‘গণহত্যাকারীদের আগে বিচার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে,
- আপডেট সময় : ২১৬ বার পড়া হয়েছে
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, সরকার ও দলীয় প্রধান এবং সংসদের প্রধান হিসেবে একই ব্যক্তি প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না। এই পরিবর্তন না করে যদি নির্বাচন দেয়া হয়, তাহলে সেই নির্বাচন অর্থবহ হবে না। ময়মনসিংহে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন ও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেলেন, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের বিচার যদি নির্বাচনের আগে না হয় আর কোনোভাবে নির্বাচনের পরে চলে যায়, তাহলে বিচার বিলম্বিত হবে এবং বিচার না হওয়ার আশংকা থেকে যাবে। গণহত্যাকারীদের আগে বিচার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। আগামী ২৫ এপ্রিল নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জামায়াতের জেলা ও মহানগর কর্র্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কর্মী সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, দেশে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল রাজনৈতিক দলের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের আগে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আগামী ২৫ এপ্রিল ময়মনসিংহে আসছেন। ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে দলীয় প্রধানের জনসভা সফল করতে প্রচার প্রচারনা চলছে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই সভায় দাওয়াত দেয়া হবে। তিনি বলেন, অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া দরকার। সংস্কারের মধ্যে রয়েছে, সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ। যে অনুচ্ছেদের কারণে বারবার স্বৈরশাসনের আবির্ভাব ঘটেছে এবং স্বৈরশাসক তৈরী হচ্ছে। দেশ তার কাঙ্খিত মানে চলতে পারছে না। এই অপরিহার্য কতগুলো সাংবিধানিক অনুচ্ছেদের সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত; নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশন গত ৫৪ বছরে দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারেনি। কেয়ার টেকার সরকার হলে একরকম আর দলীয় সরকার হলে আরেক রকম। এটা কোনো দেশের আইন হতে পারে না কোন সিস্টেম হতে পারে না। এই দেশ এদেশের জনগণের, জনগণ ভোট দিবে এজন্য সুনির্দিষ্ট সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনের পেছনে যে ভুত লেগে আছে, সে ভুত মুক্ত নির্বাচন কমিশন আমাদের গঠন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেলক হক আকন্দ, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, আসাদুজ্জামান সোহেল, মহানগর জামায়াতে আমীর কামরুল আহসান এমরুল ও সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারসহ জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




















