ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গত ১৫ বছর গণমাধ্যম নিচু পর্যায়ে তাঁবেদারি করেছে: প্রেস সচিব

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম জনগণকে ফেইল করেছে। তারা জনগণের কথা বলেনি। অনেক ক্ষেত্রে যা করেছে, সেটা হলো তাবেদারি। এমনই নিচু পর্যায়ে তাঁবেদারি হয়েছে যে, এখন কেউ কেউ বলছেন এদের অনেকের হাতে রক্ত লেগে আছে।

রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ-গণমাধ্যম প্রসঙ্গ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের দিকে দুই জন সাংবাদিদের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়েছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যায় তাদের ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ ছিল। ওই সাংবাদিকদের যদি বিচার হয়, তাহলে গত ১৫ বছরে যে সমস্ত সাংবাদিক ভায়োলেন্স, সরকারের বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড ও গুমকে লেজিটিমাইজড করেছে তাদের কেন বিচার হবে না।

প্রেস সচিব বলেন, মিডিয়া কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে এমন একটা মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি চাই যেখানে কোনো ধরনের কৌআশন, ভয়-ভীতি, অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ চাপ, লিগ্যাল রিপ্রেসিভ ল দ্বারা আক্রান্ত ছাড়া মিডিয়া যাতে তার মতো করে দাঁড়াতে পারে।

সিজিএসের চেয়ারপারসন মুনিরা খানের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম শামীম রেজা, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, পারভীন এফ চৌধুরী, জায়মা ইসলাম, ডিজিটাল রাইট বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, এএফপির ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দীন শিশির ও নাগরিক কমিটির সদস্য তুহিন খান প্রমুখ। সংলাপ সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গত ১৫ বছর গণমাধ্যম নিচু পর্যায়ে তাঁবেদারি করেছে: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ০৪:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম জনগণকে ফেইল করেছে। তারা জনগণের কথা বলেনি। অনেক ক্ষেত্রে যা করেছে, সেটা হলো তাবেদারি। এমনই নিচু পর্যায়ে তাঁবেদারি হয়েছে যে, এখন কেউ কেউ বলছেন এদের অনেকের হাতে রক্ত লেগে আছে।

রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ-গণমাধ্যম প্রসঙ্গ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের দিকে দুই জন সাংবাদিদের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়েছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যায় তাদের ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ ছিল। ওই সাংবাদিকদের যদি বিচার হয়, তাহলে গত ১৫ বছরে যে সমস্ত সাংবাদিক ভায়োলেন্স, সরকারের বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড ও গুমকে লেজিটিমাইজড করেছে তাদের কেন বিচার হবে না।

প্রেস সচিব বলেন, মিডিয়া কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে এমন একটা মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি চাই যেখানে কোনো ধরনের কৌআশন, ভয়-ভীতি, অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ চাপ, লিগ্যাল রিপ্রেসিভ ল দ্বারা আক্রান্ত ছাড়া মিডিয়া যাতে তার মতো করে দাঁড়াতে পারে।

সিজিএসের চেয়ারপারসন মুনিরা খানের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম শামীম রেজা, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, পারভীন এফ চৌধুরী, জায়মা ইসলাম, ডিজিটাল রাইট বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, এএফপির ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দীন শিশির ও নাগরিক কমিটির সদস্য তুহিন খান প্রমুখ। সংলাপ সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।