ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী Logo ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোবিন্দগঞ্জে অপহরনকৃত মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে কুটির শিল্পের নতুন দিগন্ত খায়রুল আনাম Logo সোনাগাজীতে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, অভিযোগে করেও মামলা হয় না Logo বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান Logo নোয়াখালী জজ কোর্টের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা Logo ‘বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময়’ Logo লাশ পোড়ানো অগ্নিসংযোগ ও জখম মামলায় আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ ১৮জন গ্রেপ্তার Logo ঝিনাইগাতীর ৯ গ্রামের ভাগ্যচিত্র বদলে দিতে পারে এক ব্রীজে

জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল

মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জয়পুরহাটের ৬১ চালকল চলতি আমন মৌসুমে চাল সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে নাই। এ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে সরকারি দরের চেয়ে বাজারদর ছিল বেশি। লোকসানের আশঙ্কায় অনেক চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হননি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হয় নাই।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রয়ারি আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এ অভিযান। এ মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৮৬ টন চাল ও ৪ হাজার ৮৩৯ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়। তবে ধান এসেছে ৩৫০ টন। জেলায় মোট ৩৬০টি নিবন্ধিত চালকলের মধ্যে ২১টি অটো চালকল রয়েছে। বাকি সব হাসকিং চালকল। সরকার আমন মৌসুমে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য ৩৩ টাকা কেজিতে ধান, ৪৭ টাকা কেজিতে চাল কেনার দর নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এই দরের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি ছিল। যে কারণে কৃষক শুরু থেকেই খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনাগ্রহী ছিলেন। নিবন্ধন রক্ষায় চালকলের মালিকরা নিশ্চিতলোকসান জেনেও গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন। আমন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় ৬১টি চালকল মালিক লোকসানের ভয়ে সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহেরচুক্তি করেননি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গত ১২ জানুয়ারির মধ্যে চাল সরবরাহে চুক্তির জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এসব চালকল মালিককে ১লা জানুয়ারি নোটিশ দেন। এর পরও তারা সাড়া দেননি।

চালকল ব্যবসায়ী আবু সাঈদ ফকির বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধান-চালের দাম অনেক বেশি। আমরা কিনতে না পারলে সরকারকে সরবরাহ করব কোথায় থেকে? এ বছর দিতে পারিনি, আগামীতে দেব। তাই বলে কি আমাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে? ‘তাই নয় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাটখুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, ‘গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার সরকারি গুদামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। তাই সব ধান বাজারেই বিক্রি করেছি।

জয়পুরহাট জেলা হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারীর মতে, লোকসান জেনেও সবাই ব্যবসা করতে চাইবে না। ৬১টি চালকলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমন মৌসুমে ৬১ জন চালকলের মালিক চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেন নাই। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এসব চালকলের নিবন্ধন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাদ্যশস্যের নিবন্ধন গত ২১ মার্চ বাতিল করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল

আপডেট সময় :

 

জয়পুরহাটের ৬১ চালকল চলতি আমন মৌসুমে চাল সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে নাই। এ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে সরকারি দরের চেয়ে বাজারদর ছিল বেশি। লোকসানের আশঙ্কায় অনেক চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হননি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হয় নাই।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রয়ারি আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এ অভিযান। এ মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৮৬ টন চাল ও ৪ হাজার ৮৩৯ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়। তবে ধান এসেছে ৩৫০ টন। জেলায় মোট ৩৬০টি নিবন্ধিত চালকলের মধ্যে ২১টি অটো চালকল রয়েছে। বাকি সব হাসকিং চালকল। সরকার আমন মৌসুমে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য ৩৩ টাকা কেজিতে ধান, ৪৭ টাকা কেজিতে চাল কেনার দর নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এই দরের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি ছিল। যে কারণে কৃষক শুরু থেকেই খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনাগ্রহী ছিলেন। নিবন্ধন রক্ষায় চালকলের মালিকরা নিশ্চিতলোকসান জেনেও গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন। আমন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় ৬১টি চালকল মালিক লোকসানের ভয়ে সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহেরচুক্তি করেননি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গত ১২ জানুয়ারির মধ্যে চাল সরবরাহে চুক্তির জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এসব চালকল মালিককে ১লা জানুয়ারি নোটিশ দেন। এর পরও তারা সাড়া দেননি।

চালকল ব্যবসায়ী আবু সাঈদ ফকির বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধান-চালের দাম অনেক বেশি। আমরা কিনতে না পারলে সরকারকে সরবরাহ করব কোথায় থেকে? এ বছর দিতে পারিনি, আগামীতে দেব। তাই বলে কি আমাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে? ‘তাই নয় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাটখুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, ‘গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার সরকারি গুদামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। তাই সব ধান বাজারেই বিক্রি করেছি।

জয়পুরহাট জেলা হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারীর মতে, লোকসান জেনেও সবাই ব্যবসা করতে চাইবে না। ৬১টি চালকলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমন মৌসুমে ৬১ জন চালকলের মালিক চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেন নাই। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এসব চালকলের নিবন্ধন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাদ্যশস্যের নিবন্ধন গত ২১ মার্চ বাতিল করা হয়েছে।