ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাজিরার বিলাশপুরে ককটেল দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ Logo অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসায় এগিয়ে এলো কোস্টগার্ড  Logo বাগেরহাটের মোড়েলগন্ঞ্জে বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ  Logo প্রশংসায় ভাসছে শ্রীপুরের ইউএনও ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ Logo দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করতে হবে : রাশেদ খাঁন Logo মানিকগঞ্জে অবৈধ  লেগুনার কবলে প্রাইভেট কার লন্ডভন্ড Logo সিলেটে লন্ডন প্রবাসী তয়ফুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ Logo মুক্তাগাছায় শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo নরসিংদীতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন Logo ইসলামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল 

গেল বছর ঢাকায় রোগী ৪২ হাজার কম ছিল: তাপস

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ৩২৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গেল বছর ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল। বুধবার (১৫ মে) মালিবাগ মোড়ে উড়াল সেতুর নিচে গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে এতথ্য জানান।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বিগত ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছিল। গতবছর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্পন্ন কীটনাশক মজুদ ও কাউন্সিলরবৃন্দের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।

রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। সফলতার সাথে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করার কারণেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার। এ বছরও সকলের সহযোগিতায় ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে জানিয়ে, মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করব। ইতোমধ্যে তাদেরকে পত্র দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারী স্থাপনা ও আবাসনে চিরুনি অভিযান করা হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে সেগুলো আমরা একবার পরিচ্ছন্ন করব এবং যে সকল স্থাপনায় লার্ভা পাওয়া যাবে সেগুলো নিধন করব। পরবর্তীতে সেসব স্থাপনা ও আবাসনে যাতে এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর নির্ভুল তথ্য দেওয়ার আহবান জানিয়ে তাপস বলেন, এক মাস আগে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আমরা বলেছি যে, আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগীর যে তথ্য দেওয়া হয় তা পরিপূর্ণ সঠিক নয়, অসম্পূর্ণ। ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রোগীদের তথ্য পেতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়।

ঢাকার বাইরে থেকে যে রোগী আসে তাদের অধিকাংশ বেশিরভাগই রেফারেল হয়ে আসে পৃথক করা কঠিন কোন কাজ নয়। তাদেরকে পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করলে ঢাকার প্রকৃত রোগী সনাক্ত করা সহজ হয়। যদি রোগীর হয় ১০ জন, আর আমাদেরকে (ঢাকার বাইরের রোগীসহ) ১০০টা ঠিকানা দেওয়া হয়, তাহলে বাকী ৯০টা ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের সময়ক্ষেপণ হয়।

যদি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয় তাহলে আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে (এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের) কাজটা করা কষ্টসাধ্য হয়। সঠিক তথ্য দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করতে পারি। ঢাকাবাসীকে আমরা আরও বেশি ফলপ্রসূ সেবা দিতে পারব।

এর আগে তাপস ১২ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত পাইপ নর্দমা পরিষ্কার কাজের উদ্বোধন করেন।

পরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দক্ষিণ কমলাপুর কালভার্ট সংলগ্ন ৮ নং ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে দু’জনই গণশৌচাগারের পাশে ২টি কদম ফুলের চারা রোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-২ এর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খ ম মামুন রশিদ শুভ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত আসনের ফারহানা ইসলাম ডলি ও মিনু রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গেল বছর ঢাকায় রোগী ৪২ হাজার কম ছিল: তাপস

আপডেট সময় : ০২:২৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গেল বছর ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল। বুধবার (১৫ মে) মালিবাগ মোড়ে উড়াল সেতুর নিচে গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে এতথ্য জানান।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বিগত ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছিল। গতবছর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্পন্ন কীটনাশক মজুদ ও কাউন্সিলরবৃন্দের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।

রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। সফলতার সাথে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করার কারণেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার। এ বছরও সকলের সহযোগিতায় ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে জানিয়ে, মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করব। ইতোমধ্যে তাদেরকে পত্র দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারী স্থাপনা ও আবাসনে চিরুনি অভিযান করা হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে সেগুলো আমরা একবার পরিচ্ছন্ন করব এবং যে সকল স্থাপনায় লার্ভা পাওয়া যাবে সেগুলো নিধন করব। পরবর্তীতে সেসব স্থাপনা ও আবাসনে যাতে এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর নির্ভুল তথ্য দেওয়ার আহবান জানিয়ে তাপস বলেন, এক মাস আগে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আমরা বলেছি যে, আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগীর যে তথ্য দেওয়া হয় তা পরিপূর্ণ সঠিক নয়, অসম্পূর্ণ। ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রোগীদের তথ্য পেতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়।

ঢাকার বাইরে থেকে যে রোগী আসে তাদের অধিকাংশ বেশিরভাগই রেফারেল হয়ে আসে পৃথক করা কঠিন কোন কাজ নয়। তাদেরকে পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করলে ঢাকার প্রকৃত রোগী সনাক্ত করা সহজ হয়। যদি রোগীর হয় ১০ জন, আর আমাদেরকে (ঢাকার বাইরের রোগীসহ) ১০০টা ঠিকানা দেওয়া হয়, তাহলে বাকী ৯০টা ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের সময়ক্ষেপণ হয়।

যদি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয় তাহলে আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে (এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের) কাজটা করা কষ্টসাধ্য হয়। সঠিক তথ্য দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করতে পারি। ঢাকাবাসীকে আমরা আরও বেশি ফলপ্রসূ সেবা দিতে পারব।

এর আগে তাপস ১২ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত পাইপ নর্দমা পরিষ্কার কাজের উদ্বোধন করেন।

পরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দক্ষিণ কমলাপুর কালভার্ট সংলগ্ন ৮ নং ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে দু’জনই গণশৌচাগারের পাশে ২টি কদম ফুলের চারা রোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-২ এর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খ ম মামুন রশিদ শুভ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত আসনের ফারহানা ইসলাম ডলি ও মিনু রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।