ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজীপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আটক ২

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন নামা বাজার তুরাগ নদীর পারে স্থাপিত একটি মন্ডপে নতুন নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করেছে কাশিমপুর পুলিশ।
প্রতিমা তৈরির কাজ দেখতে গেলে কারিগররা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল, এই ক্ষোভ থেকে প্রতিমা ভেঙ্গেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আটক কিশোররা হলো, রাকিব হাসান পাটোয়ারী রাকিব (১৩)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন রবিদাস পাড়া এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। অপরজন, একই এলাকার শাহাজালালের ছেলে মোঃ নাজমুল ইসলাম (১৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান। তদন্তকালে তাদের উভয়ের সম্পৃক্তা পাওয়ায় গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রথমে রাকিবকে ও আজ ভোরে নাজমুলকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ডপের কয়েকটি আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পায় পূজা কমিটির সদস্যরা।
পূজার আয়োজক অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বাপ্পা জানান, বুধবার বিকাল ৪ টা থেকে ৬টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা প্রতিমা ভাংচুর করে।
প্রতিমা ভাঙ্গার খবর পেয়ে জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন ও জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান ঘটনাটি নিবিরভাবে তদারক করেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও জিএমপির পক্ষ থেকে পুজা উদযাপনে আয়োজকদের সব রকম সহযোগিতা প্রদান করা হয় এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান ঘটনার পর পর বলেছিলেন, ঘটনাটি নিবিরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিমা ভাংচুরের জন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
পরে এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে কাশিমপুর থানা পুলিশ দুই কিশোরকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছেন।
আটকের পর রাকিব জানায়, সে এবং জনৈক নাজমুল প্রতিমা তৈরীর কাজ দেখতে গেলে প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং চলে যেতে বলে। কারিগরদের ব্যাবহারে রাকিব এবং নাজমুল ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রতিমা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান জানান, আটককৃতরা যেহেতু অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাই বিষয়টি আরো গভীরভাবে পর্যালোচনা করার পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি মহানগরীর সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সার্বজনীন শারদীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও আনন্দ মূখর পরিবেশে উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজীপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আটক ২

আপডেট সময় :

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন নামা বাজার তুরাগ নদীর পারে স্থাপিত একটি মন্ডপে নতুন নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করেছে কাশিমপুর পুলিশ।
প্রতিমা তৈরির কাজ দেখতে গেলে কারিগররা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল, এই ক্ষোভ থেকে প্রতিমা ভেঙ্গেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আটক কিশোররা হলো, রাকিব হাসান পাটোয়ারী রাকিব (১৩)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন রবিদাস পাড়া এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। অপরজন, একই এলাকার শাহাজালালের ছেলে মোঃ নাজমুল ইসলাম (১৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান। তদন্তকালে তাদের উভয়ের সম্পৃক্তা পাওয়ায় গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রথমে রাকিবকে ও আজ ভোরে নাজমুলকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ডপের কয়েকটি আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পায় পূজা কমিটির সদস্যরা।
পূজার আয়োজক অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বাপ্পা জানান, বুধবার বিকাল ৪ টা থেকে ৬টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা প্রতিমা ভাংচুর করে।
প্রতিমা ভাঙ্গার খবর পেয়ে জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন ও জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান ঘটনাটি নিবিরভাবে তদারক করেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও জিএমপির পক্ষ থেকে পুজা উদযাপনে আয়োজকদের সব রকম সহযোগিতা প্রদান করা হয় এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান ঘটনার পর পর বলেছিলেন, ঘটনাটি নিবিরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিমা ভাংচুরের জন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
পরে এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে কাশিমপুর থানা পুলিশ দুই কিশোরকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছেন।
আটকের পর রাকিব জানায়, সে এবং জনৈক নাজমুল প্রতিমা তৈরীর কাজ দেখতে গেলে প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং চলে যেতে বলে। কারিগরদের ব্যাবহারে রাকিব এবং নাজমুল ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রতিমা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো: জাহিদুল হাসান জানান, আটককৃতরা যেহেতু অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাই বিষয়টি আরো গভীরভাবে পর্যালোচনা করার পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি মহানগরীর সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সার্বজনীন শারদীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও আনন্দ মূখর পরিবেশে উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।