ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের উদ্যোগে ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ঠাকুরগাঁও ডিসির মানবিক উদ্যোগে আশ্রয় ও সহায়তা পেলেন অসহায় আনিছুর Logo তারাকান্দা ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও সোহাগ হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ২ Logo চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল Logo ফ্যাসিস্ট এর দোসর হয়েও দৌরাত্ম এখনো বহাল Logo কমলনগরে ৪০ বছরেও হয়নি পাকা রাস্তা, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে লোহাগাড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি Logo ইসলামপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও বিদায়ী শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা Logo সভাপতি লাবনী সাধারণ সম্পাদক সাকিব

জয়পুরহাটের বিএনপি এর সমাবেশে হুসিয়ারি বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না!

মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই-আগষ্ট নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিএনপি গত ১৫/১৬ বছর যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তা অতীতের সকল নির্যাতনকে হার মানিয়েছে। যারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের কোন লাভ হবেনা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা এবং ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ হারুন।

প্রধান অতিথি হারুন অর রশিদ হারুন আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে নতুন যুগের সুচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন তা আর বাংলার মাটিতে উদিত হবেনা। শেখ মুজিব তার শাসনামলে গুম, খুন, হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। তার কণ্যা শেখ হাসিনাও একই অবস্থা করে দেশ চালিয়েছিলেন। যে একক কর্তৃত্ব কায়েম করে দেশ চালাতে চায় আল্লাহতায়ালা তাকেই ধ্বংস করে দেয়। যারা ভাল কাজ করে আল্লাহপাক তাকে সন্মানিত করেন। আর যারা চক্রান্ত করে তাদের পরিনতি হয় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মত। যখন বাংলাদেশের ইথারে ভেসে আসে শেখ হাসিনা শশুরবাড়ি চলে গেছে তখন জনগন তার ও তার পিতার স্মৃতিচিহ্ন, মুর্তি, নামফলক গুড়িয়ে দিয়েছে। আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করে দেশেই ছিলেন তবুও দেশ ছেড়ে কোথাও যাননি।

প্রধান অতিথি জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের মিটিং, মিছিল, জনসভা করলে নেতা-কর্মীদের নিকট থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিলে তাকে বলা হয় চাঁদা। আর আপনারা সারাদেশের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদকা চাইলে তা চাঁদা হয়না। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিল তারা স্বাধীনতার ৫২ বছর আবার একই কাজ করছেন। জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। আপনাদের দৌড় কতদুর তা আমরা জানি।

প্রধান অতিথি অর্ন্তবতীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার উপদেষ্টা পরিষদে থেকে ছাত্রদেরকে নিয়ে নতুন দল করার চেষ্টা করছেন। সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে নতুন দল করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জনগন তা প্রতিহত করবে। শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ তারিখে আপনারা ক্ষমতা নিয়েছেন। দেশে পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে, প্রশাসন ভেঙ্গে গেছে তবুও বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্য্য ধরে আছে। আপনারা ক্ষমতা নেওয়ার পর ৬ মাস পরে আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন কেন। আয়নাঘরের সকল আলামত নষ্ট করার সুযোগ দিলেন কেন। অতীতের প্রহসনের ভোটের নেতৃত্ব দেওয়া ডিসি ও এসপিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনকি বিচারকদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী রমজানের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা করতে হবে নইলে রমজানের পর আবার আন্দোলন শুরু করা হবে। শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান মাঠে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেন।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ,এইচ,এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, ফয়সল আলীম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল ওহাব, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জল প্রধান-সহ বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটের বিএনপি এর সমাবেশে হুসিয়ারি বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না!

আপডেট সময় :

জুলাই-আগষ্ট নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিএনপি গত ১৫/১৬ বছর যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তা অতীতের সকল নির্যাতনকে হার মানিয়েছে। যারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের কোন লাভ হবেনা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা এবং ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ হারুন।

প্রধান অতিথি হারুন অর রশিদ হারুন আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে নতুন যুগের সুচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন তা আর বাংলার মাটিতে উদিত হবেনা। শেখ মুজিব তার শাসনামলে গুম, খুন, হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। তার কণ্যা শেখ হাসিনাও একই অবস্থা করে দেশ চালিয়েছিলেন। যে একক কর্তৃত্ব কায়েম করে দেশ চালাতে চায় আল্লাহতায়ালা তাকেই ধ্বংস করে দেয়। যারা ভাল কাজ করে আল্লাহপাক তাকে সন্মানিত করেন। আর যারা চক্রান্ত করে তাদের পরিনতি হয় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মত। যখন বাংলাদেশের ইথারে ভেসে আসে শেখ হাসিনা শশুরবাড়ি চলে গেছে তখন জনগন তার ও তার পিতার স্মৃতিচিহ্ন, মুর্তি, নামফলক গুড়িয়ে দিয়েছে। আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করে দেশেই ছিলেন তবুও দেশ ছেড়ে কোথাও যাননি।

প্রধান অতিথি জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের মিটিং, মিছিল, জনসভা করলে নেতা-কর্মীদের নিকট থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিলে তাকে বলা হয় চাঁদা। আর আপনারা সারাদেশের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদকা চাইলে তা চাঁদা হয়না। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিল তারা স্বাধীনতার ৫২ বছর আবার একই কাজ করছেন। জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। আপনাদের দৌড় কতদুর তা আমরা জানি।

প্রধান অতিথি অর্ন্তবতীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার উপদেষ্টা পরিষদে থেকে ছাত্রদেরকে নিয়ে নতুন দল করার চেষ্টা করছেন। সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে নতুন দল করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জনগন তা প্রতিহত করবে। শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ তারিখে আপনারা ক্ষমতা নিয়েছেন। দেশে পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে, প্রশাসন ভেঙ্গে গেছে তবুও বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্য্য ধরে আছে। আপনারা ক্ষমতা নেওয়ার পর ৬ মাস পরে আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন কেন। আয়নাঘরের সকল আলামত নষ্ট করার সুযোগ দিলেন কেন। অতীতের প্রহসনের ভোটের নেতৃত্ব দেওয়া ডিসি ও এসপিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনকি বিচারকদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী রমজানের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা করতে হবে নইলে রমজানের পর আবার আন্দোলন শুরু করা হবে। শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান মাঠে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেন।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ,এইচ,এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, ফয়সল আলীম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল ওহাব, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জল প্রধান-সহ বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ।