ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যাত্রীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বিমান কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব নাকচ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বেগম খালেদা জিয়া Logo মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী আহত Logo শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস Logo আধুনিক বিমান বাহিনী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলিথিনের দৌরাত্ম্যও পাটের ব্যাগে অনীহা Logo লাইসেন্স পাওয়ার পথে স্টারলিংক Logo বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা… Logo অতিষ্ঠ কারা কর্তৃপক্ষ Logo ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া আসছেন জোবাইদা শার্মিলা ও নাতনিরা

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় আজ রোববার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে (৯টা ১৫ জিএমটি) বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ কথা নিশ্চিত করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল–আনসারি আজ এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার তথ্য জানান।

মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর আজ ইসরায়েলের কাছে তিন জিম্মিকে তুলে দেওয়া হবে। তাঁরা তিনজনই ইসরায়েলি নাগরিক।’

তিন জিম্মির নাম প্রকাশ করেছেন হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল–কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। তিনি বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা আজ তিনজনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁরা হলেন রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও দোরোন স্টেইনব্রিচার (৩১)।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আজ সকালে তিন ঘণ্টা বিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয়।

গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়। এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে।

চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর তা কার্যকর হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ।

এমটি/ এএএ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

আপডেট সময় : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় আজ রোববার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে (৯টা ১৫ জিএমটি) বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ কথা নিশ্চিত করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল–আনসারি আজ এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার তথ্য জানান।

মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর আজ ইসরায়েলের কাছে তিন জিম্মিকে তুলে দেওয়া হবে। তাঁরা তিনজনই ইসরায়েলি নাগরিক।’

তিন জিম্মির নাম প্রকাশ করেছেন হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল–কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। তিনি বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা আজ তিনজনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁরা হলেন রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও দোরোন স্টেইনব্রিচার (৩১)।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আজ সকালে তিন ঘণ্টা বিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয়।

গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়। এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে।

চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর তা কার্যকর হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ।

এমটি/ এএএ