ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

খাবারে অতিরিক্ত দাম, নেই মূল্য তালিকা

জবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, আরামবাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মালিকের বিরুদ্ধে। ফারুক হোসেন ( মালিক) মূল্য তালিকা না ঝুলিয়েই হরহামেশাই ১০ টাকার জিনিস ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন৷
ক্যাম্পাস এলাকা পরিদর্শনের পর খাবার খেতে গেলে এই প্রতিবেদকের সাথে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে সকালে একটি পাতলা রুটির দাম ১০ টাকা থাকলেও দুপুর গড়াতেই দাম বেড়ে ১৫ টাকা হয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা , তাদের দাবি সকালে রুটির আকার ছোট হওয়ায় দাম কম কিন্তু বিকেলে রুটির আকার বড় হওয়ার ফলে দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া একটি রুই মাছের (পিছ) দাম সাধারণত ১২০ -১৩০ হলেও আরামবাগে সেটির দাম বেড়ে ১৮০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়।
জানতে চাইলে হোটেল মালিক ফারুক হোসেন বলেন এমন কিছু না আমাদের খাবারের মান ভালো। মূল্য তালিকা টাঙানোর বিষয়ে বলেন, আমাদের মূল তালিকা টাঙানো লাগে না, এখানে সবাই জানে আমরা এই রকম মূল্য নিই।
তিনি আরও বলেন, খাবারের মূ্ল্য তালিকা টাঙালে চলবে না তাই টাঙাই না। আমরা সবার থেকে নায্য মূল্যই নিয়ে থাকি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল কুদ্দুস বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকে আরামবাগে খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যেটা হচ্ছে অনেক কষ্টকর। এটা আমাদের ক্যাম্পাসের পাশে খাদ্য মুল্য টা আরেকটু কম হওয়া উচিত ছিল। আমরা অনেকবার বলেছি কিন্তু উনি কথার কোন গুরুত্ব দেয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে ১০ টাকার জিনিস যদি ১৫ টাকা দিয়ে খেতে হয় তাহলে এটা তো আমাদের জন্য ব্যর্থতা এবং একইসাথে দুঃখের। ক্যাম্পাসের সামনে প্রতিটি জিনিসের মূল্য সীমিত থাকা উচিত বলে মনে করি।
উল্লেখ, ভোক্তা অধিকার আইনের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করিবার দণ্ড সংক্রান্ত ৩৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করিয়া তাহার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে পণ্যের মূল্যের তালিকা লটকাইয়া প্রদর্শন না করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড,বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খাবারে অতিরিক্ত দাম, নেই মূল্য তালিকা

আপডেট সময় :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, আরামবাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মালিকের বিরুদ্ধে। ফারুক হোসেন ( মালিক) মূল্য তালিকা না ঝুলিয়েই হরহামেশাই ১০ টাকার জিনিস ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন৷
ক্যাম্পাস এলাকা পরিদর্শনের পর খাবার খেতে গেলে এই প্রতিবেদকের সাথে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে সকালে একটি পাতলা রুটির দাম ১০ টাকা থাকলেও দুপুর গড়াতেই দাম বেড়ে ১৫ টাকা হয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা , তাদের দাবি সকালে রুটির আকার ছোট হওয়ায় দাম কম কিন্তু বিকেলে রুটির আকার বড় হওয়ার ফলে দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া একটি রুই মাছের (পিছ) দাম সাধারণত ১২০ -১৩০ হলেও আরামবাগে সেটির দাম বেড়ে ১৮০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়।
জানতে চাইলে হোটেল মালিক ফারুক হোসেন বলেন এমন কিছু না আমাদের খাবারের মান ভালো। মূল্য তালিকা টাঙানোর বিষয়ে বলেন, আমাদের মূল তালিকা টাঙানো লাগে না, এখানে সবাই জানে আমরা এই রকম মূল্য নিই।
তিনি আরও বলেন, খাবারের মূ্ল্য তালিকা টাঙালে চলবে না তাই টাঙাই না। আমরা সবার থেকে নায্য মূল্যই নিয়ে থাকি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল কুদ্দুস বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকে আরামবাগে খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যেটা হচ্ছে অনেক কষ্টকর। এটা আমাদের ক্যাম্পাসের পাশে খাদ্য মুল্য টা আরেকটু কম হওয়া উচিত ছিল। আমরা অনেকবার বলেছি কিন্তু উনি কথার কোন গুরুত্ব দেয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে ১০ টাকার জিনিস যদি ১৫ টাকা দিয়ে খেতে হয় তাহলে এটা তো আমাদের জন্য ব্যর্থতা এবং একইসাথে দুঃখের। ক্যাম্পাসের সামনে প্রতিটি জিনিসের মূল্য সীমিত থাকা উচিত বলে মনে করি।
উল্লেখ, ভোক্তা অধিকার আইনের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করিবার দণ্ড সংক্রান্ত ৩৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করিয়া তাহার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে পণ্যের মূল্যের তালিকা লটকাইয়া প্রদর্শন না করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড,বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।