ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইগাতীতে বৈধ বালুঘাট বন্ধ রাখায় ইজারাদারসহ শতশত শ্রমিক বিপাকে

শেরপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা সরকারি বালু মহলটি বিজিবি’র অযাচিত হস্তক্ষেপে বন্ধ রাখায় বিপাকে পরেছে বালু মহলের ইজাদার সহ বালু ঘাটের শতশত শ্রমিক।

এই বিষয়ে ইজাদার মো. আক্তার হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেও মিলছেনা কোন প্রতিকার। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেয়া বৈধ বালু মহালের ইজারাদার আক্তার হোসেন।

জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৯ জুলাই শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকুচা এলাকার বিভিন্ন দাগের ৭ একর ২৭ শতাংশ জমি থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ১ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাদানপূর্বক মেসার্স শামীম বস্ত্রালয়ের মালিক মো. আক্তার হোসেন এর অনুকূলে ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসক।

যার স্মারক নং-৩১.৪৫.৮৯০০.০১০.০৬.০২২.২৩.৫৫২ এবং শেষ মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল। তফসিল মোতাবেক স্থানীয় ভূমি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসন উক্ত ইজারাদারকে উক্ত নদী থেকে বৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির জন্যে যৌথভাবে ঘাট বুঝিয়ে দেযা হয়। এর পরে থেকে ইজারাদার বালু মহল থেকে বালু উত্তোলনসহ বিক্রি করে আসছে।

এদিকে উক্ত বালু মহালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল নিয়মিত তদারকি করে আসছেন।

চলতি বছরের ২০ নভেম্বর ময়মনসিংহ সেক্টরের বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান বালু মহালটি বন্ধ করে দেন। সে সময়ে কর্ণেলকে বালু মহাল বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইজারাদারের লোক জনকে জানান, জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্টেট, আমিও ম্যাজিস্টেট।

২৭ নভেম্বর ভূমি অফিস কর্তৃক উক্ত বালু মহালটি তাওয়াকুচা বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বালুমহালটি পূণরায় পরিমাপ করা হয়। তাতে তফসীল বহিভূর্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোন সত্যতা না মিললেও বালু মহালটি অদ্যবধি বন্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইগাতীতে বৈধ বালুঘাট বন্ধ রাখায় ইজারাদারসহ শতশত শ্রমিক বিপাকে

আপডেট সময় : ০১:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

 

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা সরকারি বালু মহলটি বিজিবি’র অযাচিত হস্তক্ষেপে বন্ধ রাখায় বিপাকে পরেছে বালু মহলের ইজাদার সহ বালু ঘাটের শতশত শ্রমিক।

এই বিষয়ে ইজাদার মো. আক্তার হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেও মিলছেনা কোন প্রতিকার। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেয়া বৈধ বালু মহালের ইজারাদার আক্তার হোসেন।

জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৯ জুলাই শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকুচা এলাকার বিভিন্ন দাগের ৭ একর ২৭ শতাংশ জমি থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ১ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাদানপূর্বক মেসার্স শামীম বস্ত্রালয়ের মালিক মো. আক্তার হোসেন এর অনুকূলে ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসক।

যার স্মারক নং-৩১.৪৫.৮৯০০.০১০.০৬.০২২.২৩.৫৫২ এবং শেষ মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল। তফসিল মোতাবেক স্থানীয় ভূমি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসন উক্ত ইজারাদারকে উক্ত নদী থেকে বৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির জন্যে যৌথভাবে ঘাট বুঝিয়ে দেযা হয়। এর পরে থেকে ইজারাদার বালু মহল থেকে বালু উত্তোলনসহ বিক্রি করে আসছে।

এদিকে উক্ত বালু মহালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল নিয়মিত তদারকি করে আসছেন।

চলতি বছরের ২০ নভেম্বর ময়মনসিংহ সেক্টরের বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান বালু মহালটি বন্ধ করে দেন। সে সময়ে কর্ণেলকে বালু মহাল বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইজারাদারের লোক জনকে জানান, জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্টেট, আমিও ম্যাজিস্টেট।

২৭ নভেম্বর ভূমি অফিস কর্তৃক উক্ত বালু মহালটি তাওয়াকুচা বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বালুমহালটি পূণরায় পরিমাপ করা হয়। তাতে তফসীল বহিভূর্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোন সত্যতা না মিললেও বালু মহালটি অদ্যবধি বন্ধ রয়েছে।