ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

জলঢাকায় সাবরেজিস্টারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, তিনি বললেন ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৪ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সাবরেজিস্টার বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
গত ২৭ অক্টোবর নীলফামারী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন স্থানীয় নাগরিক অভিযোগ করেন, ওই কর্মকর্তা ও তাঁর অফিসের কিছু কর্মচারী দলিলের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জাল খাজনা-খারিজ তৈরি এবং ঘুষ বাণিজ্যের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।
অভিযোগকারীদের একজন আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি দলিল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছি। তদন্ত হলে প্রমাণসহ সহযোগিতা করব।” তিনি আরও জানান, “১৯৭১ সালে ওই কর্মকর্তার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তবুও তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
অভিযোগকারীরা আরও দাবি করেন, পূর্ববর্তী কর্মস্থলগুলোতেও তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা বলেন, জলঢাকায় যোগদানের পরও একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৫ আগস্ট উপজেলার জিরোপয়েন্ট মোড়ে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান মোল্লা বলেন,
“সংবাদ সম্মেলনে আমার ও অফিস স্টাফদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ অভিযোগ করলে প্রশাসনের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তদন্তের আবেদন করতে পারেন। আমি সরকারি কর্মকর্তা, তাই নিজ উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
অফিসের নৈশপ্রহরী হামিদুর রহমান বলেন, “আমি মূলত রাতের দায়িত্ব পালন করি। দিনের বেলায় অফিসের প্রয়োজনে ব্যাংকে যাওয়া বা চিঠিপত্র আনা-নেওয়ার কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।”
পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্যামলী রানী রায় বলেন, “আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দলিল লেখক জানান, “অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা যাই হোক, তদন্ত হলে আমরা সত্য ঘটনা জানাবো।”
অভিযোগে জেলা রেজিস্ট্রার এস. এম. সোহেল রানা মিলনের নামও আসে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা জনগণের সেবক। বিধি অনুযায়ী দলিল নিবন্ধন করা হয়। অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বা মাসোহারা গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জলঢাকায় সাবরেজিস্টারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, তিনি বললেন ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’

আপডেট সময় :

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সাবরেজিস্টার বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
গত ২৭ অক্টোবর নীলফামারী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন স্থানীয় নাগরিক অভিযোগ করেন, ওই কর্মকর্তা ও তাঁর অফিসের কিছু কর্মচারী দলিলের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জাল খাজনা-খারিজ তৈরি এবং ঘুষ বাণিজ্যের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।
অভিযোগকারীদের একজন আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি দলিল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছি। তদন্ত হলে প্রমাণসহ সহযোগিতা করব।” তিনি আরও জানান, “১৯৭১ সালে ওই কর্মকর্তার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তবুও তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
অভিযোগকারীরা আরও দাবি করেন, পূর্ববর্তী কর্মস্থলগুলোতেও তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা বলেন, জলঢাকায় যোগদানের পরও একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৫ আগস্ট উপজেলার জিরোপয়েন্ট মোড়ে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান মোল্লা বলেন,
“সংবাদ সম্মেলনে আমার ও অফিস স্টাফদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ অভিযোগ করলে প্রশাসনের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তদন্তের আবেদন করতে পারেন। আমি সরকারি কর্মকর্তা, তাই নিজ উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
অফিসের নৈশপ্রহরী হামিদুর রহমান বলেন, “আমি মূলত রাতের দায়িত্ব পালন করি। দিনের বেলায় অফিসের প্রয়োজনে ব্যাংকে যাওয়া বা চিঠিপত্র আনা-নেওয়ার কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।”
পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্যামলী রানী রায় বলেন, “আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দলিল লেখক জানান, “অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা যাই হোক, তদন্ত হলে আমরা সত্য ঘটনা জানাবো।”
অভিযোগে জেলা রেজিস্ট্রার এস. এম. সোহেল রানা মিলনের নামও আসে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা জনগণের সেবক। বিধি অনুযায়ী দলিল নিবন্ধন করা হয়। অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বা মাসোহারা গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।”