ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্যাসসংকটে ৭ মাস যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতিও মরিচা ধরে অকেজো হওয়ার পথে

গ্যাসসংকটের কারণে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সার কারখানা জামালপুরের তারাকান্দি যমুনা সার কারখানাটি। বন্ধ রয়েছে ইউরিয়া সার উৎপাদন। তাতে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

কারখানা বন্ধ থাকায় সামনে রোপা-আমন মৌসুমে যমুনার সারনির্ভর এই এলাকার ১৬টি জেলায় সারসংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছিল।

কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন১নেমে আসে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনে। যমুনা সার কারখানায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার পথে। দ্রুত গ্যাসসংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানা সচল করতে না পারলে পুরোপুরি অকেজো হওয়ার আশঙ্কা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার রয়েছে। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটের আশঙ্কায় সার ব্যবসায়ীরা।

এলাকার কৃষকরা জানান, যমুনার সার জমিতে ব্যবহারে ফসল বৃদ্ধি পায়। গাছও সতেজ হয়। বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসল ভালো হয় না। জমির উর্বরতা কমে যায়। এভাবে দীর্ঘদিন যমুনা সার কারখানা বন্ধ থাকলে পূর্বপুরুষের ব্যবহার করা এই সারসংকটে উৎপাদন ব্যাহতের কথাও জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গ্যাসসংকটে ৭ মাস যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

আপডেট সময় : ১২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

 

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতিও মরিচা ধরে অকেজো হওয়ার পথে

গ্যাসসংকটের কারণে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সার কারখানা জামালপুরের তারাকান্দি যমুনা সার কারখানাটি। বন্ধ রয়েছে ইউরিয়া সার উৎপাদন। তাতে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

কারখানা বন্ধ থাকায় সামনে রোপা-আমন মৌসুমে যমুনার সারনির্ভর এই এলাকার ১৬টি জেলায় সারসংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছিল।

কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন১নেমে আসে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনে। যমুনা সার কারখানায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার পথে। দ্রুত গ্যাসসংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানা সচল করতে না পারলে পুরোপুরি অকেজো হওয়ার আশঙ্কা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার রয়েছে। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটের আশঙ্কায় সার ব্যবসায়ীরা।

এলাকার কৃষকরা জানান, যমুনার সার জমিতে ব্যবহারে ফসল বৃদ্ধি পায়। গাছও সতেজ হয়। বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসল ভালো হয় না। জমির উর্বরতা কমে যায়। এভাবে দীর্ঘদিন যমুনা সার কারখানা বন্ধ থাকলে পূর্বপুরুষের ব্যবহার করা এই সারসংকটে উৎপাদন ব্যাহতের কথাও জানান তারা।