ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

খুলনায় গণমিছিল ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন ঘরামি নামে পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) নিহত হন। আহত হয়েছে আরও ২০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক মানুষ।

খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন মৃত ছিল। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অপর তিন জন হচ্ছে, মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহাগ ও সৌমেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষে সুমন ঘরামি নামে এক কনস্টেবল নিহত এবং পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সুমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ২০ জনকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিছু ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে আওয়াজ তুলে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চেয়েছে। সরাসরি কারও গায়ে মারা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সদস্য ফিরে আসার সময় আন্দোলনকারীরা একজনকে পিটিয়ে নিহত ও অন্যদের আহত করে।

জানা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তিন দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও ছররা গুলি) অবস্থায় সাত জনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চার জনের অবস্থা গুরুতর। আরও আহত হাসপাতালে আসছে। শতাধিক মানুষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খুলনায় গণমিছিল ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেট সময় :

 

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন ঘরামি নামে পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) নিহত হন। আহত হয়েছে আরও ২০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক মানুষ।

খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন মৃত ছিল। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অপর তিন জন হচ্ছে, মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহাগ ও সৌমেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষে সুমন ঘরামি নামে এক কনস্টেবল নিহত এবং পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সুমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ২০ জনকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিছু ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে আওয়াজ তুলে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চেয়েছে। সরাসরি কারও গায়ে মারা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সদস্য ফিরে আসার সময় আন্দোলনকারীরা একজনকে পিটিয়ে নিহত ও অন্যদের আহত করে।

জানা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তিন দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও ছররা গুলি) অবস্থায় সাত জনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চার জনের অবস্থা গুরুতর। আরও আহত হাসপাতালে আসছে। শতাধিক মানুষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।