ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট Logo ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার Logo সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর বিধবা স্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo তিতাসে মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা  Logo গোয়াল ঘরে দূর্বত্তরদের আগুন, ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ Logo ত্রিশালে মাদ্রাসার খেলার মাঠ দখল করে সবজি চাষ  Logo ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা Logo ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ৭ নারী-পুরুষ

চট্টগ্রাম আদালতে থেকে ২ হাজার মামলার নথি গায়েব!

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

চট্টগ্রাম আদালত থেকে হত্যা, চোরাচালান, বিস্ফোরণ, মাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি (কেস ডকেট বা সিডি) গায়েব!

এই ঘটনায় রোববার কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, এসব মামলার নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাস-কামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে আদালত ভবন।

সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। আদালত থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা।

জিডিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো গায়েব হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি।

মহানগর পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া জানান, ১ হাজার ৯১১টি মামলার সিডি কে বা কারা নিয়ে গেছে। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে এসব নথি বারান্দায় রাখা হয়েছিল।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি হারানোর ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি’র তদন্ত শুরু হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম আদালতে থেকে ২ হাজার মামলার নথি গায়েব!

আপডেট সময় : ১১:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

 

চট্টগ্রাম আদালত থেকে হত্যা, চোরাচালান, বিস্ফোরণ, মাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি (কেস ডকেট বা সিডি) গায়েব!

এই ঘটনায় রোববার কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, এসব মামলার নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাস-কামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে আদালত ভবন।

সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। আদালত থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা।

জিডিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো গায়েব হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি।

মহানগর পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া জানান, ১ হাজার ৯১১টি মামলার সিডি কে বা কারা নিয়ে গেছে। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে এসব নথি বারান্দায় রাখা হয়েছিল।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি হারানোর ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি’র তদন্ত শুরু হয়েছে।