ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

টেকনাফে অপহৃত নারী উদ্ধার, চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৫৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত এক নারী ভিকটিমকে কক্সবাজার শহরের ডলফিন মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকটিম তাহেরা ইয়াসমিন (ছদ্মনাম) গত ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাতে প্রেমিক ইয়াছিন আরাফাতের সঙ্গে দেখা করতে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়া পাড়া জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে চারজন অপহরণকারী—রেজাউল করিম, এবাদুল হক, মো. রশিদ ও মো. সাইফুল ইসলাম—তার টমটম থামিয়ে চালক ও এক যাত্রীকে মারধর করে জোরপূর্বক তাহেরাকে অপহরণ করে।
তারা ভিকটিমকে টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় একটি বাড়িতে আটকে রাখে এবং পরদিন রাতে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে বিক্রির উদ্দেশ্যে টমটম চালক আব্দুল গফুরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গফুর ভিকটিমকে সাবরাং ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে নিয়ে আটকে রাখে এবং পরবর্তীতে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে রোহিঙ্গা নাগরিক ‘শবে কদর’-এর কাছে বিক্রি করে দেয়।তাহেরার পরিবার নিখোঁজ হওয়ার পর ৩০ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং র‌্যাবের কাছে সহযোগিতা চায়।
শবে কদর ভিকটিমকে বিক্রির উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে নিয়ে যাচ্ছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে র‌্যাবের দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড় এলাকা থেকে তাহেরা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে। তবে শবে কদর পালিয়ে যায়।
পরদিন (৩ নভেম্বর) দুপুরে টেকনাফ পৌরসভা ঈদগাঁ মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল করিম (২৮), এবাদুল হক (২৯) এবং আব্দুল গফুর (৩৬)-কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টেকনাফে অপহৃত নারী উদ্ধার, চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় :

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত এক নারী ভিকটিমকে কক্সবাজার শহরের ডলফিন মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকটিম তাহেরা ইয়াসমিন (ছদ্মনাম) গত ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাতে প্রেমিক ইয়াছিন আরাফাতের সঙ্গে দেখা করতে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়া পাড়া জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে চারজন অপহরণকারী—রেজাউল করিম, এবাদুল হক, মো. রশিদ ও মো. সাইফুল ইসলাম—তার টমটম থামিয়ে চালক ও এক যাত্রীকে মারধর করে জোরপূর্বক তাহেরাকে অপহরণ করে।
তারা ভিকটিমকে টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় একটি বাড়িতে আটকে রাখে এবং পরদিন রাতে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে বিক্রির উদ্দেশ্যে টমটম চালক আব্দুল গফুরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গফুর ভিকটিমকে সাবরাং ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে নিয়ে আটকে রাখে এবং পরবর্তীতে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে রোহিঙ্গা নাগরিক ‘শবে কদর’-এর কাছে বিক্রি করে দেয়।তাহেরার পরিবার নিখোঁজ হওয়ার পর ৩০ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং র‌্যাবের কাছে সহযোগিতা চায়।
শবে কদর ভিকটিমকে বিক্রির উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে নিয়ে যাচ্ছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে র‌্যাবের দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড় এলাকা থেকে তাহেরা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে। তবে শবে কদর পালিয়ে যায়।
পরদিন (৩ নভেম্বর) দুপুরে টেকনাফ পৌরসভা ঈদগাঁ মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল করিম (২৮), এবাদুল হক (২৯) এবং আব্দুল গফুর (৩৬)-কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।