ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিপ্লবের ১০০ দিন পর ইনডেমনিটির প্রয়োজন কেন: ড. মঈন Logo উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের অনাগ্রহ থাকলে খতিয়ে দেখব: মাহফুজ আলম Logo জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান ড. ইউনূসের Logo নাহিদ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা Logo অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক: আসিফ মাহমুদ Logo পলিথিনের কারখানায় অভিযানে গিয়ে ক্ষোভের মুখে কর্মকর্তাদের Logo ভান্ডারিয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষপানে দুই শিশু কন্যাসহ মায়ের আত্মহত্যা Logo জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বান্দরবানে জেলা বিএনপি’র সমাবেশ Logo লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

খেলতে খেলতে বিদায় নিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান আর নেই ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খেলতে খেলতেই বিদায় নিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া রহমান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলায় গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের। নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় খেলা।

খেলার প্রায় ৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর হুট করেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াকে। চিকিৎসকরাও দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করেন। তবে অনেকক্ষণ ধরেই তার কোনো পালসই খুঁজে পান না তারা। কিছুক্ষণ বাদে এই গ্র্যান্ডমাস্টারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথইকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন জিয়া।

মৃত্যুকালে জিয়াউরের বয়স ছিল ৫০ বছর। জিয়ার ম্যাচের সময় তার স্ত্রী লাবণ্যও ফেডারেশনে ছিলেন। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও এবার জাতীয় দাবা খেলছেন। হুট করে এই দাবাড়ু মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের দাবা অঙ্গনে।

পারিবারিকভাবে জিয়াউর রহমান দাবাড়ু। তার বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদও ছিলেনে একজন দাবাড়ু। তার পথ ধরেই স্কুল জীবন থেকে দাবার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন জিয়া। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও পেশাগতভাবে দাবাড়ু। ২০২২ সালে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তাজওয়ার।

দেশের দাবাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর তিনি। ২০০২ সালে নিয়াজ মোর্শেদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন জিয়াউর রহমান।

২০০৫ সালে বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া। এছাড়া দেশে-বিদেশে অসংখ্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন এই দাবাড়ু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খেলতে খেলতে বিদায় নিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

আপডেট সময় : ০৮:২১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

 

খেলতে খেলতেই বিদায় নিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া রহমান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলায় গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের। নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় খেলা।

খেলার প্রায় ৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর হুট করেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াকে। চিকিৎসকরাও দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করেন। তবে অনেকক্ষণ ধরেই তার কোনো পালসই খুঁজে পান না তারা। কিছুক্ষণ বাদে এই গ্র্যান্ডমাস্টারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথইকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন জিয়া।

মৃত্যুকালে জিয়াউরের বয়স ছিল ৫০ বছর। জিয়ার ম্যাচের সময় তার স্ত্রী লাবণ্যও ফেডারেশনে ছিলেন। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও এবার জাতীয় দাবা খেলছেন। হুট করে এই দাবাড়ু মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের দাবা অঙ্গনে।

পারিবারিকভাবে জিয়াউর রহমান দাবাড়ু। তার বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদও ছিলেনে একজন দাবাড়ু। তার পথ ধরেই স্কুল জীবন থেকে দাবার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন জিয়া। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও পেশাগতভাবে দাবাড়ু। ২০২২ সালে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তাজওয়ার।

দেশের দাবাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর তিনি। ২০০২ সালে নিয়াজ মোর্শেদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন জিয়াউর রহমান।

২০০৫ সালে বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া। এছাড়া দেশে-বিদেশে অসংখ্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন এই দাবাড়ু।