ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
- আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ বাড়িঘর। জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে কিস্তৃর্ণ অঞ্চল।
সোমবার (২৭ মে) অপরাহ্নে ঘূর্ণিঝড় রেমেলে ক্ষযক্ষতি এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
ঘুর্ণিঝড় রেমেল এখন গভীর স্থল নিম্ন চাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঢাকায় সোমবার ভোররাত থেকে বিকাল পর্যন্ত ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিাপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর দেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি।
মো. মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছেন। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।