ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কার্গো জাহাজ থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চাঁদপুরে মেঘনার আলুর বাজার এলাকায় একটি কার্গো জাহাজ থেকে  ৭জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো জাহাজটি গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার ঘাট থেকে সার বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে জাহাজটি যথাসময়ে ঢাকায় পৌঁছায়নি।

কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে তাদের কারোরই পরিচয় জানা যায়নি।

নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সোমবার বলেন, পণ্যবাহী নৌ যানটিতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সন্দেহ করছেন, শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

নৌ পুলিশ আরও জানায়, নৌযানটি চাঁদপুর সদর থানাধীন মেঘনা নদীতে নোঙর অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল। নিহতেরা নৌযানটির চালক ও অন্যান্য কর্মী হতে পারেন।

পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাঁরা আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে নৌযানটির কাছে যান।

সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে পাঁচজনের মরদেহ পান। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটজন মানুষই নৌযানটিতে ছিল। নৌ যানটির নাম এম ভি আল-বাকেরা। এর মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কার্গো জাহাজ থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

চাঁদপুরে মেঘনার আলুর বাজার এলাকায় একটি কার্গো জাহাজ থেকে  ৭জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো জাহাজটি গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার ঘাট থেকে সার বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে জাহাজটি যথাসময়ে ঢাকায় পৌঁছায়নি।

কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে তাদের কারোরই পরিচয় জানা যায়নি।

নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সোমবার বলেন, পণ্যবাহী নৌ যানটিতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সন্দেহ করছেন, শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

নৌ পুলিশ আরও জানায়, নৌযানটি চাঁদপুর সদর থানাধীন মেঘনা নদীতে নোঙর অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল। নিহতেরা নৌযানটির চালক ও অন্যান্য কর্মী হতে পারেন।

পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাঁরা আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে নৌযানটির কাছে যান।

সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে পাঁচজনের মরদেহ পান। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটজন মানুষই নৌযানটিতে ছিল। নৌ যানটির নাম এম ভি আল-বাকেরা। এর মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।