ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অনেক লেভেলে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায় বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রথম কাজে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

দুধ, ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা প্রসঙ্গে বলেন, করতে হবে। পারবো কি না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। যেমন একটি জায়গায় শুনেছি যে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায়।

সরবরাহের ক্ষেত্রে যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়, যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই মিলে করতে হবে।

খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করবো কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে সেদিকে মনোযোগ দেবো। এখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের জীবন-জীবিকা, পুষ্টির জোগান, আমিষের ঘাটতি পূরণের অনেক সুযোগ হবে।

অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো। কিন্তু প্রথম কাজ হলো একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে সেখানে যাবো। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো।

তিনি বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা। খাদ্য ও সরবরারের জোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়। মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি।

আমি খোঁজ-খবর নেবো তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেবো। সহিংসতায় যেসব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভাঙচুর করা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।

এর আগে তিনি সকালে সচিবালয়ে আসেন। নিজ দপ্তরে পৌঁছালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় :

 

অনেক লেভেলে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায় বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রথম কাজে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

দুধ, ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা প্রসঙ্গে বলেন, করতে হবে। পারবো কি না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। যেমন একটি জায়গায় শুনেছি যে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায়।

সরবরাহের ক্ষেত্রে যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়, যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই মিলে করতে হবে।

খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করবো কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে সেদিকে মনোযোগ দেবো। এখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের জীবন-জীবিকা, পুষ্টির জোগান, আমিষের ঘাটতি পূরণের অনেক সুযোগ হবে।

অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো। কিন্তু প্রথম কাজ হলো একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে সেখানে যাবো। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো।

তিনি বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা। খাদ্য ও সরবরারের জোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়। মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি।

আমি খোঁজ-খবর নেবো তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেবো। সহিংসতায় যেসব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভাঙচুর করা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।

এর আগে তিনি সকালে সচিবালয়ে আসেন। নিজ দপ্তরে পৌঁছালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।