ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুহুল কবির রিজভী

কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ভূমিদস্যুকে বিএনপির সদস্য করা যাবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “সমাজের ভালো ও সৎ মানুষদের বিএনপির সদস্য করতে হবে। শিক্ষক, উকিল, চাকরিজীবী, পোশাক শ্রমিকসহ যাদের সমাজে সুনাম রয়েছে, তাদের দলে নিতে হবে। কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ভূমিদস্যু কিংবা যাদের দেখে মেয়েরা ভয় পায়, তাদের সদস্য করা যাবে না।”
গতকাল শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী ১ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিএনপি একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তবে ফাঁকফোকর দিয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পরতে পারে। এজন্য সজাগ থাকতে হবে যাতে কোনো সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজ বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর বিএনপিতে ঠাঁই না পায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির টিম লিডার আহসান উদ্দিন খান শিপন, কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাহী সদস্য সাঈদুল হক সাঈদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাহী সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল হক খোকন প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ শেখ হাসিনার মতো শুকুনিরা দেশকে খুবলে খুবলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছে। জনগণ এ পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পিআর কী জনগণ বলতে পারবে? এটা কি নারিকেল তেলের মত মাথায় দেয়? যারা ধর্মীয় রাজনীতি করে তাদেরও কেউ কেউ এ দাবি করছে। এ পদ্ধতিতে ভোটাররা প্রার্থী নয়, দলকে বেছে নিলে দলগুলো কর্তৃত্ববাদী হয়ে পড়বে। বিতর্কিত ও অর্থবিত্তশালী ব্যক্তিরা সহজেই এমপি হয়ে যেতে পারবেন। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ চিনবে না। যে ভোটাধিকারের জন্য এত সংগ্রাম ও রক্ত বিলানো হলো, তা নিয়ে কেন এত লুকোচুরি? তিনি আরও বলেন, আমরা ভুলে যাইনি, একবার সংস্কারের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জাকির, সুমনসহ অনেককে গুম ও খুন করা হয়েছে। ভয়াবহ দুঃশাসন কায়েম করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে।
বিএনপির মূল লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষ ভয়ভীতির বাইরে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণ করে রিজভী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কচি প্রাণ মীর মুগ্ধ জীবন দিয়েছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ বুক পেতে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে। এই রক্তের দাম রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া বলেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন হবেই হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসন বিএনপিকে উপহার দিতে হবে। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি এ দেশে কার্যকর হবে না। পাশের দেশ নেপালে এ পদ্ধতিতে সরকার দুই মাসও টিকে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। আওয়ামীলীগের কোনো কর্মী বা দোসরকে বিএনপির সদস্য করা যাবে না। সকল সংস্কারের কথা ৩১ দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুহুল কবির রিজভী

কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ভূমিদস্যুকে বিএনপির সদস্য করা যাবে না।

আপডেট সময় :

কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “সমাজের ভালো ও সৎ মানুষদের বিএনপির সদস্য করতে হবে। শিক্ষক, উকিল, চাকরিজীবী, পোশাক শ্রমিকসহ যাদের সমাজে সুনাম রয়েছে, তাদের দলে নিতে হবে। কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ভূমিদস্যু কিংবা যাদের দেখে মেয়েরা ভয় পায়, তাদের সদস্য করা যাবে না।”
গতকাল শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী ১ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিএনপি একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তবে ফাঁকফোকর দিয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পরতে পারে। এজন্য সজাগ থাকতে হবে যাতে কোনো সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজ বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর বিএনপিতে ঠাঁই না পায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির টিম লিডার আহসান উদ্দিন খান শিপন, কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাহী সদস্য সাঈদুল হক সাঈদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাহী সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল হক খোকন প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ শেখ হাসিনার মতো শুকুনিরা দেশকে খুবলে খুবলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছে। জনগণ এ পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পিআর কী জনগণ বলতে পারবে? এটা কি নারিকেল তেলের মত মাথায় দেয়? যারা ধর্মীয় রাজনীতি করে তাদেরও কেউ কেউ এ দাবি করছে। এ পদ্ধতিতে ভোটাররা প্রার্থী নয়, দলকে বেছে নিলে দলগুলো কর্তৃত্ববাদী হয়ে পড়বে। বিতর্কিত ও অর্থবিত্তশালী ব্যক্তিরা সহজেই এমপি হয়ে যেতে পারবেন। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ চিনবে না। যে ভোটাধিকারের জন্য এত সংগ্রাম ও রক্ত বিলানো হলো, তা নিয়ে কেন এত লুকোচুরি? তিনি আরও বলেন, আমরা ভুলে যাইনি, একবার সংস্কারের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জাকির, সুমনসহ অনেককে গুম ও খুন করা হয়েছে। ভয়াবহ দুঃশাসন কায়েম করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে।
বিএনপির মূল লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষ ভয়ভীতির বাইরে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণ করে রিজভী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কচি প্রাণ মীর মুগ্ধ জীবন দিয়েছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ বুক পেতে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে। এই রক্তের দাম রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া বলেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন হবেই হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসন বিএনপিকে উপহার দিতে হবে। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি এ দেশে কার্যকর হবে না। পাশের দেশ নেপালে এ পদ্ধতিতে সরকার দুই মাসও টিকে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। আওয়ামীলীগের কোনো কর্মী বা দোসরকে বিএনপির সদস্য করা যাবে না। সকল সংস্কারের কথা ৩১ দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।