ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারক পলাতক

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী প্রতারকচক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে, পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামদেব (বেপারীপাড়া) গ্রামে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ত্রিপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (৩৫) নামের এক মহিলা নিজেকে “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ লোক” পরিচয় দিয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ‘অফিস সহকারী’ চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। তার কথায় বিশ্বাস করে স্বাধীন মিয়া (২৭) নামের এক যুবক তার পরিবারের সঞ্চিত অর্থসহ মোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন প্রতারক মৌসুম আক্তারের হাতে ও তার দেয়া বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি হয়নি। বরং টাকা নেওয়ার পর প্রতারক মৌসুমী বেগম ও তার স্বামী সোহেল মিয়া মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী স্বাধীন মিয়া বলেন, “চাকরির আশায় যা ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। আমার টাকা নিয়ে তিনি এখন ঢাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছে, এদিকে আমি এখন নিঃস্ব। বেশ কয়েক বার তার গ্রামের বাড়ীতে গেলে তাকে খুঁজে পাইনি। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়েছিল, টাকা ফেরত চাইলেও তিনি তা না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে, এখন পর্যন্ত টাকা দেওয়ার কোন নামেই নাই। আমি এই প্রতারকের কঠিন শাস্তি চাই।”
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতারণা করছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে আরও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে মৌসুমি বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, “এভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার শিকার করা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনের দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারক পলাতক

আপডেট সময় :

সরকারী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী প্রতারকচক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে, পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামদেব (বেপারীপাড়া) গ্রামে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ত্রিপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (৩৫) নামের এক মহিলা নিজেকে “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ লোক” পরিচয় দিয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ‘অফিস সহকারী’ চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। তার কথায় বিশ্বাস করে স্বাধীন মিয়া (২৭) নামের এক যুবক তার পরিবারের সঞ্চিত অর্থসহ মোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন প্রতারক মৌসুম আক্তারের হাতে ও তার দেয়া বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি হয়নি। বরং টাকা নেওয়ার পর প্রতারক মৌসুমী বেগম ও তার স্বামী সোহেল মিয়া মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী স্বাধীন মিয়া বলেন, “চাকরির আশায় যা ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। আমার টাকা নিয়ে তিনি এখন ঢাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছে, এদিকে আমি এখন নিঃস্ব। বেশ কয়েক বার তার গ্রামের বাড়ীতে গেলে তাকে খুঁজে পাইনি। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়েছিল, টাকা ফেরত চাইলেও তিনি তা না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে, এখন পর্যন্ত টাকা দেওয়ার কোন নামেই নাই। আমি এই প্রতারকের কঠিন শাস্তি চাই।”
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতারণা করছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে আরও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে মৌসুমি বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, “এভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার শিকার করা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনের দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”