ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আইন লঙ্ঘন করে বালুমহাল

ঘিওরের পয়লা ইউনিয়ন নদী গর্ভে

ছাবিনা দিলরুবা, মানিকগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নারচী,শুলাকরিয়া,শ্রীধরনগর,বাসুদেববাড়ী সহ ১০-১২ টি গ্রামের বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিকটেই বালুমহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।যার ফলে পয়লা ইউনিয়নের এইসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে। স্থানীয়দের লিখিত আপত্তি সত্ত্বেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীধরনগর বালুমহালটির চারপাশে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। মাত্র ৪০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে একটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ৬০০ মিটার দূরেই রয়েছে একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। আইন অনুযায়ী এ ধরনের এলাকায় বালুমহাল স্থাপন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
২০১০ সালের ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন’-এর ৬২ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মহাসড়ক, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ বা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ এসব নিয়মকে উপেক্ষা করে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা ভুটোন বলেন, “প্রতিবছর বালু তোলার ফলে নদী ভাঙন বাড়ছে। ফসলি জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলে তীর রক্ষা করলেও এবার আবার ইজারা দেওয়ায় এলাকা চরম হুমকিতে পড়বে। আমাদের ক্ষতি হলে এর দায় কে নেবে?”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে নির্ধারিত স্থানে নিয়ম মেনেই বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বালু উত্তোলনে নিয়ম অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইন লঙ্ঘন করে বালুমহাল

ঘিওরের পয়লা ইউনিয়ন নদী গর্ভে

আপডেট সময় :

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নারচী,শুলাকরিয়া,শ্রীধরনগর,বাসুদেববাড়ী সহ ১০-১২ টি গ্রামের বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিকটেই বালুমহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।যার ফলে পয়লা ইউনিয়নের এইসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে। স্থানীয়দের লিখিত আপত্তি সত্ত্বেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীধরনগর বালুমহালটির চারপাশে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। মাত্র ৪০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে একটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ৬০০ মিটার দূরেই রয়েছে একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। আইন অনুযায়ী এ ধরনের এলাকায় বালুমহাল স্থাপন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
২০১০ সালের ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন’-এর ৬২ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মহাসড়ক, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ বা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ এসব নিয়মকে উপেক্ষা করে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা ভুটোন বলেন, “প্রতিবছর বালু তোলার ফলে নদী ভাঙন বাড়ছে। ফসলি জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলে তীর রক্ষা করলেও এবার আবার ইজারা দেওয়ায় এলাকা চরম হুমকিতে পড়বে। আমাদের ক্ষতি হলে এর দায় কে নেবে?”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে নির্ধারিত স্থানে নিয়ম মেনেই বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বালু উত্তোলনে নিয়ম অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”