ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টাচ্ছে রেমাল, নোনাপানি ঢুকছে লোকালয়ে
- আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ২১১ বার পড়া হয়েছে
ফণাতুলে প্রচন্ড গতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টাচ্ছে রেমাল। উত্তাল সাগর। ঝড়ের প্রভাবে উপকূল এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ের অনেক স্থানে পানি ঢুকে পড়েছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে লঞ্চঘাটের পল্টুন। উপকূল জুড়ে মনুষের মঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
দেশের সকল নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তীব্র জোয়ারের ধাক্কায় বিভিন্ন জায়গায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হুহু করে লোকালয় ঢুকছে সাগরের নোনাজল। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বলা হয়েছে, রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় কয়েকটি জেলা, দ্বীপ ও চরে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
দুপুর থেকেই দমকা ঝড়ো হাওয়ার শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাদাবনে ভূমি ভেসে যাচ্ছে কমপক্ষে পাঁচ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে। ডুবে গেছে হিরণ পয়েন্টের বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতি ফলক।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চারটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে রাঙ্গাবালীর নীচু এলাকাগুলো।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। পানি ঢুকছে পাঁচ গ্রামে। চর বালিয়াতলী বেড়িবাঁধের রিভার সাইডের প্রায় ১০ ফুট অংশ ভেঙ্গে গেছে।
রেমালের প্রভাবে দুপুর থেকেই সাতক্ষীরায় ঝড়ো দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে উপকুলবাসী। কক্সবাজার সাগর ফুঁসে উঠেছে। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে উপকূলে।
প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ মোংলা ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এরি মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং এরি মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মহিবুর রহমান।