ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ

- আপডেট সময় : ২৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু হল সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্ররাজনীতির নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো মাগুরার ছয়জন কৃতি শিক্ষার্থীর ঐতিহাসিক বিজয়। দেশের ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত এ মঞ্চে জয়ী হওয়া মানেই শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা জেলারই গৌরব।
নির্বাচনে মোট ২৮ জন সদস্য নির্বাচিত হলেও এর মধ্যে ২৩ জনই ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন। আর এই ২৩ জনের ভেতর মাগুরার ছয় শিক্ষার্থী জায়গা করে নেওয়াটা নিঃসন্দেহে মাগুরার রাজনৈতিক মাটিকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে।
মাগুরার গর্বিত ছয়মুখ মোহাম্মদপুর উপজেলার, বালিদিয়া ইউনিয়নের, বালিদিয়া গ্রামের শহীদুল্লাহ বিশ্বাসের ছেলে মোঃ জায়েদুল হক (জায়েদ), সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চাপাতলা গ্রামের মোহাম্মদ সাহেব আলীর ছেলে তুষার ইমরান, শহীদুল্লাহ হলের বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক। এবং রাজাপুর ইউনিয়নের রাড়িখালি গ্রামের আতিয়ার রহমান খানের ছেলে শের শাহ আলী খান, মুজিব হলের পাঠকক্ষ সম্পাদক,শালিখার শতখালী ইউনিয়নের, শতখালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদিক হোসেন শিকদার, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী, মহসীন হলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, আড়পাড়া ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের মনসুর মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী (সাকিব), মাস্টার দা সূর্যসেন হলের সমাজসেবা সম্পাদক,সদর উপজেলার পশু হাসপাতাল পাড়ার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, জসীমউদ্দিন হলের সমাজসেবা সম্পাদক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের এমন ব্যাপক সাফল্য রাজনৈতিক মহলে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে ক্রাক ডাউনে থাকা এ সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অঙ্গনে যেভাবে নিজেদের শক্ত উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, তাতে স্পষ্ট তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ এখনো বিকল্প ধারায় নেতৃত্ব খুঁজছে।
মাগুরা থেকে আসা এই ছয়জন প্রমাণ করেছেন, গ্রামীণ জনপদ থেকেও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং মাগুরাকে জাতীয় ছাত্ররাজনীতির মানচিত্রে শক্ত অবস্থান দিয়েছে।
আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় নিজ নিজ এলাকার মানুষ এ জয়কে দেখছেন আশা ও প্রেরণার আলো হিসেবে। গ্রামীণ জনপদের শিক্ষার্থী হয়েও দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ছাত্ররাজনীতির আসরে বিজয় অর্জন এ এক গৌরবের ইতিহাস। অভিভাবক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী—সবার মুখে এখন একই সুর, মাগুরা শুধু খেলাধুলা নয়, এখন নেতৃত্বেরও জনপদ।