পৌঁছেছে। এ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়ারম্যান তৎপর। তাকে এলাকাবাসী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।