ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা Logo ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৫১৪ বার পড়া হয়েছে

মো. মহিববুর রহমান

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ বাড়িঘর। জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে কিস্তৃর্ণ অঞ্চল।

সোমবার (২৭ মে) অপরাহ্নে ঘূর্ণিঝড় রেমেলে ক্ষযক্ষতি এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

ঘুর্ণিঝড় রেমেল এখন গভীর স্থল নিম্ন চাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঢাকায় সোমবার ভোররাত থেকে বিকাল পর্যন্ত ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিাপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর দেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি।

 

মো. মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছেন। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় :

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ বাড়িঘর। জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে কিস্তৃর্ণ অঞ্চল।

সোমবার (২৭ মে) অপরাহ্নে ঘূর্ণিঝড় রেমেলে ক্ষযক্ষতি এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

ঘুর্ণিঝড় রেমেল এখন গভীর স্থল নিম্ন চাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঢাকায় সোমবার ভোররাত থেকে বিকাল পর্যন্ত ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিাপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর দেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি।

 

মো. মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছেন। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।