ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গোলাপগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক শিশু (১১) সন্ধার সময় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনৈক্য ব্যক্তির ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২ জনকে আসামি করে মামলা নম্বর ৪ দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর দেখা দিয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক সেলিম মিয়াকে (৪৫) গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধায় উপজেলার গোয়াসপুর-রুইগড় এলাকার রানাপিং শাহী ঈদগাহ এর পাশে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সেলিম মিয়া উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুইগড় (হাজারীবাড়ী) গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে ও মামলার অপর আসামি একই থানার দখারপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে এহসান আহমদ।
মামলার বিবরণে ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার থেকে চা পাতা ও দুধ ক্রয় করার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুকে বাজারে পাঠান। শিশুটি বাজার থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে এলাকার পাশ্ববর্তী রানাপিং বাজারের শাহী ঈদগাহের পাশে রাস্তার উপর শিশুর পরনের জুতা ও চা-পাতা এবং দুধ খুঁজে পান। এতে করে শিশুটির পরিবারের লোকজনের সন্দেহ দেখা দেয়। তাকে আত্মীয় স্বজন, আশেপাশের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই রাত অর্থাৎ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুমান ৩ঘটিকার দিকে শিশুটিকে বসত বাড়ির গেইটের ভিতরে পরণের পায়জামায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে শিশুটির জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকদের জানায় সে বাজার থেকে দুধ ও চা পাতা ক্রয় করে বাড়িতে ফেরার সময় গোয়াসপুর-রুইগড় রানাপিং শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা থেকে এহসান আহমদ ও সেলিম মিয়া তার মুখ চেপে ধরে লাইটেস গাড়িতে তুলে নিয়ে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন জনৈক্য ব্যক্তির বসত ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এহসান আহমদের সহযোগিতায় সেলিম মিয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষক সেলিম মিয়া ও তার সহযোগি এহসান আহমদসহ দুই জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/(৯)/৩০ ধারায় মামলা নম্বর ৪ দায়ের করেছেন। তারিখ-০৯-০৯-২০২৫ই। উক্ত ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শিশু ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোলাপগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার

আপডেট সময় :

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক শিশু (১১) সন্ধার সময় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনৈক্য ব্যক্তির ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২ জনকে আসামি করে মামলা নম্বর ৪ দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর দেখা দিয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক সেলিম মিয়াকে (৪৫) গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধায় উপজেলার গোয়াসপুর-রুইগড় এলাকার রানাপিং শাহী ঈদগাহ এর পাশে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সেলিম মিয়া উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুইগড় (হাজারীবাড়ী) গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে ও মামলার অপর আসামি একই থানার দখারপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে এহসান আহমদ।
মামলার বিবরণে ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার থেকে চা পাতা ও দুধ ক্রয় করার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুকে বাজারে পাঠান। শিশুটি বাজার থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে এলাকার পাশ্ববর্তী রানাপিং বাজারের শাহী ঈদগাহের পাশে রাস্তার উপর শিশুর পরনের জুতা ও চা-পাতা এবং দুধ খুঁজে পান। এতে করে শিশুটির পরিবারের লোকজনের সন্দেহ দেখা দেয়। তাকে আত্মীয় স্বজন, আশেপাশের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই রাত অর্থাৎ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুমান ৩ঘটিকার দিকে শিশুটিকে বসত বাড়ির গেইটের ভিতরে পরণের পায়জামায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে শিশুটির জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকদের জানায় সে বাজার থেকে দুধ ও চা পাতা ক্রয় করে বাড়িতে ফেরার সময় গোয়াসপুর-রুইগড় রানাপিং শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা থেকে এহসান আহমদ ও সেলিম মিয়া তার মুখ চেপে ধরে লাইটেস গাড়িতে তুলে নিয়ে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন জনৈক্য ব্যক্তির বসত ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এহসান আহমদের সহযোগিতায় সেলিম মিয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষক সেলিম মিয়া ও তার সহযোগি এহসান আহমদসহ দুই জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/(৯)/৩০ ধারায় মামলা নম্বর ৪ দায়ের করেছেন। তারিখ-০৯-০৯-২০২৫ই। উক্ত ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শিশু ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।