ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক সমন্বয় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ আলম ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারিকুল ইসলাম। অফিসার ইনচার্জ ওসি হাফিজুর রহমান মানিক, এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সু কন্ঠ ভক্ত, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল হকসহ উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা দেবে সরকার। টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে দেশব্যাপী ৯ মাস হতে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টিসিভি টিকা প্রদান করা হবে। বিনামূল্যে এ টিকা নেয়ার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ শাহ্ আলম সিদ্দিকী বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১০ দিন উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে এবং স্কুল ক্যাম্পেইন শেষ হলে পরবর্তী ৮ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’সহ উপজেলার সকল টিকাদান কেন্দ্রে ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্য টিসিভি ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকরী, বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই টিকা জীবন রক্ষাকারী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে টাইফয়েড জ্বর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়ভাবে স্থায়ী (এনডেমিক) এবং প্রাদুর্ভাব (এপিডেমিক) উভয় পরিস্থিতির জন্য তিন ধরনের ভ্যাকসিন সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) সব বয়সের জন্য রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহারে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কারণ এটি উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং কম বয়সী শিশুদের জন্য উপযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেয়।
যেকোনো ওষুধের মতো এরও কিছু সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে, তবে বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি একটি নিরাপদ ভ্যাকসিন।